ঢাবিতে নানা আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ

স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৭১ সালের এইদিনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে কয়েকশ কবি, সাহিত্যিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংবাদিককে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি নরপিশাচরা। মৃতদের অধিকাংশই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

তাই দিনটিকে আড়ম্বরপূর্ণ ভাবেই পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনে উত্তোলন করা হয় কালো পতাকা। এরপর সকালে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা জমায়েত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান, জগন্নাথ হলে স্মৃতিসৌধ এবং বিভিন্ন আবাসিক হলের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর উপাচার্যের নেতৃত্বে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

টিএসসি মিলনায়তনে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা

পরে সকাল ১১টায় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে শহীদদের স্মরণে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবীরা একটি অসাম্প্রদায়িক, উদার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পন্ন স্বাধীন দেশ গড়তে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পাকিস্তান ও তাদের দোসররা ১৪ ডিসেম্বরের এ নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালায়।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রো ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড মুহাম্মদ সামাদ, রেজিস্টার এনামুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল, ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডিন শিবলী রুবায়াতুল ইসলাম, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।

এছাড়া দুপুরে বাদ জোহর মসজিদ এবং উপসানালয়ে শহীদদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।

   

ঢাবিতে ‌‘তিতাস’ এর নতুন কমিটির সভাপতি মাহমুদ, সম্পাদক রিয়াদ



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাবিতে ‌‘তিতাস’ এর নতুন কমিটির সভাপতি মাহমুদ, সম্পাদক রিয়াদ

ঢাবিতে ‌‘তিতাস’ এর নতুন কমিটির সভাপতি মাহমুদ, সম্পাদক রিয়াদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের (তিতাস) নতুন নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি মনোনীত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এমবিএ'র শিক্ষার্থী রেজাউল করিম রিয়াদ। তারা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।

গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে সংগঠনের উপদেষ্টা কমিটির এক সভা শেষে সভাপতি নুর আল-আমিন ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি প্রকাশ করা হয়।

উপদেষ্টা কমিটির এই সভায় উপস্থিত ছিলেন- মুরাদ হায়দার টিপু, ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী সজীব, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ লিমন, মাহমুদ আবদুল্লাহ বিন মুন্সী, আরিফুল ইসলাম আরিফ, জহিরুল ইসলাম শিশির, নাজমুল হাসান রনি, আমান উল্লাহ আমান, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. লুৎফর রহমান, জাকারিয়া খান শাকিল, মাহমুদুল হাসান পলাশ, তারিকুল ইসলাম রাজিব, ইমরান হাসান, ইসরাত জাহান নূর ইভা, সাকিব আল হাসান, ইরফান খন্দকার সোহেল, ফাল্গনী দাস তন্নী, কে এম শরিফুল আলম।

সংগঠনের সভাপতি মাহমুদ হাসান বলেন, আমাদের ওপর আস্থা রেখে সকলের মতামতের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ভাইয়েরা যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব শতভাগ নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে। আমি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি।

সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিয়াদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিক্ষার্থীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই সংগঠন। তাই আমরা সবসময় চেষ্টা করব সাবেকদের পরামর্শ এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও মতামতের ভিত্তিতে সংগঠন পরিচালিত করার।

;

চাকরিতে ৩৫ প্রত্যাশীদের সমাবেশ, পদযাত্রায় আটক ১০



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে সমাবেশ করছেন একদল শিক্ষার্থী। সমাবেশ থেকে চাকরি প্রত্যাশীরা গণভবন অভিমুখে পদযাত্রা করলে শাহবাগে পুলিশের বাধায় পদযাত্রা থামাতে বাধ্য হন তারা। এ সময় ১০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদ’ এর ব্যানারে এই সমাবেশ ও পদযাত্রা আরম্ভ করেন তারা। সমাবেশ শেষে পদযাত্রাকালে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ তাদেরকে বাধা দিলে শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সাথে হাতাহাতি হয়, এক পর্যায়ে ১০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করেন পুলিশ।

চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের পরিষদের সমন্বয়ক শরিফুল ইসলাম শুভ এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা আবার রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ জানাতে একত্র হবো এখন। যতোক্ষণ ওরা ছাড়া না পায় ততক্ষণ অবস্থান করব।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার দায়িত্বরত ওসি মো .মোস্তাজিজুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

এর আগে, সমাবেশে ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্বের প্রায় ১৬২টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৩৫ বছর, তার মধ্যে কিছু দেশে তা উন্মুক্ত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল হয়েও বিভিন্ন রাজ্যভেদে চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর, মালদ্বীপে ৪৫ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর, নেপালে ৩৫ বছর, আফগানিস্তানে ৩৫ বছর। ভারতসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো অনেক গবেষণা করেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে ন্যূনতম ৩৫ বছর করেছে। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩০ বছর। পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল, এক নম্বর অর্থনীতি ও উদীয়মান পরাশক্তি রাষ্ট্র চীনেও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত।

তারা আরো বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে প্রায় আড়াই বছর যাবত তেমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি বা নিয়োগ পরীক্ষা হয়নি। বাংলাদেশ থেকে লকডাউন উঠিয়ে নেওয়ার পর থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে ১০-১৫টি বা ততোধিক পরীক্ষা একই দিনে, একই সময়ে হয়েছে। ফলে পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে অনেক চাকরি প্রত্যাশী। কোভিড-১৯ এর শুরুতে যাদের বয়স ২৭-২৯ বছর ছিল তাদের বয়স এখন ৩০ বা ততোধিক। ফলে চাকরি প্রার্থীরা বাস্তবিক অর্থে প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় ৩০ বছরের পরিবর্তে সাড়ে ২৭ বছর পেয়েছে। আমরা সার্টিফিকেটধারী শিক্ষার্থীরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারিনি।

চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের পরিষদের সমন্বয়ক শরিফুল ইসলাম শুভ বলেন, আমরা চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি চাই। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ চাই। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩০ আগস্ট থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছি। সরকারি-বেসরকারি, আধা সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিতসহ দেশে বিদ্যমান সব ধরনের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে হবে। বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু এখনো এটা বাস্তবায়ন করা হয়নি।

;

ইবির ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন, উপস্থিতি ৯৩ শতাংশ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এবছরের মতো ভর্তি পরীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে। আজকের ‘ডি’ ইউনিট তথা ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিলো ৯৩ শতাংশ।

শনিবার (১১ মে) দুপুর ২টায় সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডীন ও পরীক্ষার সমন্বয়ক ড. আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী। এদিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি একাডেমিক ভবনে স্বতন্ত্র ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এ বছরের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

এসময় তিনি জানান, ‘ডি’ ইউনিটভুক্ত ধর্মতত্ত্ব অনুষদের তিনটি ও কলা অনুষদের একটি বিভাগে মোট ৩২০টি আসনের বিপরীতে আবেদনকারী ১ হাজার ৯০৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৭৭৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। যার শতকরা হার ৯৩ শতাংশ। তিনি বলেন, আমরা সন্তুষ্ট। পরীক্ষার হল চমৎকার ছিল। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসানসহ পরিদর্শন টিমের সদস্যবৃন্দ নিয়মিত পরীক্ষা কক্ষ পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।

এসময় তিনি বলেন, আপনারা সংবাদকর্মীরা তো সব অবজারভেশনে রাখছেন। কোনো রকম অসংগতি ছাড়াই অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষ করে আজকের পরীক্ষাটা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি। এই পরীক্ষা চলছে। এখন আমাদের লক্ষ্য এই সেশন নিয়ে ভাবা যেন সুষ্ঠুভাবে দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরে যেতে পারি।

 

;

ইবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি: প্রায় দুই বছর পর পরিচয় পেল নেতাকর্মীরা



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ প্রায় দুই বছর পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

২০২২ সালের ১ আগস্ট কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ইবি শাখা ছাত্রলীগের ২৪ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটি গঠনের এক বছর আট মাস পর এসে পূর্ণাঙ্গ একটি কমিটি গঠন করলো ইবি শাখা ছাত্রলীগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নতুন করে ৮৪টি পদে মোট ১৯৯ জনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ নিশ্চিত করেছেন ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত।

এর মধ্যে সহ-সভাপতি পদে তন্ময় সাহা টনি, মো. আল মামুন, নাইমুল ইসলাম জয়, বনি আমিন, মৃদুল হাসান রাব্বি, সোহানুর রহমান সিদ্দিকী সহ মোট ৭১ জন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে মুজাহিদুল ইসলাম, হুসাইন মজুমদার, মেহেদী হাসান হাফিজ, শাহিন আলম, তরিকুল ইসলাম তরুনসহ মোট ২২ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মো. জাকির হোসেন, সোহাগ শেখ, মেজবাহুল ইসলাম সহ মোট ১১ জনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। নতুন কমিটির দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কামাল হোসেন , উপ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আরও ২ জন,প্রচার সম্পাদক হিসেবে আছেন নাবিল হাসান ইমন এবং পাশাপাশি উপ-প্রচার সম্পাদক পদে আরো ২ জন রয়েছেন। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আশিক হোসেন, উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আরও ১ জন। এছাড়াও বিভিন্ন সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় পদে মোট ৮২ জন কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবে আছেন ১৫ জন এবং সদস্য হিসেবে আছেন ৭ জন।

এ বিষয়ে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন পেয়েছে। আমরা ইবি শাখা ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি সাদ্দাম ভাই এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ইনান ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আগামী দিনগুলোতে ইবি শাখা ছাত্রলীগ কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আরো সুন্দর ও স্পৃহা নিয়ে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা করছি।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, সাংগঠনিক একটি পরিচয় পাওয়া প্রতিটি কর্মীর জন্য একটি গর্বের বিষয়। সকল ষড়যন্ত্র ভেঙ্গে দীর্ঘ ৮ বছর পরে যে ইবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা একটি পরিচয় পেয়েছে, এতে কর্মীদের চেয়ে আমরাই বেশি খুশি।

উল্লেখ্য, আংশিক কমিটি ঘোষণার অন্তত ৯ মাস পর শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জীবন বৃত্তান্ত গ্রহণ করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে এক বছর ৮ মাস পর ইবি শাখা ছাত্রলীগ পূর্ণাঙ্গ কমিটির ছোঁয়া পেলো। ফলে দীর্ঘদিন ধরে পরিচয়হীনতার অভিযোগ করে আসা নেতাকর্মীরাও তাদের পরিচয় প্রদানের সুযোগ পেলো।

;