বিএনপি-জামায়াত দুষ্টুচক্র: নাসিম

  • রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বক্তব্য রাখছেন নাসিম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বক্তব্য রাখছেন নাসিম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বিএনপি-জামায়াতকে দুষ্টুচক্র বলে মন্তব্য করেছেন ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

নাসিম বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত হচ্ছে এদেশের সবচেয়ে দুষ্টুচক্র ও বিষাক্ত সাপের মতো। তাদের চক্রান্তে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়নি। চার নেতা হত্যার বিচারও হয়নি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে খুনিদের বিচার হয়েছে। কিন্তু চক্রের বিচার হয়নি। আমি আইনমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো যাতে এই চক্রের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।’

তিনি বলেন, ‘সংসদে জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচার চাইলে সেদিন তারা তামাশা করেছিল। তারা আমাদেরকে আইন ও গণতন্ত্র শেখানোর চেষ্টা করে। কি দোষ ছিল বঙ্গবন্ধুর? কি দোষ ছিল চার নেতার? কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িত চক্রের বিচারকে বাতিল করতে নতুন আইন করেছিল তারা। আর ব্যারিস্টার মওদুদের চক্রান্তের ফলে জাতীয় চার নেতার খুনিদেরকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। যাতে সেটির কোনো বিচার না হয়। সেজন্য পাঁচ বছর কোনো বিচারক নিয়োগ দেননি। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল তারাই এই চার নেতাকে হত্যা করেছে। সেদিন কোথায় ছিল সংবিধান? কোথায় ছিল গণতন্ত্র?’

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘চাইলে সরকারি চাকরি করতে পারতাম। কিন্তু জীবন-যৌবন দল গঠনে দিয়েছি। কারণ কামারুজ্জামানের রক্ত আমার শরীরে বইছে। তিনি ক্ষমতার লোভে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেঈমানি করেননি।’

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, ‘জাতীয় চার নেতাকে হত্যা কোনো ব্যক্তির ক্ষতি নয়। এটি পুরো দেশ ও জাতির ক্ষতি। পঁচাত্তরে সেই জাতির পিতার হত্যা এবং তার পরেই পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। তারা জানে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে এই চার নেতা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন, নয় মাসের মধ্যে দেশ স্বাধীন করেছেন এবং পরবর্তীতে তারাই দেশকে নেতৃত্ব দিবে।’

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।