সমন্বয়ক পরিচয়ে বাস ভাঙচুরের অভিযোগ মিথ্যা দাবি শিক্ষার্থীদের
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সমন্বয়ক পরিচয়ে বাস ভাঙচুর ও চার লাখ টাকা দাবির অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তারা হলেন কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শাহাবুল ইমন ও সাদমান সাকিব। গতকাল রাতে মিরপুর সুপার লিংক পরিবহনের ৪টি বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বাস মালিকরা বেসরকারি টেলিভিশন যমুনা টিভির সাক্ষাৎকারে বাস ভাঙচুর ও ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঘটনার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সমন্বয়ক জড়িত না। সাধারণ শিক্ষার্থীরাই আমাদের ডাকে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো। বাস মালিকের কাছে কোন প্রকার টাকাও চাওয়া হয়নি। তবে সেনাবাহিনীর পরামর্শ অনুযায়ী মোটরসাইকেলের মেরামত খরচ বাবদ মেরামত করার পরে টাকা নিতে বলা হয়েছিলো। ঘটনা অল্পতেই শেষ হয়ে গেলেও তারা সাংবাদিকের কাছে বানোয়াট বক্তব্য দেয়।
শেকৃবির সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় শেকৃবির কোন সমন্বয়কের সম্পৃক্ততা নেই। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে আমাকে ফোন করলে আমরা অবগত হই। পরবর্তীতে আমিসহ অন্যান্য সমন্বয়ক ঘটনাস্থলে পৌছে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিরপুর-নিউমার্কেট রুটের মিরপুর সুপার লিংক পরিবহনের ৪টি বাস আটক করে ভাঙচুর করেন শেকৃবির শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। বাস মালিকদের অভিযোগ, দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের ইন্ডিকেটর লাইট ভেঙে গেলেও ক্ষতিপূরণ হিসাবে চার লাখ টাকা দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা নিজেদেরকে শেকৃবির সমন্বয়ক বলেও পরিচয় দেন। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ৪টি বাসে ভাঙচুরের চালায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
পরে সেনাবাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের হস্তক্ষেপে আটকে রাখা বাসগুলো ছেড়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।