বাংলাদেশ ব্যাংকে ‘অফিসার(জেনারেল)’ পদে নিয়োগের জন্য গত ২৪ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৬৫৬ জনের মৌখিক পরীক্ষা বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের মূল ভবনে নিন্মোক্ত সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে ‘অফিসার(জেনারেল)’ পদে নিয়োগের জন্য গত ২৪ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৬৫৬ জনের মৌখিক পরীক্ষা বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের মূল ভবনে নিন্মোক্ত সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে জেলা ভিত্তিক জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কোন প্রার্থীর এসএসসিতে জিপিএ ২.৫ হলেই তিনি আবেদন করতে পারবেন।
আগামী ১ অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে আবেদন চলবে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনে যোগ্যতা
এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ন্যূনতম জিপিএ-২.৫ থাকতে হবে। আবেদনের জন্য বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে। তালাকপ্রাপ্ত গ্রহণযোগ্য নয়। ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এ ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য বিদ্যমান কোটা অনুসৃত হবে।
শারীরিক যোগ্যতা
মেধা কোটার ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে। নারী প্রার্থীর উচ্চতা মেধা কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনার সন্তান এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে।
বুকের মাপ
মেধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনার সন্তানদের কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি। বয়স ও উচ্চতার সাথে ওজন অনুমোদিত পরিমাপের হতে হবে। দৃষ্টিশক্তি ৬/৬ হতে হবে।
আবেদন ফি
আবেদন ফরম পূরণ করার পর যোগ্য প্রার্থী একটি ইউজার আইডি পাবেন। ওই ইউজার আইডিতে আবেদন ফরম পূরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে ৪০ টাকা জমা করতে হবে।
যেভাবে আবেদন
আগ্রহী প্রার্থীদের এই http://police.teletalk.com.bd/trc/admitcard/index.php ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে আবেদন ফরম পূরণের সহায়ক হিসেবে ভিডিও টিউটোরিয়াল এবং ফরম পূরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত কোটা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে ৯৩ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ কোটার ভিত্তিতে সকল শূন্যপদের বিপরীতে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের) এর চূড়ান্ত ফলাফল দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী চাকরিপ্রত্যাশী আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুর ২ নম্বরে অবস্থিত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে ‘মার্চ টু মিরপুর ডিপিই’ কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানানো হয়।
আন্দোলনকারীরা বলেন, গত মার্চ মাসের ২৯ তারিখে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) এর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় আমরা ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হই। পরে চলতি বছরের গত ৯মে থেকে ১২জুন তারিখ পর্যন্ত ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় ৩ মাস সময় অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়নি।
তারা বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ অনুসারে উক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলা ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০ শতাংশ ও পুরুষ ২০ শতাংশ ধার্য রয়েছে, যা মেধার চূড়ান্ত অবমাননা বলে আমরা মনে করি। গত ২৩শে জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটা সংক্রান্ত পূর্বের সকল পরিপত্র/প্রজ্ঞাপন/আদেশ/নির্দেশ/অনুশাসন রহিত করা হয়েছে।
তাই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ৯৩ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ অন্যান্য কোটা অনুসরণ করতে আইনগত কোনো জটিলতা থাকার কথা নয়। তাই উক্ত নিয়োগের ফলাফল প্রণয়নের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত কোটা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে ৯৩ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ অন্যান্য কোটা অনুসরণের দাবিতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে ৩ দিন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান করেছিলেন আন্দোলনের পরিবর্তে লিখিতভাবে নিজেদের দাবি জানাতে। প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী মানববন্ধন কিংবা আন্দোলনের পরিবর্তে আমরা মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি।
তারা বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন জারির আগে অনুষ্ঠিত কয়েকটি নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত হয়েছে, যেগুলোতে সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হয়েছে অর্থাৎ ৯৩ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ কোটা অনুসরণ করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আমরা গত ১ ও ৯ সেপ্টেম্বর আমাদের কর্মসূচি প্রথম সারির গণমাধ্যমে প্রচারিত হলেও কর্তৃপক্ষকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। তাই আজকের ‘মার্চ টু মিরপুর ডিপিই’ কর্মসূচি থেকে আমরা বৈষম্যবিরোধী চাকরিপ্রত্যাশী আন্দোলন স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত ২য় স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো বৈষম্যমূলক কোটা থাকতে পারবে না।
বাবাহীন পরিবারে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নকে বিসর্জন দিয়ে মায়ের গরু বিক্রির দেয়া ২৪ হাজার টাকায় ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাজিমাত করেছে উদ্যোক্তা আবু সায়েম।
২০১৪ সাল থেকে নিজের চেষ্টায় মেধাকে কাজে লাগিয়ে অল্প দিনেই সফলতা লাভ করেছেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম ও সৃজনশীলতায় ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে সায়েম এখন প্রতিষ্ঠিত।
রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বাসিন্দা আবু সায়েম। সায়েম যখন নবম শ্রেণিতে পড়ে তখনই তার বাবাকে হারায়। বাবাকে হারানোর পর পরিবারের ভরণপোষন নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েন তিনি। বন্ধুদের সাথে গল্পের সময় যে সায়েম ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা প্রাকশ করতো সে তার স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে হলেন উদ্যোক্তা। নিজেকের গড়েছেন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে।
উদ্যোক্তা আবু সায়েম বার্তা২৪.কমকে বলেন, টানা পোড়নের পরিবারের ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছেকে মাটি দিয়েছি৷ ব্যতিক্রমী বাসনা থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ছুটে চলেছি। তাই চাকরিতে মনোনিবেশ করিনি। আজ চাকরি করে হয়তো নিজে প্রতিষ্ঠিত হতাম কিন্তু অন্যদের কাজের সুযোগ করে দিতে পারতাম না। এই ফ্রিল্যান্সিং জগতে আমার মেন্টর বলতে কেউ ছিল না। নিজের চেষ্টায় এগিয়ে আজ পুরো অর্জন। সল্প পরিসরে শুরুটা করেছিলাম ২০১৪ সালে। বর্তমানে আমার এখানে ৫০ জন কাজের সুযোগ পাচ্ছে তাদের বেতন ৭৫০০ -৩০০০০ টাকা পর্যন্ত। আত্মবিশ্বাসী হয়ে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজ নিজের অবস্থান তৈরি করতে পেরেছি৷ আগামীতেও আর অধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
রংপুরে তার ২ টি ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান থেকে মাসে আয় লাখ টাকা। মাস খানেক আগে তিনি পেয়েছেন সিলভার বাটন। নিজে প্রতিষ্ঠিত হবার পাশাপাশি তরুণ তরুণীদেরও করে দিয়েছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। এতে বেকারত্বের অভিশাপ দূর করে সুগম হয়েছে উপার্জনের পথ। তার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অর্থ উপার্জনের পথ পেয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার তরুণ- তরুণী।
কর্মরত তরুণী সোনালী বলেন,পড়ালেখার পাশাপাশি নিরিবিলি ও নিরাপদ পরিবেশে কাজ করতে পারছি। উপার্জনের টাকা দিয়ে নিজের খরচ চালিয়েও পরিবারকে সহযোগিতা করতে পারি।
কর্মরত বেশকয়েকজন তরুণ বলেন, এই প্রতিষ্ঠান আমাদের জন্য আশীর্বাদ। পার্ট টাইম চাকরির সুযোগ করে না দিলে নিজে উপার্জন করতে পারতাম না। পরিবারকেও সহযোগিতা করতে পারতাম না। আগামীতেও ইচ্ছে আছে নিজেরা সাবলম্বী হয়ে সায়েম স্যারের মত প্রতিষ্ঠান চালু করার।
নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে প্রযুক্তির এই যুগে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আশীর্বাদে অন্যান্যদের অনুপ্রেরণা উদ্যোক্তা আবু সায়েম। ৫০ থেকে আগামীতে ৫০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে দুচোখ ভরা স্বপ্ন তার।
পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) সম্প্রতি সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)
পদের নাম: সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার
বিভাগ: এন্টারপ্রাইস ডেভেলপমেন্ট-ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার
শূন্য পদ: ০১
কাজের সময়সূচি: ফুল-টাইম
কাজের ধরন: চুক্তিভিত্তিক
চুক্তির সময়কাল: ৫ বছর
বেতন: ১,৮০,০০০ টাকা (প্রতি মাসে)
কর্মস্থল: বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে
আবেদনের শেষ দিন: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
বিস্তারিত এখানে