প্যানেলের মাধ্যমে ৪১তম বিসিএস ননক্যাডারদের নিয়োগ দাবি
৪১ ও ৪৩ তম বিসিএস কাছাকাছি সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ায় অনেক পদ খালি থেকে যাবে। সেসব পদে ৪১তম বিসিএস ননক্যাডার পদবঞ্চিতদের প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের দাবি জানিয়েছে ৪১তম বিসিএস ননক্যাডার পদবঞ্চিত প্রার্থীরা।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খাঁ হলে ৪১তম বিসিএসে প্যানেলে নিয়োগসহ সর্বোচ্চ সংখ্যক নন-ক্যাডারদের চাকুরি নিশ্চিতকরণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে তারেকুর রহমান বলেন, 'আমরা ৪১ তম বিসিএসের নন-ক্যাডার পদবঞ্চিত প্রার্থী। ৪১তম বিসিএসে ৯ হাজার ৮২১ জন ননক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হয় তার মধ্যে ৩ হাজার ১৬৪ জনকে সুপারিশ করা হয়। ইতিহাসে অন্যান্য বিসিএসের তুলনায় যা খুবই নগণ্য।'
৩৮ ও ৪০তম বিসিএসের প্রায় সবাই চাকরি পেয়েছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'এরপরেও অনেক পদ ফেরত গিয়েছে। তবুও ৪১তম বিসিএসের অনেকেই আমরা খালি হাতে ফিরছি। এই সংখ্যাটা ৬ হাজারের উপরে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও তারা চাকরি পাচ্ছে না এটা মেনে নেওয়া কঠিন এবং অমানবিক।'
৪৩ তম বিসিএসে উত্তীর্ণ অনেকেই চাকরিতে যুক্ত হবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, '৪১ ও ৪৩ এর প্রায় হাজারের উপরে পদ ফাঁকা থাকবে। একদিকে পদ ফাঁকা থাকছে অন্যদিকে ৬ হাজার বেকার খালি হাতে ফিরলো। তাই প্যানেল সিস্টেম করে আগের বিসিএসগুলোতে সুপারিশপ্রাপ্তদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পিএসসিসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মানবিকভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।'
তারেকুর আরও বলেন, 'আমাদের রাজনৈতিক কোন প্রতিষ্ঠান নাই, সংগঠন নাই। আমরা পরিবার, সমাজের কাছে অসহায়। যে পদগুলো ৪১ এ ফাকা থাকবে সেই পদগুলোতে প্যানেলের মাধ্যমে আমাদের নিয়োগ প্রদান করা হোক। ইতিমধ্যে প্রাইমারি গণশিক্ষা ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অনেক জায়গায় যেখানে কখনোই প্যানেল ছিল না সেখানেও মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।'
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যে জনপ্রশাসনে দেখা করেছি, তারা বলেছে, পিএসসি চাইলে এটা করতে পারে।'
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন ইমরান শিশির। আরও উপস্থিত ছিলেন রেজাউল ইসলাম, সৌরভ দাস, রুহুল আমিন ও তানায়েম তনু প্রমুখ।