নোবিপ্রবিতে চরম আবাসন সংকট, একমাত্র ছাত্রহলটিও বন্ধ

  • নোবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নোয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) দিন দিন বাড়ছে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট। তার ওপর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গত দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একমাত্র আব্দুস সালাম হল।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থী আছেন। তাদের জন্য রয়েছে মাত্র ৫টি হল। যার মধ্যে ছেলেদের জন্য মাত্র একটি হল আছে এবং আব্দুল মালেক উকিল হলে আগে মেয়েরা থাকায় সেটি এখন সংস্কারাধীন। সংস্কারের পরে ছাত্রদের তোলা হবে। আর বাকি তিনটি হল ছাত্রীদের জন্য। যার মধ্যে দুটিতে বর্তমানে ছাত্রীরা থাকেন এবং একটি নির্মাণাধীন।

বিজ্ঞাপন

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নোবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও আচার্য আব্দুল হামিদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল উদ্বোধন করেন। ফলে আব্দুল মালেক উকিল হল থেকে ছাত্রীদের সেখানে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু উদ্বোধনের পর নানামুখী জটিলতায় শিক্ষার্থীদের হলে তুলতে বিলম্ব হয়।

অন্যদিকে, ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ছাত্রদের জন্য একমাত্র ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলটি বন্ধ রয়েছে গত দুই মাস ধরে। ফলে ছাত্রদের এখন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের থাকতে হচ্ছে মেসে। হলটি কবে নাগাদ খোলা হবে সে বিষয়ে প্রশাসন কিছুই জানাতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আরাফাত বলেন, 'হঠাৎ করে হল বন্ধ ঘোষণা করায় সাধারণ ছাত্ররা বাধ্য হয়ে চড়া দামে বাসা ভাড়া দিয়ে থাকছেন। ছাত্রলীগের সংঘর্ষে হল দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকলেও এখনো চালু হয়নি। তাই ছাত্রদের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত হলটি খোলার ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।'

ইনফরমেশন টেকনোলোজি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী এম এইচ নিলয় বলেন, ‘হল বন্ধ থাকায় বাইরের মেস বা বাসাগুলোতে অনেক চাপ। এছাড়া পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় গাড়িতে ঝুলে ক্যাম্পাসে আসেন অনেকে।'

এবিষয়ে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের নতুন প্রভোস্ট ড. মো. আনিসুজ্জামান বলেন, 'হলটির সংস্কার প্রয়োজন। তাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে হল মেরামতের জন্য বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপর দ্রুত কাজ শেষ করে ছাত্রদের হলটি খুলে দেওয়া হবে।'

অন্যদিকে আবদুল মালেক উকিল হল ফাঁকা হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলটিতে ছাত্রদের তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ২৩ অক্টোবর থেকে আবেদন শুরু হয়ে ৭ নভেম্বর আবেদনের সময় শেষ হয়।

আবদুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, 'হলে সিট পেতে মোট ১৪০০টি আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু হলে সিট আছে মাত্র ৪৫০টি। ছাত্রদের ভাইভা নিয়ে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ মাসের শেষে ছাত্ররা হলে উঠতে পারবে। চলতি সপ্তাহে ভাইভা নেওয়া শুরু হবে।'