জাবিতে রাজনীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-মিছিল

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আজীবনের জন্য সকল ধরণের ছাত্র, শিক্ষক, কমকর্তা-কর্মচারীদের দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ করার জন্য বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।  

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ এসে জড়ো হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ-মিছিল সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, টার্জান পয়েন্ট, ছাত্রী হল হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

বিজ্ঞাপন

এসময় শিক্ষার্থীদের- ডান বামের রাজনীতি, চাই না কারো উপস্থিতি; রাজনীতির কালো হাত, এই জাবিতে নিপাত যাক; সব জাবিয়ান ভাই ভাই, রাজনীতির ঠাঁই নাই; রাজনীতির অংশীদার, এই মুহূর্তে জাবি ছাড়; এক দফা এক দাবি, চাই না কোনো রাজনীতি ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

উপাচার্যের বাসভবনের সম্মুখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে লেজুড়বৃত্তিক দলীয় রাজনীতি ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের নিকট ৩ দফা দাবি পেশ করে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাস্তবায়নের দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

দাবিগুলো হলো-

১। সকল ধরনের দলীয় (ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী, কর্মকর্তা) রাজনীতি অবিলম্বে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে।

২৷ দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাকসু নির্বাচন দিতে হবে।

৩৷ গত ১৪–১৭ জুলাই তারিখে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর হামলাকারী ও মদদদতাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও রাষ্ট্রীয় আইনে বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলা করতে হবে ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী মো. শাকিল বলেন, আমরা একটি সমতার সমাজ গঠনের জন্যই আন্দোলন করেছি। আমাদের এ রক্ত যেন বৃথা না যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীই চায় দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। আশা করি উপাচার্য আমাদের দাবির পক্ষে সিদ্ধান্ত দিবেন।

উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, যেহেতু এতোদিন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ প্রশাসনিক কাঠামো ছিল না, তাই আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আগামী রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা জরুরি মিটিং ডেকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।