রাবিতে ছাত্রদের অনশন, ৩৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ

  • রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাবিতে অনশনে ছাত্ররা, ছবি: বার্তা২৪.কম

রাবিতে অনশনে ছাত্ররা, ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে টানা ৩৬ ঘণ্টা পার হওয়ার পরও আমরণ অনশন অব্যহত রেখেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত তারা অনশন অব্যাগত রেখেছে।

বিজ্ঞাপন

টানা দুই দিনের অনশনে এ পর্যন্ত ৩৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যাদের মধ্য ৪ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আরও অন্তত ১৭ শিক্ষার্থীকে আন্দোলন স্থলে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে উপাচার্য ঢাকায় মিটিং স্থগিত করে ক্যাম্পাসে আসেন। দুপুর একটা নাগাদ উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান অনশনস্থলে যান। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের সোমবার জরুরি সভা ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়ে অনশন স্থগিতের অনুরোধ জানান।

বিজ্ঞাপন

উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগের নাম পরিবর্তনের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। এটি উপাচার্য বা অন্য কারও একক সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। আগামী সোমবার সিনেট ভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা করব।

কিন্তু শিক্ষার্থীরা আজকের মধ্যে সভা ডেকে আলোচনার দাবি করেন। বিভাগের নাম পরিবর্তনের আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা দেন। এক পর্যায়ে উপাচার্য ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সন্ধ্যায় ফের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান অনশন স্থগিতের অনুরোধ করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করবে না বলে জানান।

আন্দোলনরত তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াদ উদ্দিন পাপন বলেন, অনশন কর্মসূচি শুরুর পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয়, ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর কয়েক দফা শিক্ষার্থীদের কাছে কর্মসূচি স্থগিতের অনুরোধ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপচার্য স্যার এসে আলোচনার কথা বলেছেন। কিন্তু আমরা আলোচনায় বিশ্বাসী নই। বিভাগের নাম পরিবর্তনের অঙ্গীকার করলে আমরা অনশন স্থগিত করবো।

প্রসঙ্গত, পিএসসিতে বিষয় কোড অন্তর্ভূক্তের দাবি জানিয়ে ১৯ জানুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ফলিত পরিসংখ্যান করার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছে তারা।