গাছ থেকে পড়ে ঢাবির দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু তারিখ এক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) গত বছরের ৯ মে এবং চলতি বছরের একই তারিখে একই রকম ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে শোকাহত ক্যাম্পাস। এমন মৃত্যু মানতে যেন পারছেন না সহপাঠী ও শিক্ষকরা।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ মে আম পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে মৃত্যুবরণ করেন শেখ ওমর তৌফিক নামের এক শিক্ষার্থী। এদিকে বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে নারকেল গাছ থেকে ডাব পাড়তে গিয়ে বরুণ বিশ্বাস নামের আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। কাকতালীয়ভাবে বছর ভেদে একই তারিখে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় শিক্ষার্থীদের মাঝে চাপা আতঙ্ক কাজ করছে।
জানা যায়, গত বছরের ৯ মে রাতের বেলায় বন্ধুদের সঙ্গে আম পাড়তে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন আম গাছ থেকে পড়ে মৃত্যুবরণ করেন শেখ ওমর তৌফিক নামের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। মস্তিষ্কে প্রচণ্ড রক্ত ক্ষরণের ফলে তাকে বাঁচানো যায়নি। বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তৌফিক। উর্দুভাষা ও সাহিত্য বিভাগের এই শিক্ষার্থী কবি জসিম উদ্দিন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। দেশের বাড়ি ঝিনাইদহ।
এদিকে যেন সে ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল, ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী বরুণ বিশ্বাসের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। সহপাঠী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে জগন্নাথ হল চত্বরের একটি নারকেল গাছে ডাব পাড়তে ওঠেন বরুণ। কিন্তু অসাবধানতাবসত গাছ থেকে পড়ে যান। পরে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দুজনের মৃত্যুর ধরণ একই উল্লেখ করে ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আইয়ুব বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'সেদিন তৌফিক মারা গেছে আম গাছ থেকে পড়ে আর আজ বরুণ মারা গেছে নারকেল গাছ থেকে পড়ে। দুজনের মৃত্যু একই। প্রথম বর্ষে তৌফিকের সাথে যেমন ভালো বন্ধুত্ব ছিল তেমন বরুণের সাথেও। দুটি মৃত্যু সত্যিই অনেক পীড়াদায়ক এবং কষ্টের। কোনোভাবেই নিজকে বোঝাতে পারছি না।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড একেএম গোলাম রাব্বানী এসব ঘটনাকে খুবই দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক উল্লেখ করে বলেন, 'এর আগেও আম গাছ থেকে পড়ে আমাদের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে তবুও কেন শিক্ষার্থীরা সচেতন হচ্ছে না।' জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের এ ধরনের কাজ থেকে দূরে থাকার আহবান জানান তিনি।