সর্বরোগের মহা চিকিৎসা!

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মুকাভিনয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মুকাভিনয়

সর্বরোগের মহা চিকিৎসা! কথাটি শুনলেই কেমন জানি মনে হয়। কারণ পৃথিবীর কোনো ডাক্তারই সর্বরোগের মহা চিকিৎসা দিতে পারে না।

তবে এটা সম্ভব। কথাটি শুনে চোখ ওপরে ওঠে গেল! হ্যাঁ একজনই মানুষই পারেন। সে নামটা অবশ্যই সবার জানা। তিনি হলেন গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তার। রোগ নির্ণয় করতে গিয়ে হাতড়ে মরেন এমন ব্যক্তিকেই হাতুড়ে ডাক্তার বলে। তিনি সব বিষয়ে জান্তা, পৃথিবীর কোনো রোগই তার নখ-দর্পণের বাইরে নয়।

বিজ্ঞাপন

রোগ নির্ণয় করতে গিয়ে হাতড়ে মরার এমন নানা দৃশ্যপট মুকাভিনয়ের মাধ্যমে দেখিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইম অ্যাকশনের অভিনেতারা।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সর্বরোগের চিকিৎসা নামক ঘরোয়া চিকিৎসার দৃশ্য মুকাভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের দেখিয়েছেন আয়োজকরা।

বিজ্ঞাপন

এতে দেখা যায়, হাতুড়ে ডাক্তার ও তার সহযোগী এক ডায়রিয়া রোগীকে বিভিন্নভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন। তাদের বিভিন্ন ধরনের টেকনিক প্রয়োগ করে তাকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থও করে তোলেন।

মুকাভিনয়

দ্বিতীয় দৃশ্যে দেখা যায়, একজন মৃগী রোগী। যে কাঁপতে কাঁপতে তাদের কাছে আসেন। ডাক্তার (আমিন) ও তার সহযোগী (রুসাইয়া) রোগীকে একটি টেবিলে চিৎ করে শুইয়ে দিয়ে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। কিন্তু কোনোভাবেই রোগী সেরে উঠছে না। সমস্যা আরও বেড়ে যায়। পরে রোগী মারা যায়।এক পর্যায়ে ডাক্তার ও তার সহযোগী তা দেখে হয়রান হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

ডাক্তার চরিত্রে অভিনয় করা আমিন জানান, এর মধ্য দিয়ে আমরা একটি বার্তা দিতে চেয়েছি সমাজকে। হাতুড়ে ডাক্তাররা যে সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে মানুষের অনেক বড় সর্বনাশ করে ফেলেন সেই বার্তায় আমরা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

আয়োজকরা জানান, আমাদের এ সংগঠনটি ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দেশের যেকোনো অসঙ্গতির বিরুদ্ধে আমরা সবসময় আমাদের মাইম অ্যাকশনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। নতুন বছর উপলক্ষে আমরা সদস্য আহ্বান করি। সেটাকে সামনে রেখে আমাদের আজকের এই আয়োজন।

এ ধরনের আয়োজন ব্যতিক্রম উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থী। এই আয়োজনটা চোখের সামনে পড়তেই থেমে গিয়েছি এবং বেশ উপভোগ করেছি । মুখে কোনো ধরনের কথা না বলে যে অনেক কিছু দেখানো যায়, সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরা যায় সেটা এই আয়োজন দেখলেই বোঝা যায়।

১৫ -২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের সদস্য আহ্বানের সময় বলেও জানান আয়োজকরা।