ইবি প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা

  • ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) যোগদানকারী নতুন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের তালা লাগিয়ে দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করতে থাকেন তারা। এতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহগামী ক্যাম্পাসের বাস আকটা পড়ে। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের অপসারণের দাবি নিয়ে দুপুর ১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর সঙ্গে দেখা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা প্রক্টরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবি জানান।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় প্রশাসন ভবন থেকে বেরিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলে অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের বিরূদ্ধে বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

বিজ্ঞাপন

মিছিলটি ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে অবস্থান নিয়ে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন নেতাকর্মীরা। এতে আটকা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহনকারী দুপুর ২টার গাড়ি।

ইবি প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা

এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহে অবস্থানকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের মধ্যে অনেকে লাইনের গাড়িতে করে চলে যেতে দেখা যায়। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বিকেল ৫টার দিকে তালা খুলে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এদিকে প্রধান ফটকের তালা খুলে দেওয়ার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। প্রতিবেদন লেখা অবধি ছাত্রলীগ তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ড. মাহবুবর সব বময় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। জাতির পিতার হাতে গড়া একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী একজন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে দায়িত্বে থাকতে পারে না।

এ সময় তারা প্রক্টরের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জিম্মি করে কোনো দাবি আদায় করা যায় না। ছাত্রলীগকে বলা হয়েছে, একটু সময় দিতে। যোগ্যতা সম্পন্ন কাউকে পেলে নতুন প্রক্টর নিয়োগ দেওয়া হবে।'

প্রসঙ্গত, গত ২১ সেপ্টেম্বর তৃতীয়বারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে যোগদান করে অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান। দায়িত্ব নেওয়ার পর ওইদিনই ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের নিকট তার অপসারণের দাবি জানান।