জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পতাকা মিছিল

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পতাকা মিছিল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পতাকা মিছিল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে তার অপসারণের দাবিতে এবং এই অপকর্মের প্রশ্নে সরকারের নির্লিপ্ততার অভিযোগ এনে পতাকা মিছিল করেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের আন্দোলনকারীরা।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে মুরাদ চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা শিগগিরই অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত দাবি করেন। এছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনে হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানান। অন্যদিকে দুর্নীতির প্রশ্নে সরকারের নির্লিপ্ততার অভিযোগ তুলে ধরেন তারা।

সমাবেশে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের সংগঠক খালিদ মাহমুদ তন্ময় বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে দুর্নীতি সংঘাতপূর্ণ অবস্থানে থাকার কথা। বর্তমান সরকার যদি দাবি করে থাকে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার তাহলে অবশ্যই দুর্নীতিগ্রস্তদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যদি সেটা করতে ব্যর্থ হয় তবে আমরা মনে করবো তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আমরা বারবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত দুর্নীতির কথা বলে এসেছি কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখিনি।

বিজ্ঞাপন

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের সংগঠক শোভন রহমান বলেন, গতকাল থেকে নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে কিন্তু আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কৃত্রিমভাবে আসন সংকট দেখানো হয়েছে। এর কারণ হলো প্রশাসন দেখাতে চায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম আসন সংকট রয়েছে এ অবস্থায় হল নির্মাণ করা জরুরি। এ অবস্থায় যারা হল নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছে তাদেরকে দোষী হিসেবে উপস্থাপন করার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করছি। কিন্তু আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই প্রশাসন এই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে বরং শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা এমন হয়রানির জন্য প্রশাসনের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন।

মিছিল ও সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৪৪৫ কোটি টাকার অনুমোদন দেয় একনেক। এরপর থেকে মাস্টারপ্ল্যানের পুনর্বিন্যাস, টেন্ডারে আহ্বানে অস্বচ্ছতাসহ নানা অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। পরবর্তীতে নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে উপাচার্য অপসারণের এক দাবিতে আসেন আন্দোলনকারীরা। আর এ দাবিতে গত বছরের ৪ নভেম্বরে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে তার বাসভবনে অবরুদ্ধ করেন আন্দোলনকারীরা। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের একটি অংশ হামলা চালায় আন্দোলনকারীদের উপর হামলায় শিক্ষক, সাংবাদিকসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়।