চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে আন্দোলনকারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
এর আগে সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৪টায় উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। প্রায় দেড়ঘণ্টা বৈঠক শেষে আন্দোলন প্রত্যাহারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন উপস্থিত নেতা-কর্মীরা।
বৈঠকে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘দায়েরকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হবে বলে উপাচার্য স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। একই সঙ্গে বিগত সময়ে দায়ের করা বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলার বিষয়েও সমাধান করবে। এ কারণে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি এবং বিভ্রান্তির ঘটনা ঘটেছে। দায়ের করা মামলাটি অস্ত্র মামলা নয়, এটি যেকোনো সময় জামিনযোগ্য একটি মামলা। পুলিশও আমাদের সকল প্রকার সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি সুরাহা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরাও আমার কাছে ভুল স্বীকার করেছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) যথারীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা সচল হবে।’
এদিকে ধর্মঘট পালনকারী নেতা-কর্মীরা প্রক্টর ও হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) অপসারণও চেয়েছিল।
বৈঠকে অংশ নেওয়া এক ছাত্রলীগ কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা হাটহাজারী থানার ওসির অপসারণের বিষয়টি তুলে ধরেছিলাম। স্যাররা বলেছেন বিষয়টি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জানাবেন।’
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। কয়েক দফা সংঘর্ষের পর রাতে পাঁচটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালিয়ে ২টি পাইপ গান, ১১২ রাউন্ড গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন ফের ছাত্রলীগের বিবদমান দুটি গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। এরপর ৬ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র মামলা দায়ের করে।
এরপর সংঘর্ষে অংশ নেওয়া দুটি পক্ষ একত্রিত হয়ে রোববার (৭ এপ্রিল) ধর্মঘটের ডাক দেয়। ধর্মঘটের এক পর্যায়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। ঘটনাস্থলে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করলেও প্রশাসনের মধ্যস্থতায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ শুরু করলে তাদের ডেকে বৈঠক করেন উপাচার্য।