আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ইবিতে ‘শহীদি মার্চ’

  • ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইবিতে শহীদি মার্চ, ছবি: বার্তা২৪.কম

ইবিতে শহীদি মার্চ, ছবি: বার্তা২৪.কম

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার থেকে শুরু করে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে নিহত শহীদদের স্মরণে এবং ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার পতনের একমাস পূর্তিতে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় একত্রিত হন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে শহীদি মার্চ কর্মসূচি হিসেবে মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ‘মুক্তবাংলায়’ এসে সমবেত হয়।

বিজ্ঞাপন

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আজকের এইদিনে, সাঈদ তোমায় মনে পড়ে’, ‘আজকের এইদিনে, তাহমিদ তোমায় মনে পড়ে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’, ‘আমার বোনের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেনো বাহিরে?’, ‘ আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, একমাস আগে আমাদের জাতির সবথেকে কলঙ্কিত অধ্যায়ের একটি অংশ আমরা তাড়িয়ে দিতে পেরেছি, আমাদের অনেকগুলে অর্জন আছে তারমধ্যে এটি অন্যতম। আমাদের ভাইদের রক্তের বিনিময়ে এক মাস হয়ে যাচ্ছে স্বৈরাচার বিদায়ের, এখন আমাদের লক্ষ্য দেশটাকে সংস্কার করা। অর্থনীতি শুরু করে সমাজনীতি, রাজনীতি থেকে শুরু করে শিক্ষানীতি পর্যন্ত সংস্কার করতে হবে। বিভাজনের নীতি থেকে বার হয়ে এসে সার্বজনীন ভাবে কাজ করতে হবে। সবার আগে বাংলাদেশ, সবার আগে আমার দেশ, সবার আগে আমার দেশের মানুষ, সবার আগে আমার জাতীয়তা। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সহ-সমন্বয়ক নাহিদ বলেন, যদি একটু স্মৃতিস্মারণ করে দেখি তাহলে এমন কাহিনি আছে যেটা আবু সায়েদ এর নৃশংস হত্যার চেয়েও কঠিনতম ছিল। বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত কাউকে ছাড় দেয়নি। এগুলো আমাদেরকে খুব মর্মাহত করে। এই সরকারের কাছে কঠিনভাবে দাবি জানাবো যারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদেরকে ফাঁসির কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। যারা কারাগারে আছে তাদেরকে অনতিবিলম্বে ফাঁসির কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। এটাই আমাদের এক দফা এক দাবি। ভারতের সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কোনো না কোনোভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাদেরকে যে যেখানে পাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।