জাবি ভিসির অপসারণের দাবিতে ফের আন্দোলনের ডাক

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের সংবাদ সম্মেলন/ ছবি

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের সংবাদ সম্মেলন/ ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে ফের আন্দোলনের ডাক দিয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে প্রকল্পের টাকা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকাসহ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার জন্য ইন্ধনদাতা ও মামলাবাজ হিসেবে উল্লেখ করেন। আর এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে শীঘ্রই উপাচার্যের অপসারণ দাবি করেন তারা এবং একই দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, উপাচার্য কিংবা উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা দাবি করছেন যে আমাদের আন্দোলনের সাথে পাঁচ থেকে দশজন শিক্ষক আছেন। কিন্তু এই নির্বাচন প্রমাণ করে যে আমাদের সর্বনিম্ন ভোট যেটা আমি পেয়েছি সে হিসেবে অন্তত দুইশ শিক্ষক আমাদের সাথে আছেন। সভাপতির ক্ষেত্রেও আমরা প্রায় অর্ধেক ভোট পেয়েছি সেটাও প্রমাণ করে আমাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতার সাথে শিক্ষকদের একটা বড় অংশের সমর্থন আছে। এছাড়া ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নিয়ে যে অস্থিরতা তার সাথেও প্রকল্পের দুর্নীতির যোগাযোগ থাকতে পারে।

বিজ্ঞাপন

নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গণসংযোগ, ৬ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল, ১০ ফেব্রুয়ারি ভিসির অপসারণের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল এবং ১২ তারিখ একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ।

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের সংগঠক মিখা পিরেগু বলেন, দুর্নীতিগ্রস্থ ও হামলাবাজ উপাচার্যকে অপসারণ করে এবং দুর্নীতির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় আইনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে এবং তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, একজন উপাচার্য যিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করতে অপারগ, পুরো প্রশাসন যিনি ভারপ্রাপ্ত দিয়ে নতজানু করে রেখেছেন এবং একের পর এক শিক্ষার্থীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করছেন, তিনি আর যাই হোক কোনোভাবেই একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে টিকে থাকতে পারেন না। এ অবস্থায় আমরা আমাদের নৈতিক ভিত্তি থেকে চলমান দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রনু, অধ্যাপক তারেক রেজা, শাকিল উজ্জামান, নজির আমিন চৌধুরী জয়, শহিদুল ইসলাম পাপ্পু, রাকিবুল রনি, শোভন রহমান, মাহাথির মুহাম্মদ, আবু সাঈদ প্রমুখ।

এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৪৪৫ কোটি টাকার অনুমোদন দেয় একনেক। এরপর থেকে মাস্টারপ্ল্যানের পুনর্বিন্যাস, টেন্ডারে আহ্বানে অস্বচ্ছতাসহ নানা অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। পরবর্তীতে নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে উপাচার্য অপসারণের এক দাবিতে আসেন আন্দোলনকারীরা।

এ দাবিতে গত বছরের ৪ নভেম্বরে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে তার বাসভবনে অবরুদ্ধ করেন আন্দোলনকারীরা। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের একটি অংশ হামলা চালায় আন্দোলনকারীদের উপর হামলায় শিক্ষক, সাংবাদিকসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হন।