রুয়েট কর্মচারী ইউনিয়নের ভোটে মনোনয়ন জমাদানে বাধা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃৃহীত

ছবি: সংগৃৃহীত

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) কর্মচারী সমিতির নির্বাচন আগামী ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (১৪ মার্চ) ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিন আওয়ামীপন্থী মোস্তফা-শুভ পরিষদ মনোনয়নপত্র জমা দেয়। তবে তাদের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন দুই প্রার্থী।

এর মধ্যে কাউসার আলী নামে এক সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগও পাওয়া গেছে। আরেক সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনকেও হুমকি-ধামকি দিয়ে সেখান থেকে বিতাড়িত করা হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শী ও নির্বাচনে পদপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামীপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউসার আলী সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে নির্বাচন কমিশনারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় আওয়ামীপন্থী প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শুভ বাধা দেন। এসময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তারা কাউসারের মনোনয়নপত্র কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়।

স্বতন্ত্রপ্রার্থী কাউসার আলী অভিযোগ করে বলেন, আমি মনোনয়ন জমা দিতে গেলে মোস্তফা ও শুভ ২০-৩০ জন বহিরাগত সঙ্গে নিয়ে আমাকে বাধা দেয়। নির্বাচনে না করতে আমাকে হুমকি দেয় এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। তারা মনোনয়নপত্র কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলায় নির্বাচনে থাকতে পারছি না। প্রশাসনিক ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে সব দেখা যাবে। আমি আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সকালে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে মোস্তফা, শুভ, মোহাম্মদ আলী আমাকে হুমকি-ধামকি দেয়। তাদের বাধার মুখে আমি মনোনয়ন জমা না দিয়ে চলে আসি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চাইছেন তারা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মহিদুল ইসলাম মোস্তফা বলেন, মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যে। এ রকম কোন ঘটনা ঘটেনি। আমার ১৫ সদস্যের একটি প্যানেল করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি।

তবে মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা মৌখিকভাবে শুনেছেন বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র কেড়ে নেয়া হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।