ফারাবী আবারও আইসিইউতে, আশঙ্কাজনক সুহেল
অবস্থার অবনতি হওয়ায় তুহিন ফারাবীকে আবারও নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে। অপারেশনের পর আশঙ্কাজনক অবস্থার কারণে সুহেলকেও আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আহতদের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের অবস্থা জানাতে গিয়ে রাশেদ বলেন, আমাদের দুইজনকে আবারও আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভর্তিদের অনেকে রক্তবমি করছে এবং অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।
চাটার্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ফারাবীর অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ফারাবীকে গতকাল কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ আবার আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। এর আগে রোববার (২২ ডিসেম্বর) ডাকসু ভিপির ওপর হামলার সময় ফারাবীকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়।
মাথায় রক্ত জমাট থাকায় অপারেশন হয়েছে সুহেলের। কিন্তু আশঙ্কাজনক অবস্থা হওয়ায় সেও এখন আইসিইউতে। মাঝে মধ্যে জ্ঞান আসলেও আবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে বলে জানান রাশেদ।
এছাড়া নুর বমি করছে। শরীরের বাম পাশে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। আরিফুল ইসলামও বমি করছে ও নাজমুল ইসলামের হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
ফারুক হাসানের কানে আঘাত করা হয়েছে। কানে শুনতে পাচ্ছে না এখনও। নুরের ছোট ভাই আমিনুর জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে মাঝে মধ্যে। রক্ত বমি করছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান রাশেদ। সবার অবস্থার অবনতি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
গ্রেফতারের ঘটনায় রাশেদ বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাচ্ছি না। মানুষকে জাস্ট ধোঁকা দেওয়ার জন্য তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল আসামি সনজিত-সাদ্দাম। তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাদের এখনও গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করা হয়েছে প্রক্টরের মদদে দাবি করে রাশেদ বলেন, অনেক কাকুতি-মিনতি করার পরও তিনি আমাদের কথা শুনেননি। আমাদের গালিগালাজ করেছে। এই হামলার সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সিসিটিভি-ফুটেজ তার মদদেই গায়েব করা হয়েছে।