ইবিতে ছাত্রলীগ নেত্রীর হলে ঢোকার ঘটনায় মধ্যরাতে উত্তেজনা

  • ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাত আড়াইটার দিকে নারী শিক্ষার্থীরা হলের গেট খুলে ফোয়ারার সামনে অবস্থান নেন।

রাত আড়াইটার দিকে নারী শিক্ষার্থীরা হলের গেট খুলে ফোয়ারার সামনে অবস্থান নেন।

ছাত্রলীগের পদধারী সাবেক নেত্রীর পরিচয় গোপন ও ছদ্মবেশ ধারণ করে হলের রাজনৈতিক কক্ষে প্রবেশের ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে নারী শিক্ষার্থীরা হলের গেট খুলে ফোয়ারার সামনে নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এসময় তারা 'বহিরাগত হলে এলো, হলবাসী জেগে উঠো' বলে স্লোগান দিতে থাকে।

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনকারী ছাত্রীরা জানায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর আনুমানিক সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগে সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেত্রী ঝুমা ছদ্মবেশ ধারণ করে শেখ হাসিনা হলের দক্ষিণ ব্লকের ২০১ নম্বর রাজনৈতিক কক্ষ থেকে সন্দেহজনক ২টি বস্তা নিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেত্রীর পরিচয় গোপন করে হলে প্রবেশ করার কাজে সাহায্য করেছেন ওই কক্ষে অবস্থানরত আরেক ছাত্রী। তিনি আল ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের বিভাগের এশা (ছদ্মনাম)।

বিজ্ঞাপন

হলসূত্রে আরও জানা যায়, ওই ঘটনা কেন্দ্র করে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ২য় তলার আবাসিক ছাত্রীরা সম্মিলিতভাবে ২০১ নম্বর কক্ষে যায়। এসময় তারা ছাত্রলীগ নেত্রীর হলে প্রবেশের ঘটনা সম্পর্কে এশার কাছে জানতে চাইলে সে যৌক্তিক কোনো উত্তর দিতে পারেনি। একই সঙ্গে এশা স্পষ্টত জানায়, তার সাথে যোগাযোগ করেই ঝুমা শেখ হলে এসেছিল।

এদিকে বস্তার ভেতর অবৈধ কিছু থাকতে পারে এবং তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের কারণ রয়েছে বলে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছে নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রীরা।

এ বিষয়টি অস্বীকার করে এশা (ছদ্মনাম) বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। আমি ঝুমা আপুর রুমেই গেস্ট হিসেবে থাকতাম। আমি হলে আসার আগেই আমার রুমমেট আপুর থেকে আমার নাম্বার নিয়ে ঝুমা আপু আমার সাথে যোগাযোগ করে যে, আমি কবে হলে যাবো। তবে আমি তাকে কোনভাবেই সাহায্য করিনি। এমনকি আপু যেদিন হলে আসে আমি ডিপার্টমেন্টের কাজে বাইরে ছিলাম।

তিনি আরো বলেন, ঝুমা (সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী) জিনিসপত্র নেয়ার সময় হল কতৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে তিনি রুমে না থাকায় কীভাবে নেত্রী রুমে ঢুকলেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

এবিষয়ে হলের অফিসে যোগাযোগ করলে তারা জানান, এ বিষয়ে কেউ অফিসে ইনফর্ম করেনি এবং আমরা কোনোকিছু জানিও না। অফিসের তখন কেউ উপস্থিত ছিল না। শুনেছি হলের আয়ারা জিনিসপত্র নামিয়ে দিতে সাহায্য করেছে।

ছাত্রলীগ নেত্রী ঝুমার সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।