বহিরাগত নয়, নিজ ক্যাম্পাসের ভিসি চেয়ে ফের ইবিতে আন্দোলন

  • ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ পেলেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এখনো উপাচার্য নিয়োগ হয়নি। ফলে স্থবিরতা বিরাজ করছে প্রতিটি কার্যক্রমে। তাই দ্রুততম সময়ে নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য চেয়ে আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রধান ফটকে সমবেত হয়।

বিজ্ঞাপন

এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’,‘বসন্তের কোকিলেরা হুশিয়ার সাবধান’,‘ভাড়া করা ইবির ভিসি, মানি না মানবো না’,‘উড়ে এসে জোড়ে বসা, ইবির ভিসি মানি না’,‘দুর্দিনে ছিলেন যারা, ইবির ভিসি হবেন তারা’,‘এক দফা এক দাবি, আমার ক্যাম্পাস আমার ভিসি’ লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা। কোনো লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক দলের হাতে এই স্বাধীনতা তুলে দিতে চাই না। এই স্বাধীন দেশে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার কোনো এজেন্টকে উপাচার্য হিসেবে চাই না। স্বাধীন দেশে কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। আমরা এমন একজন ভিসি চাই যিনি আমাদেরকে বুঝবেন এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে কাজ করবেন।

বিজ্ঞাপন

আরও বলেন, এমন কাউকে ভিসি হিসেবে চাই, যিনি আন্দোলনে আমাদের সমর্থন দিয়েছে। ক্যাম্পাসের বাইরের কেউ এসে আমাদের এখানে উড়ে এসে জুড়ে বসলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবো। তাই আমাদের দাবি আমাদের ক্যাম্পাসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক উপাচার্য হিসেবে এসে আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণ করবে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের কাউকে ভিসি হিসেবে চাচ্ছি আমরা।

উল্লেখ্য, সরকার পতনের পর পর দেশের বেশীরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও পদত্যাগ করেন। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সহ বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হয়ে গেলেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো উপাচার্য পায়নি শিক্ষার্থীরা। ফলে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কাজে স্থবির অবস্থা বিরাজমান।