জাবিতে উপাচার্য পদে নিয়োগ পেলেন অধ্যাপক কামরুল আহসান

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান/ছবি: সংগৃহীত

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান/ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে অধ্যাপক কামরুল আহসানকে সাময়িকভাবে উপাচার্য পদে নিয়োগ আদেশ জারি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১১(২) ধারা অনুযায়ী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়-কে সাময়িকভাবে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস-চ্যান্সেলর পদে ৫ শর্তে নিয়োগ প্রদান করা হলো৷ শর্তগুলো হলো-ভাইস-চ্যান্সেলর পদে এ নিয়োগ যোগদানের তারিখ হতে কার্যকর হবে; উপর্যুক্ত পদে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি প্রাপ্য হবেন; তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন; তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন; এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

অধ্যাপক কামরুল আহসান বিএনপিপন্থি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলন-সংগ্রামে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে সুনাম ও আস্থা কুড়িয়েছেন। তিনি শিক্ষকদের সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ জাবি শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতির পাশাপাশি একাডেমিক ও টক-শো ব্যক্তিত্ব হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ ফিলোসফিক্যাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক, জাবি শিক্ষক সমিতির সম্পাদক সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মেম্বার, হল প্রাধ্যক্ষসহ প্রশাসনিক দায়িত্বও পালন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, উপাচার্য হিসেবে আমার ওপর আস্থা রাখায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একটা বিষয় আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রাণের কিছু দাবি ছিল। শহীদরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য রক্ত দিয়েছেন, সে স্বপ্ন আমাদের বিনির্মাণ করতে হবে। দায়িত্ব পালনকালে আমি তাদের অবদানের কথা স্মরণ রাখবো। শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের প্রতি অনুরোধ, আমার দ্বারা কোনো ভুল কাজ হলে আপনারা ধরিয়ে দিবেন, যৌক্তিক সমালোচনা করবেন।