আবারও বেরোবিতে ঝুলছে উপাচার্যের সেই হাজিরা বোর্ড

  • বেরোবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আবারও বেরোবিতে টানানো হয়েছে উপাচার্যের হাজিরা বোর্ড

আবারও বেরোবিতে টানানো হয়েছে উপাচার্যের হাজিরা বোর্ড

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর উপস্থিতি-অনুপস্থিতি সম্বলিত হাজিরা বোর্ড আবারও ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষকরা।

রোববার (৮ মার্চ) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর ও বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ হাজিরা বোর্ড স্থাপন
করেন অধিকার সুরক্ষা পরিষদের নেতারা।

বিজ্ঞাপন

অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মতিউর রহমান বলেন, ‘কিছুদিন আগে ক্যাম্পাসে উপাচার্যের উপস্থিতি-অনুপস্থিতির তালিকা সম্বলিত একটি হাজিরা বোর্ড লাগিয়েছিলাম। কে বা কারা সেটি চুরি করে নিয়ে গেছে তার খোঁজ দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ আবারও নতুন করে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ দুটি পয়েন্টে হোয়াইট বোর্ড লাগানো হলো। এবার যেন চুরি না হয়, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনারকে লিখিত দিয়েছি। তারপরও যদি চুরি হয়ে যায় তাহলে রংপুর শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে হাজিরা বোর্ড স্থাপন করব। যেখানে সর্ব সাধারণ দেখতে পাবে।’

হাজিরা বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১৪ জুন উপাচার্য যোগদানের পর থেকে ৯৯৮ দিনের মধ্যে ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২২৮ দিন এবং অনুপস্থিত ছিলেন ৭৭০ দিন। অর্থাৎ অনুপস্থিতির হার ৮০ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

বোর্ড স্থাপনের সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও অধিকার সুরক্ষা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও অধিকার সুরক্ষা পরিষদের সদস্য সচিব খায়রুল কবির সুমন, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এইচএম তারিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের দফতর সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসনীম হুমাইদা প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর ‘হাজিরা খাতা’ শিরোনামে ক্যাম্পাসে একটি সাদা বোর্ড টানানো হয়েছিল। সেখানে উপাচার্যের দৈনিক উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির হালনাগাদ করা হচ্ছিল। পরে ৪ মার্চ (বুধবার) হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায় হোয়াইট বোর্ডটি। তারই প্রতিবাদে মানববন্ধন ও রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ এবং তাজহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়রিও করে অধিকার সুরক্ষা পরিষদ।