জবি খুললে ক্লাস ও পরীক্ষা হবে ব্যাচভিত্তিক
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় বিভিন্ন দেশে ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে লকডাউন। অন্যদিকে দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও একই পথ হাঁটছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে দেশের বেসরকারি কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারেও তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। লকডাউন শিথিল হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত হলে ব্যাচভিত্তিক ক্লাস-পরীক্ষা গ্রহণের পরিকল্পনা জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান।
লকডাউন শিথিলের পর ক্লাস-পরীক্ষা চালু হলে কিভাবে কার্যক্রম চলবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ভাবছি প্রতিদিন ব্যাচভিত্তিক ক্লাস নেওয়ার কথা। যেমন- আজ প্রথম বর্ষ কাল দ্বিতীয় বর্ষ এভাবে রোস্টার করে। অথবা সকালে প্রথম বর্ষ দুপুরের পর দ্বিতীয় বর্ষ এভাবে নিতে পারলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস করা যাবে। এরপর ক্লাসের সেকশন বাড়াতে হবে। কেননা একসাথে এতো শিক্ষার্থীকে ক্লাস করাতে পারবো না।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবেন বলে জানান তিনি।
অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে ড. মীজানুর রহমান বলেন, আন্তরিকতা ও বাস্তবতা এক জিনিস নয়। করোনার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি হচ্ছে না- এটা বললে ভুল হবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। আমার গ্রামের বাড়ি থেকেই অনলাইনে কথা বলা কষ্ট হয়ে যায়। ইন্টারনেটের গতির যে অবস্থা তাতে সবাইকে অনলাইনে আনা সম্ভব নয়। যদি আমরা ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে অনলাইনের আওতায় আনি, বাকি ২০ শতাংশেরও ক্লাস নিয়েই কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। কাউকে বাদ দিয়ে ক্লাস শেষ করা যাবে না। তাছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছেও ইন্টারনেট ও ডিভাইসের স্বল্পতা রয়েছে। তবে আমরা একটা করতে পারি, তা হলো- যেসব শিক্ষক ভালো বলতে পারেন তাদের দিয়ে পাঠভিত্তিক ভিডিও তৈরি করে ভিডিওটা দিতে পারি। তাতে কিছুটা হলেও শিক্ষার্থীদের উপকার হবে। তবে এ বিষয়ে এখনও ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। একাডেমিক কাউন্সিলে এটা নিয়ে আলোচনা হবে। তবে আমরা এ বিষয়ে ভাবছি।