বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে আনসার-ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ৫
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের টিকিট কাটতে গিয়ে দায়িত্বরত আনসারদের সঙ্গে প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একটি হলের শিক্ষার্থীদের।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মেডিকেলের বহির্গমন বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি জসিম উদ্দিন হলের ৪ শিক্ষার্থী ও একজন আনসার সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা যায়। গুরুতর আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, হলের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী টিকিট কাটতে বহির্গমন বিভাগে গেলে সিরিয়ালে দাঁড়ানো নিয়ে আনসারদের সঙ্গে তর্কবিতর্কের সূচনা হয়। পরে এক আনসার সদস্য শিক্ষার্থী পিয়াসকে ধাক্কা দেয়। এতে পিয়াস রেগে যায়। পরে ওই শিক্ষার্থীকে আনসাররা আটকে রাখে। খবর পেয়ে তার সহপাঠীরা ১৫-২০ জন সেখানে ছুটে যায়। একপর্যায়ে আনসার ও শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এতে ৩টি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীদের আরেকটি দল হল সংসদ নেতাদের নেতৃত্বে সেখানে গেলে তাদের মেডিকেলের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরবি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম। বাকিদের নাম জানা যায়নি। তাদের ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন আনসাররা যেন ঢাবি শিক্ষার্থী শুনলেই তেলে- বেগুনে জ্বলে উঠে। এর আগে আমাদের দর্শন বিভাগের এক ছাত্রকে মারধর করেছিল। প্রায় সময় খারাপ আচরণ করে তারা।
তবে এ ঘটনা নিয়ে দ্রুত মেডিকেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসার কথা জানিয়েছেন কবি জসিম উদ্দিন হল সংসদের জিএস ইমাম হোসেন। তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস সেখানে ছুটে যান। আহত শিক্ষার্থীদের ঢাকা মেডিকেল পাঠানো হয়েছে। আমরা এখন থানায় আছি। দ্রুত মেডিকেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুনকে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একে এম গোলাম রব্বানী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এসব ঘটনা আসলে খুবই দুঃখজনক, অনাকাঙ্ক্ষিত। আমাদের শিক্ষার্থীরা কেনইবা আনসারদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হবে। ঘটনা শোনার পরপরই আমি মোবাইল টিম, প্রক্টরিয়াল বডিকে সেখানে পাঠিয়েছি। তাদের সাথে পুলিশও ছিল। মেডিকেল কর্তৃপক্ষের সাথে আমার কথা হয়েছে, পাশাপাশি আমাদের ঊর্ধ্বতনদেরও জানিয়েছি। আমরা এটির পেছনের কারণ খুঁজে বের করার জন্য পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছি। যেন কারও প্রতি কোনো অন্যায় করা না হয় সে ব্যাপারটা দেখছি। কর্তৃপক্ষ বসে আইডেন্টিফাই করতে হবে কার কতটুকু অন্যায়। যার যে দায়িত্ব, সে সেটা পালন করবে। সমাধান হয়ে গেলে দুই পক্ষের জন্যই কল্যাণ। তবে শিক্ষার্থীদের সহনশীল হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।