ধর্ষণ ও বাল্যবিবাহ আইন পরিবর্তনের দাবি

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সমতা প্রতিষ্ঠার সফলতা নির্ভর করছে নারী আন্দোলন কতটা শক্তিশালী তার উপর। নারীর প্রতি সহিংসতা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আইনের প্রয়োগ যথাযথ না হলে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা যাবে না। এসবের জন্য ধর্ষণের আইন এবং বাল্যবিবাহ আইন পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।

বুধবার (৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন উপলক্ষ্যে সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। ৬৭টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্লাটফর্ম সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে ‘নারী ও কন্যার প্রতি ধর্ষণসহ সকল প্রকার সহিংসতা বন্ধ কর’ এই স্লোগানকে সামনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা বলেন, একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৫০% কন্যার বয়স ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। বাল্যবিবাহ সহিংসতা প্রতিরোধ কোনো সমাধান নয়। ইউনিফর্ম ফ্যামিলি কোড বাস্তবায়িত হলে সকল অসমতা দূর হবে এবং নারীরা স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে পারবে। দিবসকে সামনে রেখে নারী অধিকারের নানাদিক উল্লেখ করে এসব বক্তব্য দেন মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্লাটফর্ম সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্দ।

এবারের ৮ মার্চ জাতিসংঘের ‘নারীর সম-অধিকার বাস্তবায়নে আমি সমতার প্রজন্ম’ এই প্রতিপাদ্যের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সুরাইয়া পারভীন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ব্র্যাক এর প্রতিনিধি মুনমুন খান।

বিজ্ঞাপন

এসময় বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করে বলেন, সিডও সনদ, বেইজিং ঘোষণার ১২ টি ইস্যু, এসডিজি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল উদ্দেশ্য হলো সমতা প্রতিষ্ঠা করা। নারীরা যতটুকু অর্জন করেছে আজ পর্যন্ত সেটিকে পিছনে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র সবসময় চলে আসছে। যতদিন নারী মুক্তির চেতনা প্রতিষ্ঠিত হবে না, ততদিন নারীর মুক্তি হবে না। নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া রাজনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি হবে না।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা বলেন, সকল নাগরিকের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ইউনিফর্ম ফ্যামিলি কোড প্রণয়ন করা, সকল আইনকে যুগোপযোগী করা, সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব ৫০% নিশ্চিত করা। অন্যায়ের প্রতিবাদে নারীদের সোচ্চার হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারীর অধিকার হলো মানবের অধিকার। আশা করি নারী আন্দোলনের অগ্রযাত্রা নারী-পুরুষের সমতার বিশ্বকে প্রতিষ্ঠা করবে। এজন্য প্রথম দায়িত্ব হবে নারীর অগ্রযাত্রার যতটুকু অর্জন হয়েছে সেটি আগে সযত্নে রক্ষা করা। নারীর প্রতি সহিংসতা থেকে দেশকে মুক্ত করা। আমাদের সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আইনের প্রয়োগ যথাযথ না হলে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা যাবে না।