ব্যবসার জন্য আইডিয়া কতটা জরুরি?



মীর মোঃ তাসনীম আলম, সহকারী ব্যবস্থাপক, পিকেএসএফ
ব্যবসার জন্য আইডিয়া কতটা জরুরি?

ব্যবসার জন্য আইডিয়া কতটা জরুরি?

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঠাও'র সহউদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ সম্প্রতি নিউইয়র্কে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে মর্মান্তিকভাবে খুন হন। তিনি জনপ্রিয় ব্লগ মিডিয়ামে নিয়মিত লেখালেখি করতেন। 'ব্যবসার জন্য আইডিয়া কতটা জরুরি?' বিষয়ক লেখাটি তিনি মিডিয়ামে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর প্রকাশ করেন। লেখাটির অনুবাদ পাঠকদের জন্য দেয়া হলো-

আপনি একটি চমৎকার আইডিয়া বের করে ফেলতে পারেন। তবে শুধুমাত্র এই আইডিয়াই আপনাকে সফল উদ্যোক্তা বানাবেনা।

নতুন আইডিয়া হল আপনার ব্যবসার মাত্র ১ ভাগ, বাকি ৯৯ ভাগ নির্ভর করবে নিচের বিষয়গুলোর উপর-

  • ভাল একটি দল বানাতে হবে

  • মার্কেট নিয়ে পুরোপুরি ধারণা থাকতে হবে, করতে হবে প্রচুর গবেষণা

  • মার্কেটে থাকা বাকি সবার থেকে ভাল প্রচারণা চালাতে হবে

  • পর্যাপ্ত মূলধন যোগাড় করতে হবে

  • নিজের প্রতিষ্ঠানকে একটা টেকসই অবস্থানে নিয়ে যেতে হবে

  • সময় কাজে লাগাতে হবে 

এবং আরো অনেক ব্যাপার।

পরিকল্পনা বাস্তবায়ন

চমৎকারভাবে বাস্তবায়ন করে ফেললে একটা মোটামুটি আইডিয়াও অসাধারণ হয়ে যেতে পারে। আবার উল্টোটাও হয়। চমৎকার একটা প্ল্যান নষ্ট হয়ে যেতে পারে ভুলভাবে সম্পাদনা করলে। যদি আপনার একটা চমৎকার আইডিয়াকে যদি ব্যবসায় পরিণত করতে চান, নিচের বিষয় গুলো খেয়াল রাখবেনঃ 

আইডিয়া চুরি নিয়ে ভাবনা নয়!

আপনার পরিকল্পনা অন্য লোকে চুরি করে ফেলবে এটা নিয়ে চিন্তা করা অমূলক। আপনার আইডিয়াকে সফল একটা ব্যবসায় পরিণত করার জন্য অন্য লোকের সেই পরিমান উদ্যম, ইচ্ছা আর স্বপ্ন থাকবে, বেশিরভাগ সময়েই এটা হতে দেখা যায়না। সম্ভবনা নেই বললেই চলে।

মার্ক জাকারবার্গের ধার করা আইডিয়া ফেসবুক কিন্তু অন্য কথা বলে। সত্যি বলতে আপনি আপনার আইডিয়া কারও সাথে শেয়ার করেন আর নাই করেন, জাকারবার্গেরা সফল হবেন।

অথচ নিশ্চিতভাবেই মানুষের সাথে আইডিয়া শেয়ার করার লাভটা আরেকটা জাকারবার্গের পাল্লায় পড়ার ঝুঁকি থেকে অনেক গুণ বেশি। আপনি মানুষ থেকে ফিডব্যাক নিয়ে নিয়ে আপনার আইডিয়াকে সেরা রুপে নিয়ে যেতে পারবেন।

প্রতিদ্বন্দিতার উপর বেশি গুরুত্ব না দেওয়া

এর চেয়ে মনোযোগ দিন শুধুমাত্র আপনার পণ্যের উপর। এটা ছাড়া সব কিছুই শুধু আপনার সময় এবং শক্তি নষ্ট করবে, কাজের কাজ কিছু হবেনা।

পণ্যটি বাজারে ছাড়ার পর শুধু খেয়াল রাখুন মার্কেট কিভাবে পণ্যটিকে গ্রহণ করছে। যখন মার্কেট থেকে বাজে প্রতিক্রিয়া পাবেন, শুধুমাত্র তখন কিছু পরিবর্তনের চিন্তা-ভাবনা করুন, নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী বাজারে আসার পর নয়।

যখন আমরা বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস- পাঠাও নিয়ে আসি, আমরা মার্কেটে প্রথম ছিলাম না। উল্টো আমাদের বাজারে আসার আরো দুই সপ্তাহ আগেই একটি প্রতিষ্ঠান মার্কেটে আসার ঘোষণা দিয়ে প্রেস কনফারেন্স করে ফেলে। অনেক হাইপ সৃষ্টি করে মার্কেটে ওরা। দেশের পরিবহন ব্যবস্থাকে রাতারাতি পালটে দিতে পারে এরা, এরকম কথাও অনেকে বলাবলি করতে থাকে। আমরা কুঞ্চিত কপাল নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম। কিছুটা দুশ্চিন্তাতেও ছিলাম।

পাঠাও'র সহউদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ

 

কিন্তু তাদের শুরুটাই ছিল বিপর্যয়। তাদের অ্যাপে ছিল হাজারটা বাগ, ছিলনা পর্যাপ্ত মোটরসাইকেল ড্রাইভার। রাস্তায় নামার প্রথম কিছু সপ্তাহ তাদের জন্য ছিল এক ভয়াবহ দূর্যোগ। তবে এটা ঠিক তারা পাঠাও'র জন্য রাস্তাটা তৈরি করে দিয়েছিল এবং আমরা সফল ভাবে আমাদের আইডিয়া বাস্তবায়ন করেছিলাম। আমরা আরো ভালো সার্ভিস, দ্রুততর ডেলিভারি এবং পর্যাপ্ত মোটরসাইকেল ড্রাইভার নিয়ে এসেছিলাম। আমরা নিশ্চিত করেছিলাম আরো স্বচ্ছন্দ এবং কার্যকর একটা অ্যাপ।

কোম্পানিটি মার্কেট থেকে ছিটকে সরে যায় আমাদের কারণে। এবং আজকে ১ লাখেরও বেশি মোটরসাইকেল চালক এবং নেট ভেলুয়েশন ১২০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে পাঠাও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং সার্ভিস- যেখানে আমরা মার্কেটে প্রথমও ছিলাম না।

আইডিয়া হল শুধুমাত্র শুরু

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেরই বর্তমান তাদের শুরুর দিকের আইডিয়ার সাথে সম্পূর্ন আলাদা। আপনি সময়ের সাথে সাথে শেখা বিষয়গুলো দিয়ে আপনার আইডিয়াকে প্রতিনিয়ত ঘষামাজা আর ওলটপালট করে আরো উন্নত করবেন। এরকম অনেক সময় আসবে যখন একজন উদ্যোক্তা বুঝে ফেলবে তার পণ্যটা বাজারে ছাড়ার জন্য উপযুক্ত নয়। এরকম অনেক সময় আসবে যখন একজন উদ্যোক্তা বুঝে ফেলবে তার এনার্জি ড্রিংকটা মানুষ কিনতে চাচ্ছেনা কারণ এটা অস্বাস্থ্যকর। সুতরাং এটাকে স্বাস্থ্যকর করতে হবে- শিখতে হবে প্রত্যকটা হোচট থেকে।

আমি নিশ্চিত প্রাংক-কল ওয়েবসাইটের ধারণা নিয়ে আমি মার্কেটে প্রথম আসিনি। কিন্তু আমি সেই কিছু মানুষের মধ্যে একজন যে ধারণাকে বাস্তবায়ন করেছে। ২০০৯ সালে আমার PrankDial ওয়েবসাইটটি মার্কেটে আসার পর আরো ৭টি একই রকম ওয়েবসাইট মার্কেটে এসেছে। তারা প্রত্যেকে ব্যর্থ হয়েছে। অপরদিকে আমার PrankDial এখন পর্যন্ত ১০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

শুধুমাত্র অসাধারণ আইডিয়া দিয়ে বসে থাকলে কাজের কাজ কিছু হবেনা। এর বদলে এটা চিন্তা করুন কিভাবে আইডিয়াকে বাস্তবিক রুপ দেওয়া যায়। ব্যবসা সফল করার জন্য ভাল আইডিয়া অনেক ফ্যাক্টরের একটি শুধুমাত্র। ঠিকঠাক বাস্তবায়নই আসল কথা।

অনুবাদ: মীর মোঃ তাসনীম আলম, সহকারী ব্যবস্থাপক, পিকেএসএফ 

   

৪৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ১১ হাজার ৭৩২, ভাইভার তারিখ প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১১ হাজার ৭৩২ জন চাকরিপ্রার্থী। ভাইভা শুরু হবে ৮ মে থেকে। পিএসসি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে পিএসসির এক বিশেষ সভা শেষে বেলা ৩টার পর এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে সই করেছেন পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস।

এক বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি জানায়, ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২১ এর লিখিত পরীক্ষায় সাময়িকভাবে ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। 

ফল দেখতে এখানে ক্লিক

উল্লেখ্য, ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। এরপর ২০২২ সালের ২৭ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের মাধ্যমে রেকর্ড করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ পরীক্ষার্থী পাস করেন।

৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।

;

৪৪তম বিসিএসের ফল প্রকাশের তারিখ নির্ধারণে পিএসসির জরুরি সভা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঠিক করতে বিশেষ সভা ডেকেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। জানা গেছে, সভায় এই বিসিএসের ভাইভা পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হতে পারে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় এ বৈঠক হবে বলে পিএসসির একটি সূত্র জানিয়েছে।

পিএসসি সূত্র জানায়, বেলা আড়াইটায় সদস্যদের নিয়ে চেয়ারম্যান বিশেষ সভা ডেকেছেন। সভায় ৪৪তম বিসিএসের ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এতে ভাইভার তারিখের ধারণা দেওয়া হতে পারে। সভা শেষ হলে বিস্তারিত জানা যাবে।

উল্লেখ্য, ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। এরপর ২০২২ সালের ২৭ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের মাধ্যমে রেকর্ড করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ পরীক্ষার্থী পাস করেন।

৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।

;

৪১তম বিসিএসের ২৪৫৩ ক্যাডার নিয়োগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৪১তম বিসিএস থেকে ২৪৫৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্ধারিত শর্ত মেনে নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের আগামী ২৮ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা আছেন ৩২১ জন। তাঁরা সহকারী কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন ১০০ জন। বাকিরা অন্যান্য ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন।

এর আগে গত বছরের ৩ আগস্ট এই বিসিএসে ২ হাজার ৫২০ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল পিএসসি।

;

প্রাথমিকে ফের ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রাথমিকে ফের ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ

প্রাথমিকে ফের ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩ হাজার ৭৮১ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

এই নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হলে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১:৩০, অর্থাৎ প্রতি ৩০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক হবে বলেও জানান তিনি।এছাড়া এই কার্যক্রমে এসডিজি অর্জনের পথে অনেক ধাপে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

সচিব জানান, স্বাধীনতা পর একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৩৫৫ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। শিক্ষক নিয়োগের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩০ করার এসডিজির যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তার আগেই আমরা পূরণ করতে পারবো।

তিনি আরও জানান, আগামী ৩ বছরের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর বিদ্যমান ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক অবকাঠামো/পরিবর্তন উন্নয়ন করে দৃষ্টিনন্দন করা হবে। এছাড়া উত্তরাতে ৩টি ও পূর্বাচলে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুনভাবে স্থাপন করা হবে। এরই মধ্যে ১৫৬টি বিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করা হয়েছে, তার মধ্যে ৪৩টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলমান।

এর আগে, ৩ মার্চ জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী জানিয়েছেন, গেল এক যুগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে বেসরকারি ও রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৪ হাজার ৮৭৫ শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করা হয়েছে।

;