করোনা আতঙ্কে কুবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

  • কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়/ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়/ছবি: সংগৃহীত

করোনা আতঙ্কে বুয়েট ও জবির পর এবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ১৩টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার (১৫ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভার্সিটির গ্রুপগুলোতে এই বর্জনের ঘোষণা দেন।

করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে উদ্বিগ্ন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দাবি করছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথা জানিয়ে পুরো বিশ্ববদ্যালয় বন্ধের দাবি করছেন।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ১১ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এছাড়াও গণিত বিভাগ, অর্থনীতি বিভাগ, বাংলা বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, লোক প্রশাসন বিভাগ, সিএসই বিভাগ, ফিনান্স বিভাগ, আইন বিভাগ, আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, সাংবাদিকতা বিভাগ, ব্যবস্হাপনা শিক্ষা বিভাগ ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের কিছু ব্যাচ ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছে বলে জানা যায়। পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।

এদিকে রোববার (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৩ শিক্ষার্থী একসঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা যায়। এদের মধ্যে ৩ শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব বলেন, শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করলে আমরা জোর করে ক্লাসে ফিরাবো না। কারণ কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে এ দায় আমরা নিবো না। আর আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া উচিত, যেহেতু এটি বিশ্বব্যাপী মহামারী রোগ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ইউজিসি অথবা শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নোটিশ পেলে আমি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিবো। আমি বিশ্বাস করি বিশ্ববিদ্যালয় এখনই বন্ধ হওয়া উচিত। না হলে পরে যত কিছুরই ব্যবস্থা করা হোক নিয়ন্ত্রণ করা যাবেনা।