ইবিতে র‌্যাগিং, অভিযুক্তরা ক্ষমা চেয়েই পার!

  • ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে র‌্যাগিং করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অভিযুক্ত সেই চার ছাত্রী পার পেয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার (৪ মার্চ) দুপুরে সমাজকল্যাণ বিভাগ এবং আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের উভয় সভাপতির হস্তক্ষেপে ক্ষমা চাওয়ার মধ্যদিয়ে অভিযুক্তরা মাফ পেয়ে যাচ্ছেন বলে বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, গত ২ মার্চ আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শারমিন সাথী, অনন্যা নারগিস, তাজমীন নাহার ও জান্নত-ই-কাওনাইন মাকনুনের দ্বারা র‌্যাগিংয়ের শিকার হন সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সুইটি (ছদ্মনাম)।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর মঙ্গলবার (৩ মার্চ) ওই ছাত্রী বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর অভিযোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিজ্ঞাপন

র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বুধবার (৪ মার্চ) উভয় বিভাগের সভাপতি বিষয়টি সমাধানের জন্য বিভাগের শিক্ষক, ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের সঙ্গে নিয়ে বসেন। এরপর ক্ষমা চাওয়ার মধ্যদিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়।

এদিকে প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মনের র‌্যাগিংয়ের এই ঘটনায় প্রতিবেদন দাখিলের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই বিষয়টি সমাধান করে ফেলা হয়েছে। এতে করে অভিযুক্তরা সবাই পার পেয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘আমি যতদূর জানি বিভাগের সভাপতিরা বসে বিষয়টি সমাধান করে ফেলেছেন। এ বিষয়ে এখনো প্রতিবেদন শেষ হয়নি। আগামী শনিবার (৭ মার্চ) প্রতিবেদন জমা দিবো।’

আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা বলেন, ‘বিষয়টি প্রক্টর আগেই শুনেছিল। তারপর আমরা উভয়পক্ষ বিষয়টি শুনলাম। আসলে যেটুকু শুনলাম, তাতে শাস্তিযোগ্য বিষয় বলে আমার কাছে মনে হয়নি। সবাই এ বিষয়ে একমত হয়েছি।’

এ ঘটনায় সমাজকল্যাণ বিভাগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে আমার সবাই বসেছিলাম। যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি র‌্যাগিংয়ের পর্যায়ে পড়ে না। অভিযুক্তরা নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছে এবং ওই মেয়েও ক্ষমা করে দিয়েছে। এভাবে বিষয়টা সমাধান করা হয়েছে।’