পেশাজীবীদের জন্য পরিবারসহ কানাডায় ইমিগ্র্যান্ট হবার সুযোগ



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease
উন্নত বিশ্বের একটি দেশে পরিবারসহ অনেকেরই বসবাস করার ইচ্ছা থাকে। উন্নত কাজের পরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ইত্যাদি কারণে কানাডা সবার পছন্দের শীর্ষে। বাংলাদেশে এই ক্ষেত্রে সুনামের সাথে কাজ করছেন আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ। 
 
কানাডা ইমিগ্রেশনের খুঁটিনাটি বিষয়াদি জানতে Worldwide Migration Consultants Ltd এর চেয়ারম্যান  শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, স্কিল্ড ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশি দক্ষ ও যোগ্য লোকজন কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পেতে পারে। প্রফেশনাল দক্ষ অভিবাসন আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রসেস ও ইনকোয়ারির সঠিক জবাব ও অনেকের ক্ষেত্রে আপিলের মাধ্যমে সফলভাবে কাজটি সম্পন্ন করা যায়।
 
স্কিল্ড ইমিগ্রেশন উইথ পি.আর :
 
সম্ভাবনাময় একটি স্থায়ী উপায় হচ্ছে স্কিল্ড প্রোগ্রামে আবেদন করা।এক্সপ্রেস এন্ট্রি ও পি.এন.পি দুই উপায়ে আবেদন করে স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাস করার সুযোগ পাওয়া যায়।
 
এক্সপ্রেস এন্ট্রি: 
 
এটি কানাডার সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রাম। দ্রুত সময়ে কানাডায় স্থায়ী হতে হলে এটিই সবচেয়ে ভালো প্রোগ্রাম হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বয়স-৩০, আই.ই.এল,টি.এস ৭, মাস্টার্স বা অনার্স ডিগ্রি এবং সাথে এক বছরের সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অনেক কম খরচে এক্সপ্রেস এন্টির মাধ্যমে স্বল্প সময়ে পরিবারসহ কানাডায় স্থায়ী হওয়া যায়। সর্বশেষ ড্রতে মোট ৩৭৫০ জনকে আই.টি.এ দেয়া হয়েছে এবং সি.আর.এস পয়েন্ট ছিল ৪৪২।
 
এছাড়া প্রভিন্সিশিয়াল নমিনি প্রোগ্রামের মাধ্যমেও কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করা যায়। শুধুমাত্র ২০১৮ সালে ৫৫,০০০ অভিবাসীকে স্থায়ীভাবে বসবাস করার অনুমতি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আপনি আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী ও পছন্দ মতো প্রভিন্স সিলেক্ট করেও আবেদন করতে পারেন। যেমন:
 
আলবার্টা প্রভিন্স সর্বোচ্চ সংখ্যক লোকজন নিবে ২০১৮ সালে:
 
২০১৭ সালের ১লা নভেম্বর আলবার্টা প্রভিন্স তাদের ইমিগ্রেশন পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। ৫৬০০ নমিনেশন দেয়া হবে চলতি বছরে। মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ক) ইমপ্লয়ার ড্রাইভেন স্ট্রিম, খ) সেল্ফ ইমপ্লয়েড ফার্মার স্ট্রিম, গ) স্ট্রেটিজিক নিয়োগ স্ট্রিম। অ্যাডমিন অফিসার, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং, ম্যানেজার, ক্লিনিং সুপারভাইজার, ফুড সার্ভিস ইত্যাদি পেশাজীবীরা বিশেষ সুবিধা পাবে। 
 
ব্রিটিশ কলম্বিয়া নমিনি প্রোগ্রাম:
 
চমৎকার আবহাওয়ার কারণেই অনেকেরই প্রথম পছন্দ বি.সি। ২৭ জুন মোট ১৮৩ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মূলত স্কিল্ড ওয়ার্কার, ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট, এন্ট্রি লেভেল অ্যান্ড সেমি স্কিল্ড ক্যাটাগরিতে আবেদন করা যায়। এস.আই.আর.এস ২০০ এর মধ্যে ৭৫ পয়েন্টকে এই প্রভিন্সে আবেদন করার জন্য ভালো একটা স্কোর হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ১৩৫ পয়েন্টধারীদের নিশ্চিতভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
 
মেনিটোভা পি.এন.পি প্রোগ্রাম:
 
গত সপ্তাহে সর্বশেষ ড্রতে স্কিল্ড ওয়ার্কার স্ট্রিমে ১১৯ জন, এক্সপ্রেস এন্ট্রির স্ট্রিমে ১৫৫ জন অনুমতি পেয়েছে। স্কিল্ড ওয়ার্কার এর ক্ষেত্রে ৫২০ পয়েন্টকে ভালো পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।এই প্রভিন্সিশিয়াল নমিনি প্রোগ্রামে আবেদন করতে হয় ২১ থেকে ৪৫ বয়সের মধ্যে।২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতার সাথে IELTS স্কোর-৫ ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন থাকলেই আবেদন করা যায়। ইনভাইটেশন গ্রহণের সময় মেনিটোভায় থাকার বাধ্যকতা নেই।
 
ওনন্টেরিও পি.এন.পি প্রোগ্রাম:
 
সবচেয়ে বেশি সুযোগ থাকে এই প্রভিন্সে।সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার এই প্রভিন্সে ৬৬০০ নমিনেশন দেয়া হবে। ওনন্টেরিওর বিষয়ে আপনি যদি আগ্রহী থাকেন তবে এখনই সঠিক সময় আবেদন করার। কারণ ৮টি পোল খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ফরেন ওয়ার্কার স্ট্রিম সবচেয়ে সহজ ও সুবিধাজনক।
 
সাসকাচুয়ান ইমিগ্রেশন নমিনি প্রোগ্রাম:
 
অতি সম্প্রতি সাসকাচুয়ান তাদের ডিমান্ড লিস্টে পরিবর্তন এনেছে। ৪০০ উপর পেশার লোকজন এখন আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছে। মাত্র ৮০ পয়েন্ট নিয়ে এন্টারপ্রেনার প্রোগ্রামেও আবেদন করে বসবাস করার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
 
নিউ ব্রুন্সউইক:
এক্সপ্রেস এন্ট্রি লেবার মার্কেট 
স্কিল্ড ওয়ার্কার উইথ ফ্যামিলি সাপোর্ট (সাময়িকভাবে বন্ধ) 
স্কিল্ড ওয়ার্কার উইথ ইমপ্লয়ার সাপোর্ট 
 
বিজনেস আবেদন
২২-৫৫ বছর পর্যন্ত বয়সের লোকজন বিভিন্ন শর্ত পূরণ করা সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবেন। ৩ সদস্যের পরিবারের জন্য প্রায় ১৮২৬০ কানাডিয়ান ফান্ডের প্রয়োজন পড়ে। আই.টি, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, কুক, সার্ভিস ম্যানেজার, অ্যাকাউনটেন্ট, সেলস ইত্যাদি পেশাজীবীরা অগ্রাধিকার পায়।
 
প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ড:
 
সবচেয়ে ছোট এই প্রভিন্স
প্রায় ৬০ দেশের লোকজনকে দেখা যায় এই প্রভিন্সে।
এক্সপ্রেস এন্ট্রির মাধ্যমে
লেবার ইমপ্যাক্ট ক্যাটাগরি
বিজনেস ইমপ্যাক্ট ক্যাটাগরির মাধ্যমে আবেদন করা যায়।
 
নোভা স্কর্শিয়া:
গত বছর প্রায় ৪০০০ জন এই প্রভিন্সে বসবাস করার অনুমতি পেয়েছে।
নোভা স্কর্শিয়া ডিমান্ড-এক্সপ্রেস এন্ট্রি স্ট্রিম
নোভা স্কর্শিয়া এক্সপ্রেরিয়ান্স-এক্সপ্রেস এন্ট্রি স্ট্রিম
স্কিল্ড ওয়ার্কার স্ট্রিম
ফ্যামিলি বিজনেস ওয়ার্কার স্ট্রিম। এই মোট ৪টি ক্যাটাগরিতে আবেদন করে বসবাস করার অনুমতি পাওয়া যায়।
 
নিউ ফাউন্ডল্যান্ড অ্যান্ড ল্যাবরাডোর:
মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে এই প্রোগ্রাম ভাগ করা।
এক্সপ্রেস এন্ট্রির মাধ্যমে
স্কিল্ড ওয়ার্কার ক্যাটাগরি
ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট ক্যাটাগরি।
 
কুইবেক ইমিগ্রেশন প্রোগ্রাম:
 
কুইবেক কানাডার একটি প্রভিন্স হলেও এর সিলেকশন পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। মিনিমাম ১৮ বছর না হলে আবেদন করা যায় না। IELTS স্কোরে প্রয়োজন হয় ৫-৬ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা। ফ্রেন্স ভাষার ক্ষেত্রে CLB-5 হলেই চলবে। 
 
 
ট্রেড স্কিল্ড প্রোগ্রাম :
যেহেতু কানাডায় ট্রেড স্কিল্ড কাজের সুযোগ বেশি এবং প্রচুর লোকজনের প্রয়োজন হয়। সুতারাং শুধু এই ক্যাটাগরিতেই সর্বাধিক সংখ্যক লোকজন অভিবাসনের সুযোগ পাবে।আবেদনকারীর বয়স ৩৯ বছরের মধ্যে হতে হবে। মনে রাখতে হবে ট্রেড স্কিল্ড এর মেয়াদকাল অন্ততপক্ষে ০২ বছর হতে হবে অথবা ভোকেশনাল যেমন: ক) ইলেকট্রিকাল ওয়ার্কস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, খ) ইলেকট্রনিক্স কন্ট্রোল অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, গ) মেশিন টুলস অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, ঘ) অটোমোবাইল, ঙ) বিল্ডিং কনসট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, চ) কম্পিউটার অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স। প্রচুর বেতন, থাকা খাওয়ার সুবিধা, ভালো কাজের পরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা, স্থায়ী হবার অপার সম্ভাবনা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করলে এই প্রোগ্রামটি অনেকের জন্যই একটি উপযুক্ত একটি প্রোগ্রাম।
 
এ বিষয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে লেখক, কলামিস্ট, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের। তিনি জানান, প্রকৃতপক্ষে যাদের যোগ্যতা আছে তাদের আর দেরি না করে এখনই আবেদন করা ঠিক হবে এবং অযোগ্য লোকদের আবেদন করার দরকার  নেই। ২০১৮ সালে যেহেতু দক্ষ লোকজনের কোটা অনেক বেশি। সুতারাং আবেদন করতে ইচ্ছুক লোকজনদের সবকিছু জেনে প্রস্তুতি নেবার এটাই উপযুক্ত সময়।
 
তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন যে অযোগ্য ব্যক্তিরা অযথাই আবেদন করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না। আগ্রহী ব্যক্তিরা এই বিষয়ে সরাসরি আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক আইনবিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এবং ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালটেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।আপনার পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে পারেন এই ই-মেইল [email protected] ঠিকানায়। ফোনে প্রাথমিক তথ্যের জন্য কথা বলতে পারেন ০১৯৬৬০৪১৫৫৫,  ০১৯০৪০৩৬৮৯৯ , ০১৯০৪০৩৬৮৯৮, ০১৯০৯০৮৩৯৬২ , ০১৯০৯০৮৩৯৬৩ এই নম্বরে। এছাড়া ভিজিট করুন www.wwbmc.com. ওয়েবসাইটে। ঢাকার উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁও জনপথে অবস্থিত খান টাওয়ারে ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালটেন্ট লিমিটেডের অফিসেও সরাসরি এসে খোঁজ নিতে পারেন।
 
   

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন

  • Font increase
  • Font Decrease

১৮তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের (এনটিআরসিএ) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে স্কুল পর্যায়ে দুই লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন, স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন এবং কলেজ পর্যায়ে দুই লাখ ২৮ হাজার ৬৮১৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। আর সর্বমোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন এর স্কুল, স্কুল পর্যায়-২ ও কলেজ পর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। পাসের গড় হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। 

পরীক্ষার ফলাফল http://ntrca.teletalk.com.bd/result/ লিংকের মাধ্যমে জানা যাবে। এছাড়াও উত্তীর্ণদের মোবাইলে এসএমএস'র মাধ্যমেও ফলাফল জানিয়ে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন এর স্কুল, স্কুল পর্যায়-২ এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত দেশের ৮ বিভাগের ২৪ জেলা শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

একই দিন বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ।

জানা যায়, ২ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে প্রায় ১৯ লাখ চাকুরীপ্রার্থী আবেদন করেন।

;

প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫৪৫৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৫৬ জন।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের ২২ জেলায় (খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এসব প্রার্থী পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

প্রকাশিত ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.govt.bd এ পাওয়া যাবে। 

উল্লেখ্য, প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এবারই প্রথম আবেদন ও নিয়োগ পরীক্ষা ধাপে ধাপে নেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

;

দরিদ্র মানুষের পাশে থাকতে চাই সবসময় : আবির হাসান



ক্যারিয়ার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আবির হাসান, ছবি: সংগৃহীত

আবির হাসান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দরিদ্র কৃষক-গৃহিণী দম্পতির কোল আলো করে জন্ম নেন আবির হাসান। কে জানতো এই আবির হাসানই একদিন সেনাবাহিনীর অফিসার হয়ে এলাকার নাম উজ্জ্বল করবেন। এমনটাই করে দেখিয়েছেন পাবনার চাটমোহর এলাকার সন্তান আবির হাসান।

চাটমোহর এলাকার আবির হাসান ছিলেন ছোটবেলা থেকেই দুরন্ত। ইচ্ছে ছিল একদিন অনেক বড় হবেন, কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় দারিদ্রতা। তবে দারিদ্রতা যে সফলতার রাস্তার বাঁধা হতে পারে না, সেটা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন আবির।

বাবার সঙ্গে লাঙ্গল নিয়ে মাঠে চাষ করেছেন আবার ঠিকই লেখাপড়াও করেছেন। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছেলে সে। তার মনের বাসনায় ছিল পরিবারের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন। পরিবারের সবার ছোট ছেলেটাই এখন আর্মি অফিসার।

যদিও প্রথমে সেনাবাহিনীতে চাকরি করার ইচ্ছে ছিল না তার, তবুও পরিবারের চাওয়ায় যুক্ত হোন সেনাবাহিনীতে। তার পর থেকে কঠোর পরিশ্রম আর মেধা সৃজন দিয়ে নিজেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন আবির হাসান।

গ্রাম থেকে নবম শ্রেণি পাশ করে মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হোন, সেখান ভালো ফলাফল করে। গ্রাজুয়েশনের জন্য ভর্তি হোন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিউপি)। সেখান থেকে স্নাতক পাশ করেন। আমেরিকান কমান্ডো ট্রেনিংও করেছেন আবির।

দরিদ্র পরিবার থেকে বেড়ে উঠার কারণে দারিদ্রতা কাছ থেকেছেন আবির। তাই দরিদ্র মানুষের পাশে থাকেন সবসময় আবির। মানুষের দুঃখ কষ্টের সঙ্গী হতে চেষ্টা করেন। যেমন তিনি নিয়েছেন নিজ পরিবারের দায়িত্ব, তেমনি গরীব পরিবারের দায়িত্বও নিজ হাতে নিয়েছেন তিনি।

আবির হাসান বলেন, দারিদ্রতাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। আল্লাহর রহমতে এখন আমি সফল। আমি দরিদ্র মানুষেরদের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই।

আবির হাসান সবসময় নিজেকে একজন আর্দশবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তার প্রত্যাশা আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

;

গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাশের হার ৩৬.৩৩ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত জিএসটির ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

এ পরীক্ষায় পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে ঢুকে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন।

রোববার (৫ মে) দুপুরে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের কাছে টেকনিক্যাল কমিটির পক্ষ থেকে ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল তুলে দেওয়া হয়।

বিকেলে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভায় উপস্থাপনের পর তা প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ঘোষিত ফলাফলে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য এবছর ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। এর মধ্যে ৮৫ হাজার ৫৪৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে ৩১ হাজার ৮১ জন শিক্ষার্থী ৩০ নম্বরের উপরে পেয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যার হিসাবে পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

এছাড়া বিভিন্ন কারণে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ তথা ২৩ জন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে। ‘বি’ ইউনিটের গতবার পাসের হার ছিল ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটির ওয়েবসাইট (https://gstadmission.ac.bd/) থেকে ফলাফল জানতে পারবেন।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ‘বি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭৬ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রুকাইয়া ফেরদৌস লামিয়া। কৃতিত্বপূর্ণ এ শিক্ষার্থী ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী।

এছাড়া ৭৫ নম্বরের উপরে ১ জন, ৭০ নম্বরের ওপরে ৭ জন, ৬৫ নম্বরের উপরে ৪৯ জন, ৬০ নম্বরের উপরে ২১৯ জন, ৫৫ নম্বরের উপরে ৭৮৩ জন, ৫০ নম্বরের উপরে ২৪২৫ জন, ৪৫ নম্বরের উপরে ৫৮৩০ জন, ৪০ নম্বরের উপরে ১১৬৪৬ জন, ৩৫ নম্বরের উপরে ২০১৩২ জন এবং ৩০ নম্বরের উপরে ৩১০৮৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে।

‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের সময় অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো তিনটি ইউনিটে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৩ মে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যারা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের সামরিক-বেসমারিক, আধা-সামরিক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

ফলাফল প্রকাশের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, টেকনিক্যাল উপ-কমিটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব প্রমুখ।

এদিকে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের আর্কিটেকচার (ড্রয়িং) পরীক্ষার ফলাফলও ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ড্রয়িং (ব্যবহারিক) পরীক্ষার মোট নম্বরের ৩০ শতাংশকে পাস হিসেবে বিবেচনা করে ৮৭৭ জনকে উত্তীর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাসকৃত শিক্ষার্থীরাও আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের ফলাফল দেখতে পাবেন। গুচ্ছভুক্ত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচারে ভর্তির জন্য মোট ১৬৫টি আসন রয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা পূর্বেই কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

;