বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধে শিক্ষার্থীদের অনশন ইতিবাচক: প্রক্টর
করোনা আতঙ্কে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ চেয়ে অনশনে বসেছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।
শনিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজুভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন তারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য, মতামত প্রকাশ করবে এটাতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্র। এটাতো ইতিবাচক। এটা ভালো।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত হলে আমরা দ্রুত জানিয়ে দেব।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের দাবি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিল্লি, কেরালা, বিহার, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্রিশগড়ের পর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার আজ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। এতকিছুর পরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাই আমরা নিজের দায়বদ্ধতা থেকে অনশনে বসেছি।
এ সময় তারা দাবি আদায় না পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন প্লাবন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জুনাইদ হুসাইন খান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কে এম তূর্য। তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাকসুর এজিএস ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা সভা সমাবেশ এড়িয়ে চলার জন্য শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়েছি। আর এর বাইরে আমাদের রোববার (১২ মার্চ) একটি সেমিনার রয়েছে ফার্মেসী অনুষদে। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের সাথে বসে আমরা মতামত নেব কি করা যায়। শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ধরণের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে না পড়ে সেটার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তাই করব।
বন্ধের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাদ্দাম বলেন, শিক্ষার্থীদের যেকোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে আহবান জানাবো। আমরা বিশেষজ্ঞদের মতামত জেনেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
সাদ্দাম আরও জানায়, আগামীকাল দুপুরে ডাকসু ভবনে আমরা একটি মতবিনিময় সভা করব।সেখানে সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ডাক্তারদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।