ঢাবির পর সীমিত পরিসরে খুলছে রাবিও!

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়/ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়/ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) খোলার সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে দুই দফা বৈঠকের পর অবশেষে সিন্ডিকেটে সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার (৩০ মে) বিকেল ৫টায় জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. আব্দুস সোবহান। উপাচার্যের বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞাপন

সিন্ডিকেট বৈঠক ডাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কী সিদ্ধান্ত আসছে, তা জানাতে চাননি। তিনি বলেন, ‘যেখানে আমি সিন্ডিকেট সভা ডেকেছি, সেখানে আমার মতামত বৈঠক শেষ না হওয়া পর্যন্ত গণমাধ্যমে বলতে পারি না। সিন্ডিকেটের সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে।

এর আগে সকালে প্রশাসনের শীর্ষ পাঁচ কর্তাব্যক্তি নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম.এ বারী।

বিজ্ঞাপন

বৈঠক শেষে কী সিদ্ধান্ত আসছে সেই ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে অংশ নেওয়া দুই জন কর্তাব্যক্তি প্রতিবেদককে জানান, সিন্ডিকেটে কী নিয়ে আলোচনা হবে, সেটা ঠিক করতে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বৈঠক ছিল। দ্রুত ক্যাম্পাস খোলার পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তবে কবে থেকে খোলা হবে; সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।

তারা বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বৈঠকে সকলে সীমিত পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু করা হবে। তবে ক্লাস-পরীক্ষা এখনই শুরু হবে না। আবাসিক হলও খোলা হবে না। এসব বিষয় নিয়ে বিকেলে আলোচনা হবে। সেখানে সিন্ডিকেট সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিন্ডিকেট সভা শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। সিন্ডিকেটের বডিতে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশই প্রশাসনপন্থী। ফলে সেখানে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ যাবেন বলে মনে করেন না তারা।

সীমিত পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে সেটা ইতিবাচক বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সিনিয়র অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম। তিনি ইতিহাস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কার্যক্রম চালু করা অবশ্যই ইতিবাচক বলে আমি মনে করি। আমার হাতে বিভাগের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার উত্তরপত্র রয়েছে। এর মধ্যে একটি বর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে আছি। যদি সীমিত পরিসরে ক্যাম্পাস খোলা হয় তবে এসময়ে টেবুলেশন শিট তৈরি করে রাখতে পারবো। হয়তো ফল প্রকাশের তাড়া নেই। কারণ ফল প্রকাশ হলেও শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে না থাকায় ভর্তি হতে পারবে না। তবুও কাজটা এগিয়ে থাকবে।’

প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।