শতবর্ষে পা রাখছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামীকাল (১ জুলাই) বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস (৯৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী)। ১৯২১ সালের পহেলা জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় দেশসেরা এ প্রতিষ্ঠানটি। এই দিনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি পা রাখছে শতবর্ষে।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বল্প পরিসরে দিবসটি উদযাপিত হবে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামীকাল ১ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়ানো এবং সকাল ১১টায় অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনলাইন ভার্চুয়াল মিটিং প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

আলোচনা সভায় জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সংযুক্ত হয়ে ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গ: আন্দোলন ও সংগ্রাম’ শীর্ষক মূল বক্তব্য প্রদান করবেন। এছাড়া এই অনলাইন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন), প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা), কোষাধ্যক্ষ, প্রাক্তন দু’জন উপাচার্য, দু’জন ডিন, দু’জন প্রভোস্ট, একজন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং ঢাবি শিক্ষক সমিতিসহ অন্যান্য সমিতির পক্ষ থেকে নেতৃবৃন্দ সংযুক্ত হবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি


ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে স্বাধীন জাতিসত্তার বিকাশের লক্ষ্যে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। এর মাত্র তিনদিন পূর্বে ভাইসরয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন জানিয়েছিলেন ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, ধনবাড়ির নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক এবং অন্যান্য নেতা। ২৭-এ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ব্যারিস্টার আর. নাথানের নেতৃত্বে ডি. আর. কুচলার, ড. রাসবিহারী ঘোষ, নবাব সৈয়দ আলী চৌধুরী, নবাব সিরাজুল ইসলাম, ঢাকার প্রভাবশালী নাগরিক আনন্দচন্দ্র রায়, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ডব্লিউ.এ.টি. আর্চিবল্ড, জগন্নাথ কলেজ-এর অধ্যক্ষ ললিত মোহন চট্টোপাধ্যায়, ঢাকা মাদ্রাসার (বর্তমান কবি নজরুল সরকারি কলেজ) তত্ত্বাবধায়ক শামসুল উলামা আবু নসর মুহম্মদ ওয়াহেদ, মোহাম্মদ আলী (আলীগড়), প্রেসিডেন্সি কলেজের (কলকাতা) অধ্যক্ষ এইচ. এইচ. আর. জেম্স প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক সি.ডব্লিউ. পিক এবং সংস্কৃত কলেজের (কলকাতা) অধ্যক্ষ সতীশ্চন্দ্র আচার্য-কে সদস্য করে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠিত হয়। ১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয় নাথান কমিটির ইতিবাচক রিপোর্ট এবং ঐ বছরই ডিসেম্বর মাসে সেটি অনুমোদিত হয়। ১৯১৭ সালে গঠিত স্যাডলার কমিশনও ইতিবাচক প্রস্তাব দিলে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইন সভা পাস করে ‘দি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট (অ্যাক্ট নং-১৩) ১৯২০’।

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার উন্মুক্ত হয় ১৯২১ সালের ১ জুলাই। সে সময়কার ঢাকার সবচেয়ে অভিজাত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত রমনা এলাকায় প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর পূর্ববঙ্গ এবং আসাম প্রদেশ সরকারের পরিত্যক্ত ভবনসমূহ ও ঢাকা কলেজের (বর্তমান কার্জন হল) ভবনসমূহের সমন্বয়ে মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

৩ টি অনুষদ ও ১২ টি বিভাগ নিয়ে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। কলা, বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলো ছিল সংস্কৃত ও বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষা, ইতিহাস, আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারসি ও উর্দু, দর্শন, অর্থনীতি ও রাজনীতি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত এবং আইন। প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০ জন। যেসব প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে শিক্ষকতার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তাঁরা হলেন : হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, এফ. সি. টার্নার, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, জি.এইচ. ল্যাংলি, হরিদাস ভট্টাচার্য, ডব্লিউ.এ. জেনকিন্স, রমেশচন্দ্র মজুমদার, এ. এফ. রহমান, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন অস্থিরতা ও দেশভাগের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন পূর্ববঙ্গের বা পরবর্তী সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত প্রদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে এ দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা উজ্জীবিত হয়। নতুন উদ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকান্ড শুরু হয়। তৎকালীন পূর্ববাংলার ৫৫ টি কলেজ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হবার সুযোগ লাভ করে। ১৯৪৭-৭১ সন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৫ টি নতুন অনুষদ, ১৬টি নতুন বিভাগ ও ৪ টি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং এর পরবর্তী সকল জন-আন্দোলন ও সংগ্রামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়। এতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রী সহ শহীদ হয়েছেন বহুজন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে প্রণীত ১৯৬১ সালের আইয়ুব সরকারের জারিকৃত অর্ডিন্যান্স বাতিলের জন্য ষাটের দশক থেকে শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উক্ত অর্ডিন্যান্স বাতিল করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ-১৯৭৩ জারি করেন। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করে এবং পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক রীতি প্রতিষ্ঠিত হয়।

বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৮৪টি বিভাগ, ৬০ টি ব্যুরো ও গবেষণা কেন্দ্র এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ১৯টি আবাসিক হল, ৪টি হোস্টেল ও ১৩৮টি উপাদানকল্প কলেজ ও ইনস্টিটিউট রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪৬,১৫০ জন; পাঠদান ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ২,০০৮ জন শিক্ষক।

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিচ এন্ড লিবার্টি’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণে উচ্চশিক্ষার সম্প্রসারণ ও অগ্রগতিতে নিবেদিত এ বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিটি ক্ষেত্রে গবেষণা-কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

   

গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে আবেদন করতে চায় চবি



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে আবেদন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান নিয়ে আসতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১১টায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত হয় এই সভা। এসময় তিনি টাইমস ও কিউ এস র‍্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেতে তাঁর বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

এ সময় চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মান অনুধাবন করা যায় র‍্যাঙ্কিং এর মাধ্যমে। দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে আছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণা, প্রশাসনিক ও অবকাঠামোসহ সার্বিক বিষয়ের সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হবে। এরপর বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং এর জন্য আবেদন করলে একটা ফলপ্রসু অবস্থান আশা করা যেতে পারে

এছাড়াও উপাচার্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক নিয়োগ, সেন্টার অফ এক্সিলেন্স গঠন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন পদক্ষেপ, ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে পরিকল্পনা, পরিবেশ-বান্ধব ক্যাম্পাস নিয়ে সামনের দিনগুলোতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন। এ লক্ষ্যে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক চবি আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, চবি আইকিইএসির পরিচালক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন, চবি আইসিটি সেলের পরিচালক কম্পিউটার সায়েন্সেস এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, চবি কলেজ পরিদর্শক পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, চবি ফাইন্যান্স বিভাগের প্রফেসর ড. অনুপম দাশগুপ্ত, চবি জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের প্রফেসর ড. আদনান মান্নান ও সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুব হাসান, চবি ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন গাঙ্গুলী, চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ, চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছা, চবি একাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার এস.এম. আকবর হোছাইন ও চবি গ্রন্থাগার দপ্তরের উপ-গ্রন্থাগারিক দিল রুকসানা বসুনীয়া উপস্থিত ছিলেন।

;

এবার দুই পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কুবি শিক্ষক



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষক দুইটি পদ থেকে একসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী শিক্ষক হলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক। তিনি ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিনিধি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর দেয়া একটি পদত্যাগপত্র তিনি প্রদান করেন।

পদত্যাগপত্রে মোহাম্মদ আইনুল হক উল্লেখ করেন, আমি ২০২২ সালের ০৬ নভেম্বর থেকে ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এবং ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরিকৃত সংকটের কোনো সমাধান না করে উপরন্তু নতুন নতুন সংকট তৈরি, অনিরাপদ কর্মক্ষেত্র এবং পেশাগত বিশৃঙ্খলা তৈরির পাশাপাশি বিভিন্নভাবে শিক্ষকদের মর্যাদাহানি করা হচ্ছে। এ সমস্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে আমি উক্ত পদসমূহের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করছি।'

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আইনুল হক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তা সমাধান না করে আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিন, বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে আইন মানা হচ্ছে না। এমনকি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের সাথে কর্মকর্তাদের যে অসৌজন্যমূলক আচরণ তার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যার প্রেক্ষিতে আমার মনে হয়েছে এই পদে আমার থাকা অনুচিত। তাই আমি পদত্যাগ করেছি।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার, ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মো: কামরুল হাসান ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক কুলছুম আক্তার স্বপ্না পদত্যাগ করেন। এছাড়াও ১৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় 'এজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনীভাবে ডিন নিয়োগ' দেয়ার কারণ দেখিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যর পদ থেকে অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ গত ২০ মার্চ চার হলের চার আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগ করেছিলেন।

;

৩ বছরেও সমন্বয় হয়নি জবি শিক্ষার্থীদের অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মেধাবৃত্তি ও অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা এখনো সমন্বয় হয়নি বলে অভিযোগ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রসায়ন বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর স্টুডেন্ট আইডির প্রোফাইলে লগ ইন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

রসায়ন বিভাগ ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মারুফা হাকিমের স্টুডেন্ট আইডির প্রোফাইলে লগ ইন করে দেখা যায়, প্রতিবছর ১ বার করে সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মেধাবৃত্তি ও অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি থেকে এক শিক্ষাবর্ষে ২ বার ৬০০ টাকা মওকুফের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। তিনি ২০২১ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২২ ও ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন। ফলে বৃত্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতি সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ হবার কথা। অর্থাৎ ১ বছরে ২ বার এবং ৩ বছরে ৬ বার ৬০০ টাকা করে মওকুফ হবার কথা থাকলে ৩ বছরে মাত্র ৩ বার ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে।

২০২১ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "বৃত্তি নীতিমালা-২০১৩" অনুযায়ী প্রত্যেক বিভাগ হতে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ০৩ (তিন) জন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৪০০/- (চারশত) টাকা হারে মেধাবৃত্তি এবং এক শিক্ষাবর্ষের জন্য অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। মেধাবৃত্তি ছাড়াও প্রত্যেক বিভাগে প্রতি শিক্ষাবর্ষে মোট শিক্ষার্থীর ১০% (শতকরা দশজন) অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করা হবে।

২০২২ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "বৃত্তি নীতিমালা-২০১৩" অনুযায়ী প্রত্যেক বিভাগ হতে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ০৩ (তিন) জন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৬৫০/- (ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা হারে মেধাবৃত্তি এবং এক শিক্ষাবর্ষের জন্য অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। মেধাবৃত্তি ছাড়াও প্রত্যেক বিভাগে প্রতি শিক্ষাবর্ষে মোট শিক্ষার্থীর ১০% (শতকরা দশজন) অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করা হবে।

এ বিষয়ে ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মারুফা হাকিম বলেন, আমি ২০২১ সালে মেধাবৃত্তি পেয়েছি এবং ২০২২ ও ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছি। সে হিসেবে আমার প্রতি সেমিস্টারে ৬০০ টাকা করে মওকুফ হবার কথা। অর্থাৎ এক শিক্ষাবর্ষে দুই সেমিস্টারে ৬০০ করে মোট ১২০০ টাকা মওকুফ হবার কথা কিন্তু প্রতিবছর শুধু একবার করে ৬০০ টাকা মওকুফ করেছে।

রসায়ন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম ২০২১ ও ২০২২ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন। মেধাবৃত্তির টাকা পেলেও সমন্বয় হয়নি অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ২০২১ ও ২০২২ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছি। বৃত্তির নোটিশ অনুযায়ী আমার প্রতি সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ হওয়ার কথা। কিন্তু তা হয় নি। ২০২৩ সালে দুটি সেমিস্টার থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে। তবে ২০২১ ও ২০২২ সালে একবার করে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, আমি যখন ছাত্রকল্যাণের পরিচালক ছিলাম তখন এ বিষয়গুলো আপডেট করা হয়েছে। এমন হওয়ার কথা না। এরপরেও যদি হয়ে থাকে তবে সমস্যা আইসিটি সেলের নাকি অন্য কোথাও সেটা দেখতে হবে।

তিনি বলেন, যদি কোনো শিক্ষার্থীর অনার্স বা মাস্টার্স শেষ হয়ে যাওয়ায় তার টাকা সমন্বয় করার কোনো উপায় না থাকে তবে সে এপ্লিকেশন করলেই তাকে তার প্রাপ্য টাকা দিয়ে দেয়া হবে। কোনো শিক্ষার্থীই বঞ্চিত হবে না।

সশরীরে উপস্থিত হয়ে সমন্বয় করতে হবে-এমন কথা বৃত্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ না থাকলেও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, যখন শিক্ষার্থীরা দেখলেন যে সমন্বয় হচ্ছে না তখন তাদের উচিত ছিল অভিযোগ জানানো। আমরা নিজেরাও তো ব্যাংকে সরাসরি যোগাযোগ করি যখন কোনো সমস্যা হয়।

এ বিষয়ে আইসিটি সেলের পরিচালক ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, এটা আইসিটি সেলের বিষয় না। রেজিস্ট্রার স্যারের সাথে কথা বললে সঠিক তথ্য পাবেন।

;

ঢাবির বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিট ও ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এক লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ হাজার ৭২৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল।

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ হাজার ৫৮২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাশের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। প্রথম হয়েছেন চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী অথৈ ধর। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ৫০ নম্বর পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফল ঘোষণা করেন।

এদিকে বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল। তিনি রাজধানীর নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১১১ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।

চলতি বছরের ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৮৫১টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ১হাজার ৭৭৫টি, মানবিক শাখা থেকে ৫১টি, ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

আর ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৫০টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৩০টি মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৫টি বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটের ফলও প্রকাশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল ফল জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে। এছাড়া মোবাইলে এসএমসএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU SCI <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।

;