জাবিতে অটোরিকশার ধাক্কায় প্রাণ হারালেন এক শিক্ষার্থী

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের মার্কেটিং বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী আফসানা করিম রিচি৷

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন নতুন কলা ভবনের সম্মুখ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে৷

নিহত আফসানা করিম রাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন৷ তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলায়৷ তার পিতার নাম মো. রেজাউল করিম এবং মাতার নাম কিছমত আরা। তার স্থায়ী ঠিকানা রাজধানীর ১৪, গ্রীন স্কয়ার, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২০৫।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্র জানায়, নিহত আফসানা রিচি রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগামী অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দেয় এবং রিচি গাছের উপর আছড়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়৷ পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসার শেষে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে এনাম মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তার ডা. রাকিব আল মাহমুদ শুভ বলেন, আমরা যখন পেয়েছি তখন চোখের মনি ফিক্সড ছিল। তার হার্টবিট পাইনি, আমরা সাথে সাথে ইসিজি করি। তার বুকের উপর ভারী আঘাতের কালচে চিহ্ন ছিল।

ডিউটি ম্যানেজার সবুজ জানান, সন্ধ্যা ঠিক সাড়ে সাতটায় তাকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তার শরীরে মেজর কোন ইনজুরি পাইনি৷ তবে তার দাঁত পুরো মাড়িসহ বের হয়ে এসেছে। সম্ভবত এ আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে।

তার এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে তার সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ এই ঘটনায় ক্যাম্পাসে বেপরোয়া যান চলাচল ও প্রশাসনের অবহেলাকে দুষছেন শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যে পরিমাণ অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি রয়েছে তারা চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ অটোরিকশা চলছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। এই বিষয়ে এস্টেট শাখার আব্দুর রহমানকে একাধিক ফোনকলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

এই ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিচার চেয়ে তারা বলেন, এই ঘটনায় কোনভাবেই প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না। পরবর্তীতে ক্যাম্পাসের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, সড়ক উন্নয়ন ও সার্বিক নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ডেকেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।