আমি কোনো ত্রুটি করলে বড় করে লিখবেন: চবি উপাচার্য
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত উপাচার্য ড. মুহাম্মাদ ইয়াহ্ইয়া বলেছেন, আমি কোনো ত্রুটি করলে সেটা বড় করে লিখবেন, আর ভালো কাজ করলে সেটা ছোট করে লিখবেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটায় দায়িত্ব গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এমন কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি কোনো ত্রুটি করলে কিছু চাওয়া-পাওয়া নেই। যদি আপনারা পেয়ে যান যে, আমি ঘুষ নিয়ে বা টাকার বিনিময়ে লোক নিয়োগ দিচ্ছি তাহলে পত্রিকার প্রথম পেজে বড় করে হেডলাইন দিয়ে দেবেন। কিন্তু ভালো কাজ করলে শেষের দিকে দেবেন।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে তাকে উপাচার্য পদে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
প্রফেসর ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার ১৯৮২ সাল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে বিএ অনার্স এবং এমএ, কানাডায় ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু থেকে একই বিষয়ে দ্বিতীয় এমএ, এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনি থেকে পিএইচ ডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
এছাড়াও ইংল্যান্ডের অ্যাশগেট পাবলিশিং লিমিটেড থেকে প্রকাশিত তার ইলেকটোরাল করাপশন ইন বাংলাদেশ (২০০১) শীর্ষক গ্রন্থটি যুগপৎ পাশ্চাত্ত্য ও প্রাচ্যের প্রতিষ্ঠ সমাজবিজ্ঞানীদের উষ্ণ সমাদর পেয়েছে। ঢাকা থেকে রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও সামাজিকীকরণঃ প্রসঙ্গ বাংলাদেশ (নিবেদন: ১৯৯১), নির্বাচন, দুর্নীতি ও রাজনীতিঃ স্বরূপ বিশ্লেষণ-সংকট উত্তরণ (পরমা: ২০০৩) এবং চারদলীয় জোট সরকারের দেশ শাসন (বাড: ২০০৩) শীর্ষক লেখকের প্রকাশিত গ্রন্থগুলোও বহুল পঠিত হয়েছে। দেশে এবং বিদেশে লন্ডন, ভ্যানকুভার, ম্যানিলা, ক্যানবেরা, দিল্লি, রাজস্থান, আলীগর’র অনেক খ্যাতিমান গবেষণা জার্নালে ড. আখতারের লেখা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ অধ্যাপক আখতারের লেখা দুর্নীতি রোধে সংবাদপত্রের ভূমিকা শীর্ষক রিসার্চ মনোগ্রাফ প্রকাশ করেছে। গবেষণামূলক লেখালেখির পাশাপাশি তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যাবলি ও সমসাময়িক রাজনীতি বিষয়ে পত্র-পত্রিকায় প্রবন্ধ লেখেন। একাডেমিক কাজের পাশাপাশি ড. আখতার অনেক সামাজিক ও গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে জড়িত।