জাবির আইন বিভাগের দায়িত্ব নিতে শিক্ষকদের অপারগতা

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আইন বিভাগের সভাপতি পদের নিয়োগে তিনবার অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে৷ তৃতীয় ও সর্বশেষ অফিস আদেশ জারির পর বিভাগীয় সভাপতি পদে যোগদান করেছেন অধ্যাপক রবিউল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আইন বিভাগের সভাপতি পদের নিয়োগ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত পরপর তিনটি অফিস আদেশ প্রকাশ করা হয়৷

বিজ্ঞাপন

নবনিযুক্ত সভাপতি অধ্যাপক রবিউল ইসলাম নিজেই তথ্যটি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন ।

আইন ও বিচার বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক জনাব তাপস কুমার দাস-এর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে উক্ত বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে আজ (মঙ্গলবার) প্রকাশিত প্রথম অফিস আদেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-১৯৭৩ এর প্রথম স্ট্যাটিউটের ৯(১) ধারা বলে আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব সুপ্রভাত পালকে যোগদানের তারিখ হতে ৩৬ (ছত্রিশ) মাসের জন্য উক্ত বিভাগের সভাপতি নিয়োগ করা হলো। তিনি প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন।

বিজ্ঞাপন

প্রথম অফিস আদেশ প্রকাশের পর সহযোগী অধ্যাপক জনাব সুপ্রভাত পাল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করায় দ্বিতীয় অফিস আদেশে প্রকাশ করা হয়৷ এই অফিস আদেশে বলা হয়- আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব সুপ্রভাত পাল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-১৯৭৩ এর প্রথম স্ট্যাটিউটের ৯(১) ধারা অনুযায়ী বিভাগের পরবর্তী জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক শায়লা আলম আশাকে যোগদানের তারিখ হতে ৩৬(ছত্রিশ) মাসের জন্য আইন ও বিচার বিভাগের সভাপতি নিয়োগ করা হলো। তিনি প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন।

এদিকে দ্বিতীয় অফিস আদেশ প্রকাশের পর সহযোগী অধ্যাপক শায়লা আলম আশা ব্যক্তিগত কারণ দর্শিয়ে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করায় তৃতীয় ও সর্বশেষ অফিস আদেশ প্রকাশ করা হয়৷ এই অফিস আদেশে বলা হয়- আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব শায়লা আলম আশা ব্যক্তিগত কারণে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-১৯৭৩ এর প্রথম স্ট্যাটিউটের ৯(১) ধারা অনুযায়ী বিভাগের অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলামকে যোগদানের তারিখ হতে ৩৬(ছত্রিশ) মাসের জন্য আইন ও বিচার বিভাগের সভাপতি নিয়োগ করা হলো। দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন৷

এদিকে তৃতীয় ও সর্বশেষ অফিস আদেশ প্রকাশের পর বিকেল ৪টায় আইন বিভাগের সভাপতি পদে যোগদান করেন অধ্যাপক রবিউল ইসলাম৷

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আইন বিভাগের নবনিযুক্ত সভাপতি অধ্যাপক রবিউল ইসলাম বলেন, জাবির আইন অনুষদ অনেক ছোট একটা বিভাগ, দীর্ঘদিন থেকেই বিভিন্ন ধরনের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ শ্রেণিকক্ষ নেই, নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। বর্তমানে আমরা মাত্র তিনজন শিক্ষক রয়েছি, তারমধ্যে একজন লেকচারার। তবে আমি চেষ্টা করব আইন অনুষদকে নতুনভাবে গড়ে তোলার, এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিভাগের সাবেক সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার এবং সহযোগী অধ্যাপক সুপ্রভাত পালের বিরুদ্ধে নানা অন্যায়-অনিয়মের অভিযোগ এনে তাদের চাকুরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল ও মানববন্ধন করে আসছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তারা গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসানের কাছে দাবি পেশ করলে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ করে এবং তদন্ত সেল গঠন করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন৷ পরবর্তীতে তাপস কুমার দাস শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন৷