মুজিব বর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যত কর্মসূচি
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনে র্যালি, ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ, রচনা প্রতিযোগিতা, সেমিনার, ভাস্কর্য নির্মাণ, শিক্ষক সমাবেশসহ বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুরের বোর্ড বাজারে অবস্থিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে মুজিব বর্ষের বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক ফয়জুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২ হাজার ২৬০টি কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে আনন্দ র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় এ র্যালির নেতৃত্ব দেবেন উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ। ওই দিন ঢাকা মহানগরীর অধিভুক্ত সকল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিয়ে আনন্দ র্যালিটি মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
এ ছাড়াও ১৮ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে মুজিব বর্ষ আন্তঃকলেজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় পর্যায়ে এটি অনুষ্ঠিত হবে ২৯ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। আর আগামী ৪ এপ্রিল এটির চূড়ান্ত পর্ব ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
আরও জানানো হয়, আগামী ৩১ মার্চ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ‘মার্চ ১৯৭১: বাঙালি জাতি রাষ্ট্রের উত্থান’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এসব ছাড়াও দুটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের প্রথিতযশা গবেষক, লেখক ও শিক্ষাবিদদের লেখা নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু: সমাজ ভাবনা ও রাজনৈতিক দর্শন’, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রেরিত নির্বাচিত লেখা নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু : জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক গ্রন্থ প্রকাশ হবে।
শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে “বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থদ্বয় থেকে যা শিক্ষণীয়” শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত রচনা প্রতিযোগিতায় লেখা পাঠানো যাবে। এ ছাড়াও চলতি বছরের জুলাইয়ে ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক লোক বক্তৃতা/ সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক ফয়জুল করিম বার্তা২৪.কম-কে জানান, মুজিব বর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২ হাজার ২৬০টি কলেজে নানা প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হবে। তবে কত সংখ্যক বৃক্ষ রোপণের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে সেটি তিনি জানাতে পারেননি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব কর্মসূচি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে মুজিব বর্ষ আন্তঃকলেজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হবে। একই বছরের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বিশেষভাবে পালনের কর্মসূচি গ্রহণ ও ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুজিব বর্ষ সমাপনীতে শিক্ষক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর পূর্ণাঙ্গ ভাস্কর্য নির্মাণ ও মুজিব বর্ষের ‘থিম সং’ তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।