ডাকসু'র তফসিলের আগে ৩ মাস সহাবস্থান চায় ছাত্রদল



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাংবাদিকদের মুখোমুখি ছাত্রদলের নেতারা, ছবি: বার্তা২৪

সাংবাদিকদের মুখোমুখি ছাত্রদলের নেতারা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে ন্যূনতম ৩ মাস সকল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

বৃহস্পতিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় তারা।

এর আগে সকাল ১১ টায় ৭ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বরাবর স্মারকলিপি দেয় সংগঠনটি। এ সময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকী সহ ছাত্রদলের দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

তফসিল ঘোষণার পূর্বে ৩ মাস সহাবস্থান নিশ্চিত করা ছাড়া ছাত্রদলের অন্য দাবিগুলো হলো; অংশগ্রহণমূলক ও ভীতিহীন পরিবেশে ডাকসু নির্বাচনের লক্ষ্যে হলের পরিবর্তে একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩০ বছর বয়সসীমার পরিবর্তে ভর্তি সেশন নির্ধারণ করা। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ছাত্র সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় নেতাদের প্রচারণায় অংশগ্রহণে কোনো বাধা প্রদান না করা। হামলা, মামলা ও গ্রেফতার না করার বিষয়টি নিশ্চিত করা।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ডাকসু নির্বাচনের লক্ষ্যে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিক্ষার্থী ও নেতাদের ওপর হওয়া হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া। ডাকসু নির্বাচনের লক্ষ্যে গঠিত কমিটিগুলোকে পুনর্গঠন করা এবং নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য শিক্ষকদের এসব কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা৷ ডাকসু গঠনতন্ত্রের ৫ এর (এ) অগণতান্ত্রিক ধারাটি সংশোধন করে সভাপতি ও ছাত্র সংসদের যৌথ সিদ্ধান্তের বিষয় সংযোজন করা এবং ৮ এর (এম) ধারাটি সংশোধন করা।

উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের পর রাজিব আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, 'মাননীয় উপাচার্য আমাদের দাবিগুলো আন্তরিকভাবে শুনেছেন এবং আমাদের দাবির যৌক্তিকতা ইতোমধ্যে মেনে নিয়েছেন। তিনি সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেবেন৷ আমরা বিশ্বাস করি আমাদের যৌক্তিক দাবি প্রশাসন মেনে নেবে এবং সকলের অংশগ্রহণে একটি কার্যকর ডাকসু নির্বাচন হবে।'

তফসিলের আগে তিন মাস সহাবস্থান নিশ্চিন্তের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সহাবস্থানের বিষয়টি এমন যে এটিকে যদি কার্যকর করতে হয় তাহলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের দরকার। আজকে সহাবস্থান দিয়ে কালকে কিন্তু এটাকে কার্যকর বা স্থায়ী বলা যাবে না। ডাকসুকে কেন্দ্র করে সহাবস্থান নয়, আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর একটি স্থায়ী সহাবস্থান থাক।'

গত মতবিনিময় সভার পর ছাত্রলীগ আহ্বান জানালেও ছাত্রদল মধুর ক্যান্টিনে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে আকরামুল হাসান বলেন, 'পরিবেশ পরিষদের সভার পর আমি চা খেতে যেতে চেয়েছি। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাগত জানালেও অন্য নেতৃবৃন্দ এ আন্তরিকতা দেখায়নি। এজন্য আমরা যাইনি। তাছাড়া কিছুদিন আগেও আমাদের বুরহান উদ্দীন সৈকত নামে ছাত্রদলের জহরুল হক হলের এক নেতা তাকে মেরে আহত করা হয়েছে। এ রকম একটা পরিবেশে আমরা চাই না ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, আমাদের আগমনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হোক এবং ডাকসু নির্বাচন ব্যাহত হোক।'

   

পথশিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন চবির দুই উদ্যোক্তা



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুইজন শিক্ষার্থী নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। যেখান থেকে সমগ্র ক্যাম্পাসে টি-শার্ট ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তারা চালান পড়ালেখার খরচ।

উদ্যোক্তা দুইজন হলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একই বর্ষের শিক্ষার্থী আহমাদ আব্দুল্লাহ নাফিজ।

বুধবার (১৫ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির এক বছর পূর্ণ হয়। এ উপলক্ষে তরুণ দুই উদ্যোক্তা তাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে লভ্যাংশ দিয়ে পথ শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। এদিন তারা দু’জন বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশনে নিজের হাতে বিরিয়ানি রান্না করে ২০ জন অসহায় ও পথশিশুদের মাঝে বিতরণ করেছেন।

উদ্যোক্তা মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আমরা দেখতে দেখতে একটি বছর অতিক্রম করে দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছি। বর্তমানে আমরা ফুড এবং ফ্যাশন দুইটি সেক্টরেই কাজ করে চলেছি। আমাদের উদ্দেশ্য, চবি ক্যাম্পাসসহ সমগ্র বাংলাদেশের পোশাক খাত ও নির্ভেজাল খাদ্যের জগতে অবদান রেখে বাংলাদেশের উন্নয়নের চাকাকে সচল রাখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা গত এক বছরের লাভের একটি অংশ দিয়ে কিছু অসহায় ও পথশিশুদের এক বেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছি। আমরা নিজ হাতেই বাজার করে খাবারগুলো রান্না করে তাদের হাতে তুলে দিয়েছি। এতে আমাদের আত্মতৃপ্তি কাজ করেছে। আমরা সামনে বৃহৎ পরিসরে আরও বড় কিছু করব ইনশাআল্লাহ।

আরেক উদ্যোক্তা আহমাদ আব্দুল্লাহ বলেন, ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর নিজ উদ্যোগে কিছু করার ইচ্ছা ছিল, সেই ইচ্ছা থেকে এস্থেটিক (তাদের প্রতিষ্ঠান) এর জন্ম। এস্থেটিক এর শক্তি ক্রেতাদের আস্থা ও ভালোবাসা। সেই আস্থাকে পুঁজি করে ভালো কোয়ালিটির কাপড় আর অর্গানিক ফুড পরিবেশনেই নজর থাকে আমাদের সবসময়ই।

;

৮ বছর পর জাবিতে ছয় অনুষদের ডিন নির্বাচন



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
৮ বছর পর জাবিতে ছয় অনুষদের ডিন নির্বাচন

৮ বছর পর জাবিতে ছয় অনুষদের ডিন নির্বাচন

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছয়টি অনুষদের ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে কলা ও মানবিক অনুষদ থেকে দুইজন, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ থেকে তিনজন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে দুইজন ও জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে দুইজনসহ মোট ৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও আইন অনুষদ থেকে দুজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

বুধবার (১৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে সকাল ৯ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর ২টায় শেষ হয়। নির্বাচন শেষে রিটানিং কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রার আবু হাসান বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম ও সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক বশির আহমেদ। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৫৮ ভোট পেয়ে ডিন নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক বশির আহমেদ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম পেয়েছেন ৪২ ভোট।

ডিন নির্বাচনে গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার সাহা, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদ ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক আবদুর রব। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৬৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন অধ্যাপক আবদুর রব। তার নিকটতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক ফরিদ আহমদ ৫৭ টি ও অধ্যাপক তপন কুমার সাহা ২৫টি ভোট পেয়েছেন।

ডিন নির্বাচনে কলা ও মানবিক অনুষদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আরিফা সুলতানা ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক৷ নির্বাচনে ৯৪ ভোট পেয়ে ডিন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক আরিফা সুলতানা পেয়েছেন ৬০ ভোট।

জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে ডিন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নূহু আলম এবং প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৫৯ ভোট পেয়ে ডিন নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক নূহু আলম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক সোহেল আহমেদ পেয়েছেন ৪১ ভোট।

এছাড়া বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডিন নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক নিগার সুলতানা৷ আইন অনুষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডিন নির্বাচিত হয়েছেন আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার দাস।

উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল রিটার্নিং অফিসারের কাছে অনুমোদিত ফরমে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়।মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয় ৩০ এপ্রিল, বৈধ প্রার্থীগণের তালিকা প্রকাশ করা হয় ২মে। এছাড়া ৭ মে প্রার্থীগণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়৷

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও মানবিক, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক, সমাজবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, বিজনেস স্টাডিজ ও আইন অনুষদসহ মোট ছয়টি অনুষদ রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১০ মে ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

;

ঢাবিতে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঢাবিতে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

ঢাবিতে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) ঢাবির আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে এ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. মো. মুমিত আল রশিদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভূশী সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, বিশিষ্ট কবি ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক এবং ইন্টারনেট সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান।

উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, এই ভাষার সাহিত্যকর্ম চর্চার মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে আরও সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখতে হবে। এই বিভাগের এমফিল ও পিএইচডি'র গবেষণাপত্র ফারসি ভাষায় রচনা করার জন্য তিনি গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইরানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলমান যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও গতিশীল করার ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা চান।

প্রসঙ্গত, আলোচনা পর্ব শেষে বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

;

লাল সোনাইলের অপার সৌন্দর্যে সেজেছে বেরোবি



বর্ণালী জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লাল সোনাইলের অপার সৌন্দর্যে সেজেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। বাহারি ফুলে প্রকৃতির এই সুন্দর সাজে ৭৫ একরের পুরো ক্যাম্পাস যেন সেজেছে নতুন রূপে।

দুর্লভ লাল সোনাইল বেরোবির বুকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে প্রেম নিবেদন করছে প্রকৃতিপ্রেমীদের সাথে। রোমাঞ্চকর প্রেমালাপ যেন উপযুক্ত হয়ে ওঠেছে লাল সোনাইলের বাহারে। প্রিয় মানুষের খোঁপায় গুঁজে দেওয়ার এক অনন্ত প্রয়াস যেমন কবি কাজী নজরুল চেয়েছিলেন— ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী, দেবো খোঁপায় তারার ফুল’; বেরোবিতেও যেন একই পরিবেশ! পাতার আড়ালে থোকা থোকা লাল সোনাইল ফুল দেখে প্রকৃতি প্রেমীদের মনে প্রেম উদিত হচ্ছে। এই সৌন্দর্য পৃথিবীর অমৃত লহরীর মতো যে ব্যাখ্যার অন্তহীন।

ক্যাম্পাসের অস্থায়ী শহিদ মিনারের পাশে থোকায় থোকায় দুলছে লালচে গোলাপি ও সাদার সংমিশ্রণ যুক্ত লাল সোনাইল ফুল। ক্যাম্পাসের ভিসি রোডের পাশের প্রতি সোনালু গাছের গা থেকে যেন সবুজ জোড়া পাতার পাহাড়ে গোলাপি ঝরনা নেমে এসেছে। বাতাসে কিশোরীর কানের দুলের মতো দুলতে থাকা এক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য চোখে পড়ে। মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ক্যাম্পাসে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

আবু সাইফ ও জোনায়েদ নামের দুই দর্শনার্থী বলেন, প্রায়ই শান্তির নিঃশ্বাস নিতে আসি বেরোবিতে। কৃষ্ণচূড়া, লাল সোনাইলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছি। চারদিকে সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মন ভরে যায়। বছরের সবসময় সবুজে ভরা থাকে, তবে এখন ফুলে-ফুলে ভরে আছে, খুব ভালো লাগছে।

পাতার আড়ালে থোকা থোকা লাল সোনাইল ফুল

বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে ভিড় চোখে পড়ার মতো। শাড়ি পরে নিজেকে প্রকৃতির মাঝে তুলে ধরে ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি হচ্ছেন দর্শনার্থীদের অনেকেই।

শাড়ি পরে খোঁপায় ফুল গুঁজে ছবি তুলছেন দর্শনার্থী অনামিকা। মুখে এক ঝিলিক হাসি নিয়ে বলেন, লাল সোনাইল আর কৃষ্ণচূড়ার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। লাল সোনাইলের এই সৌন্দর্যে নিজেকে ফ্রেমে বন্দি করে রাখছি। এই অনুভূতি বোঝানোর মত না।

লাল সোনাইলের সৌন্দর্য নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় ২০০৮ সালে কোনো গাছ ছিল না। এমনকি ২০১৪ সালেও ক্যাম্পাস ছিল ছায়াহীন। শিক্ষার্থী আর কয়েকজন কর্মচারীকে সাথে নিয়ে চার শতাধিক প্রজাতির প্রায় ৩৭ হাজার গাছ রোপণ করেছি। এখন সারা বছর বিচিত্র ফুল আর সবুজের আচ্ছাদনে অপরূপ সাজে সৌন্দর্য বিতরণ করে এ বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে স্বর্ণচাঁপা, কনকচাঁপা, লাল সোনাইল, বন আশরা, বান্দরহুলা, সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, জারুল, কুর্চিসহ অনেক ফুল ফুটেছে।

তিনি বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহ ক্যাম্পাস যেমন শীতল, তেমনি এর নান্দনিকতা মানুষকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করছে। তাই ক্যাম্পাসের বাইরেরও অনেকে আসছে শীতলতা আর নানন্দিকতা উপভোগ করতে।

লাল সোনানাইলের দৃষ্টিনন্দন বর্ণচ্ছটা মুগ্ধ করে তোলে শিক্ষার্থীদের। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি যেন লাল সোনাইলের নৈসর্গিক লীলাভূমি বেরোবি৷

;