দমদমা বধ্যভূমি সংস্কার কাজ শুরু জানুয়ারিতে: বেরোবি ভিসি



বেরোবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন বেরোবি ভিসি

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন বেরোবি ভিসি

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী বছরের জানুয়ারিতে দমদমা বধ্যভূমির সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ড. নাজমুল হাসান বলেন, দমদমা বধ্যভূমি মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার নীরব সাক্ষী। রংপুর অঞ্চল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ঐতিহাসিক স্থানটি সংস্কার করা জরুরি। তাই ২০১৯-২০ অর্থবছরেই (জানুয়ারি থেকে) এর সংস্কার কাজ শুরু হবে। সংস্কার ও সংরক্ষণে জন্য ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. আর এম হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মো. আতিউর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কর্ণেল আবু হেনা মুস্তাফা কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

   

'জাতীয় পরিবেশ পদক' পাচ্ছেন জাবি অধ্যাপক ড. মনোয়ার



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
'জাতীয় পরিবেশ পদক' পাচ্ছেন জাবি অধ্যাপক ড. মনোয়ার

'জাতীয় পরিবেশ পদক' পাচ্ছেন জাবি অধ্যাপক ড. মনোয়ার

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন বিভাগে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ‘জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৩’ এর জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন৷ এর আগে গত ০৯ মে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে ড. মো. মনোয়ার হোসেনের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ এ পদক প্রাপ্তির জন্য মনোনয়নের তথ্য জানায়।

পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সাল থেকে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রদান করে আসছে৷ ব্যক্তিগত পর্যায়ে ৩টি এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ৩টিসহ মোট ৬ শাখায় এ পদক প্রদান করা হয়৷ তবে এ বছর তিন ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পরিবেশ পদকের জন্য মনোনীত করা হয়৷

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পূর্বক পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ এ পদক প্রাপ্তির জন্য মনোনীত হওয়ায় অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, যেকোনো স্বীকৃতি মানুষকে অনুপ্রাণিত করে৷ আমি সম্মানিত বোধ করছি যে, রাষ্ট্র আমাকে এ পদক দিয়ে সম্মানিত করছে। কাজের স্বীকৃতি কাজের পরিধি বাড়িয়ে দেয়। তাই বলতে হয়, এখনো এ দেশের প্রাণ-প্রকৃতির জন্য অনেক কিছুই করার বাকি৷ আমরা প্রজাপতি ও প্রকৃতি নিয়ে ২০১০ থেকে এখন অবধি গবেষণা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি৷ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে প্রতি বছর প্রজাপতি মেলার আয়োজন করে যাচ্ছি৷ প্রজাপতি তার সৌন্দর্য ছড়ানোর পাশাপাশি প্রকৃতিতে উদ্ভিদের পরাগায়নে সাহায্য করে। এর মাধ্যমেই উদ্ভিদ বংশবিস্তার করতে সক্ষম হয়। প্রজাপতি টিকে থাকলে সবুজ বন টিকে থাকবে। আর সবুজ বন টিকে থাকলে আমরা অনেক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রাণ-প্রকৃতিকে পরিবেশ রক্ষায় যেকোনো মূল্যে ধরে রাখতে হবে। পাখি, জলাশয়, লেক, সাপ, ব্যাঙসহ সকল ধরনের প্রাণী রক্ষায় আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় আমাদের কাজ করে যেতে হবে।

এদিকে আজ এক অভিনন্দন বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, ড. মনোয়ার হোসেন ‘জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৩’ এর জন্য মনোনীত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনন্দিত। এ পদক পরিবেশ বিষয়ে তার গবেষণা ও উদ্ভাবনে নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি। এতে বিশ্ববিদ্যালয় সুনাম ও গৌরব বৃদ্ধি পেয়েছে। শেষে উপাচার্য ড. মনোয়ার হোসেনের অব্যাহত সাফল্য কামনা করেন।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন এর আগে বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে অসামান্য অবদানের জন্য ‘প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন-চ্যানেল আই প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক-২০২০’ লাভ করেন। তিনি প্রজাপতি, মৌমাছি, ফড়িংসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী বিষয়ে অধ্যয়ন, অধ্যাপনা এবং গবেষণা করে আসছেন।

জাতীয় পরিবেশ পদক পাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাইশ ক্যারেট মানের দুই তোলা ওজনের স্বর্ণের বাজার মূল্য ও অতিরিক্ত আরও ৫০ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়ে থাকে৷

;

খুবিতে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৪ শিক্ষক



ডিস্ট্রিক করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
খুবিতে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৪ শিক্ষক

খুবিতে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৪ শিক্ষক

  • Font increase
  • Font Decrease

গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ স্কুলের ৪ জন শিক্ষককে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষককে তিনি ৫০ হাজার টাকার চেক, সনদপত্র ও মেডেল তুলে দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।

অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দ হলেন- বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলভুক্ত কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. অনুপম কুমার বৈরাগী, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলভুক্ত অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার, জীববিজ্ঞান স্কুলভুক্ত ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. শেখ জামাল উদ্দিন এবং কলা ও মানবিক স্কুলভুক্ত বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. দুলাল হোসেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, শিক্ষা, গবেষণা ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে রিসার্চ ফোকাসড ইউনিভার্সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে। এই কৃতিত্ব শিক্ষকমণ্ডলীর। আজ যে সকল শিক্ষকরা ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন তাদের গর্বে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত।

তিনি বলেন, শিক্ষকরা এখন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে গবেষণা অনুদান পাচ্ছেন, কিন্তু আন্তর্জাতিক উৎস থেকে গবেষণা অনুদান কমে গেছে। শিক্ষকদের উচিত এখন গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করা। টানা দু’বছর ধরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাংকিং এবং কিউএস র‍্যাংকিংয়ে স্থান করে নিয়েছে। এই র‍্যাংকিং ধরে রাখতে আরও বেশি গবেষণা প্রয়োজন। এজন্য আন্তর্জাতিক উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ ও বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সাথে কোলাবরেশন প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখন থেকে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গবেষণা তহবিল ‘রিসার্চ ইনডোমেন্ট ফান্ড’ গঠন করা হয়েছে। এই ফান্ডে ২০ কোটি টাকা জমা হলে, তা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের গবেষণাকার্য নিজেরাই পরিচালনা করতে পারবে। এই ফান্ডে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা জমা হয়েছে। এই ফান্ডের অর্থ বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের অ্যালামনাইদের এগিয়ে আসতে তিনি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মোহাম্মদ দিদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সেন্টারের যুগ্ম পরিচালক প্রফেসর ড. তরুণ কান্তি বোস। সঞ্চালনা করেন সেন্টারের যুগ্ম পরিচালক প্রফেসর ড. মাসুদুর রহমান। অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, শিক্ষকবৃন্দ ও অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

ক্যাম্পাস চালুর দাবিতে কুবিতে প্রতীকী ক্লাস



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ববিদ্যালয় অনতিবিলম্বে চালুর দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে প্রতীকী ক্লাস করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

রোববার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাডমিন্টন কোর্টে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই প্রতীকী ক্লাস করা হয়।

প্রতীকী ক্লাসে ক্যাম্পাসে বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আহমেদ আবির রায়হান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী আরমানুল হক। সকল সমস্যা দ্রুত সমাধান এবং দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা একাত্মতা প্রকাশ করেন।

প্রতীকী ক্লাসে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আবির রায়হান বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি আমরা কয়েকভাবে নৈতিক অবক্ষয় দেখতে পাই। প্রথমটি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের অধিকার ছিন্ন করা। এই নৈতিক অবক্ষয়টা আমাদের গুরুজনদের থেকেই হয়েছে। স্বাভাবিক নিয়মে আমাদের ক্লাস, পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজকে এই স্বাভাবিক নিয়মটা ভঙ্গ হওয়ার পিছনে আমরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থী দুই পক্ষই দায়ী। কারণ আমরা কখনও কোনো আওয়াজ বা প্রশ্ন তুলিনি।''

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী আরমানুল হক বলেন, ‘আমাদের দেখা যাচ্ছে স্নাতক-স্নাতকোত্তর পাশ করতেই পঁচিশ, ছাব্বিশ বছর পার হয়ে যাচ্ছে। অন্যদের তুলনায় আমরা ক্যারিয়ারে অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি। এর দায়ভারটা কে নিবে? উপাচার্য ও শিক্ষকদের ব্লেইম গেমে ক্ষতি হচ্ছে আমাদের। তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ফলাফল আমাদের ক্লাস বন্ধ। এখানে আমাদের লাভ কী?'

উল্লেখ্য, শিক্ষক সমিতি-উপাচার্য দ্বন্দ্বের জেরে ৩০ এপ্রিল ৯৩ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

;

গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬০ শতাংশ



যবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত জিএসটির ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ পরীক্ষায় পাসের হার ৬০ দশমিক ৪২ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা  রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে ঢুকে তাঁদের ফলাফল জানতে পারবেন।

রোববার (১২ মে) সকালে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের কাছে টেকনিক্যাল কমিটির পক্ষ থেকে ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল তুলে দেওয়া হয়। পরে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভায় উপস্থাপনের পর তা প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ঘোষিত ফলাফলে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য এ বছর ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। এরমধ্যে ৩৫ হাজার ১৬৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তারমধ্যে ২১ হাজার ২৪৮ জন শিক্ষার্থী ৩০ নম্বরের উপরে পেয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যার হিসাবে পাসের হার ৬০ দশমিক ৪২ শতাংশ। এছাড়া বিভিন্ন কারণে ০.০২ শতাংশ তথা ৭ জন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটির ওয়েবসাইট https://gstadmission.ac.bd থেকে ফলাফল জানতে পারবেন।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ‘সি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৮৬ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন মো. রাশেদ ফরাজি। কৃতিত্বপূর্ণ এ শিক্ষার্থী চাঁদপুর সরকারি কলেজে পড়াশোনা করেছেন, তাঁর রোল নং ৫০১৯৬৩ এবং কেন্দ্র ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া ৮৫ নম্বরের উপরে ২ জন, ৮০ নম্বরের উপরে ২৯ জন, ৭৫ নম্বরের উপরে ১৬৭ জন, ৭০ নম্বরের উপরে ৫৮৬ জন, ৬৫ নম্বরের উপরে ১৪৭৭ জন, ৬০ নম্বরের উপরে ২৯৩২ জন, ৫৫ নম্বরের উপরে ৫০০৩ জন, ৫০ নম্বরের উপরে ৭৬২৭ জন, ৪৫ নম্বরের উপরে ১০৬৯৩ জন, ৪০ নম্বরের উপরে ১৪০১৩ জন, ৩৫ নম্বরের উপরে ১৭৪৯৩ জন এবং ৩০ নম্বরের উপরে ২১২৪৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। গত ১০ মে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৩ হাজার ৬২৯টি আসন রয়েছে। ইতোমধ্যে ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে। ‘এ’ ইউনিটভুক্ত বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৫০ হাজার ৭৬০ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। সেই হিসেবে ‘এ’ ইউনিটে পাসের হার ৩৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ‘বি’ ইউনিটভুক্ত মানবিক বিভাগ থেকে ৩১ হাজার ৮১ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। সে হিসেবে পাসে হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। দেশের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটে ভর্তির জন্য ১২ হাজার ৪০২টি এবং ‘বি’ ইউনিটে ভর্তির জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে।

‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের সময় অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো তিনটি ইউনিটে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হলো। খুব দ্রুতই গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তির পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যাঁরা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাঁদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের সামরিক-বেসামরিক, আধা-সামরিক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

যবিপ্রবিতে এসে ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ সংক্রান্ত সার্বিক বিষয় প্রত্যক্ষ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুরের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনার উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু নঈম শেখ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন, জিএসটির টেকনিক্যাল উপ-কমিটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল, ভর্তির পরবর্তী প্রক্রিয়াসহ অন্যান্য সকল তথ্য https://gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইট এবং জিএসটিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

 

;