একজন নতুন উদ্যোক্তার কী কী প্রয়োজন?



সোহেলী জান্নাত,পিএইচডি গবেষক, ইউজিসি
একজন নতুন উদ্যোক্তার কী কী প্রয়োজন?

একজন নতুন উদ্যোক্তার কী কী প্রয়োজন?

  • Font increase
  • Font Decrease

আপনি যদি নতুন করে ব্যবসায় নামতে চান, কিংবা ঢিমেতালে চলতে থাকা পুরাতন ব্যবসাকে নতুন করে ঝালিয়ে নিতে চান তবে কতিপয় দিকে আপনাকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

সঠিক মাত্রার আত্মবিশ্বাস
আত্মবিশ্বাসী মানুষ সফল হয়, এ কথা আমরা সবাই জানি, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস মানুষকে বিভ্রান্ত করে ফেলে, আত্মবিশ্বাস তখন অহংকারের পর্য়ায়ে চলে যায়। আবার দুর্বল আত্মবিশ্বাসী মানুষকে কেউ পছন্দ করে না, ভরসা করে না। বাস্তবতার অভিজ্ঞতায় দেখবেন সংসারে বাবা বা বড় ভাই শ্রেণির মানুষের কথা অনেকসময় ভুল হলেও আমরা হাসিমুখে মেনে নেই! বিপদে আপদে তাদেরই ভরসা করি। কারণ তারা ভুল কথাটাও আত্মবিশ্বাস থেকে বলেন। অনেক পরিবারে মায়েরাও আত্মবিশ্বাসী হয়ে পরিবার মেইনটেইন করেন। ব্যবসা যেহেতু অনেকটা নির্ভর করে পারসোনাল ব্রান্ডিং এর উপর, আপনাকে ভরসা করলে আপনার পন্যও কিনতে পারবে ক্রেতা নির্ভাবনায়। আত্মবিশ্বাসই প্রথম ধাপ যেটা আপনাকে ব্যবসার ক্ষেত্রে পজেটিভ ভাইভ দিবে। একটা গল্প বলি।

আমার এক ছাত্র গেছে করপোরেট অফিসে ভাইভা দিতে। তো, প্রয়োজনীয় একাডেমিক বিষয় জিজ্ঞাসা করার পর একজন নিয়োগকর্তা হুট করেই জিজ্ঞাসা করে বসলেনঃ
আচ্ছা বলেন তো, এই জগৎটা কার বশ?
ছাত্রটি প্রথমে মনে মনে বিভ্রান্ত হল, ভাবলো কার কথা বলি... কার কথা বলি... মহা মুশকিল তো! পরে উত্তর খুঁজে না পেয়ে সময়ক্ষেপণের জন্য যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রশ্নকারীর প্রশ্নটাই রিপিট করলোঃ
জগৎ টা কার বশ!

সঙ্গে সঙ্গে তুমুল হাততালি সবার! পারফেক্ট বলেছেন। আপনাকেই আমাদের করপোরেট অফিসে চাই! আসলেই এ পৃথিবীটা টাকার কাছে বশ! ছাত্র এবার মেলালো...
ও তাইতো! প্রশ্নটাই উত্তর!
জগৎ টা কার বশ?
জগৎ টাকার বশ!

নেতিবাচকতাকে ইতিবাচকতায় পরিণত করা
চলার পথে এমন হরহামেশাই ঘটে, যে আমরা না চাইতেও ভুল করে ফেলি! ভুল মানুষকে বিশ্বাস করি, ভুল জিনিস নির্বাচন করে ফেলি। এরপরে আবার নিজেরাই হতাশায় ভুগে সেই সামান্য করে ফেলা ভুলটুকুকে বাড়িয়ে দীর্ঘ করে ফেলি। থামুন! আপনি মানুষ, যন্ত্র নয়! আপনার আবেগ আছে, মন আছে! ভুল করেছেন বলেই আপনি মানুষ! ভুল করেছেন ভাল কথা। এবার সেই ভুলটাকে কীভাবে সঠিক করা যায় সেটি নিয়ে আপনাকে মাথা খাটাতে হবে, এবং দ্রুত সেই ভুলকে কর্ম দিয়ে বুদ্ধি দিয়ে সাফল্যে পরিবর্তন করতে হবে। এক্ষেত্রেও একটি উদাহরণ দেই। এক সাংবাদিক গেছে গ্রামের এক স্কুলে জেএসসিতে এ প্লাস পাওয়া ছাত্ররা আসলেই মেধাবী কি না, সেটি যাচাই করতে। তার আসল উদ্দেশ্য ছিল এ প্লাস পাওয়া ছাত্রদের হেও করা, ছোট করা। সে কারণে সে ইচ্ছে করেই এমন প্রশ্ন করছে যেন ছাত্ররা ভুল উত্তর করে এবং সে এটা মজা করে তা প্রচার করতে পারে। এরকম করে করে এক ছাত্রকে সে প্রশ্ন করল আচ্ছা বলতো দেশের বর্তমান জনসংখ্যা কত? ছেলেটি জানতো উত্তর ১৬ কোটি। কিন্তু মুখ ফস্কে বেড়িয়ে গেলো.. ৩২ কোটি!
সাংবাদিকতো হেসেই খুন! সে যা চাচ্ছিল তাই হয়েছে। ছাত্রটি ভুল করেছে!

ছাত্রটি বুঝল টিভিতে লাইভ সম্প্রচারে এমন ভুল সত্যি তার স্কুলকে বিপদে ফেলতে পারে! যেটা স্কুলের জন্য, তার নিজের জন্য ভয়ানক নেতিবাচক প্রভাব এনে দেবে! তখন সে দ্রুত বুদ্ধি করে ডেকে বললোঃ

ভাই! দাঁড়ান! আগে শুনবেন না ৩২ কোটি কেন বললাম?
: তুমি জান না তাই বলেছো! সোজা হিসেব!
: হা হা! আসলে ভাই আপনিই সমকালীন তথ্য রাখেন না! আগে হয়তো ছিল ১৬ কোটি। কিন্তু এ বছর থেকে দেখেন সরকার দলীয় নেতারা বলে যাচ্ছেন, "আমাদের সাথে দেশের ১৬ কোটি জনগণ আছে!" আবার বিরোধী দলও বলে যাচ্ছে "আমাদের সাথে দেশের ১৬ কোটি জনগণ আছে!" এখন এই খ্যাতিমানরা নিশ্চয়ই মিথ্যুক নন! এরাই দেশবরেণ্য নেতা, এরাই মন্ত্রী! এদের উভয়ের কথা সত্যি হলে দেশের জনগণ অবশ্যই ৩২ কোটি!

সাংবাদিকের তো আক্কেলগুড়ুম! বাপরে কত মেধাবী এই স্কুলের বাচ্চারা! সহজেই নেতিবাচকতা বদলে ইতিবাচকতায় পরিনত হলো!

সঠিক পণ্য নির্বাচন, সঠিক ইনভেস্টমেন্ট
আপনি একটি ব্যবসায় নামার আগে আপনাকে প্রথম যে দুটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে, সেটি হল আপনার পণ্যের উৎস সহজ এবং আপনার হাতের কাছে এভেইলেবেল কি না সেটা দেখা, এবং সে পন্যের বাজারে চাহিদা কেমন। সহজ কথায় বললে বাজার রেকি করা। পন্যের উৎসের ক্ষেত্রে যদি আপনি অরিজিনাল উৎস থেকে সরাসরি ক্রয় করতে পারেন তবে কম মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন। আপনার কষ্টও কম হবে এক্ষেত্রে। যেমন বাগেরহাটের কথাই বলি। বাগেরহাটের ইউনিক জিনিস, পান সুপরি, চিংড়ি, নারকেল তেল। এবার উদ্যোক্তা যদি এ এলাকার হয় তবে তার উচিৎ হবে পন্য নির্বাচনে এগুলোকে বেশি প্রায়োরিটি দেয়া। এখানে সে সহজেই অরিজিনাল উৎস থেকে কমে জিনিশ কিনে বাজারে কমে দিতে পারবে। যেটা ঢাকা বা অন্যজেলার একজন উদ্যোক্তা পারবে না। কেননা চিংডি বা তেল কিনতে তাকে বাগেরহাটে নিজে আসতে হবে যেটাতে পরিশ্রম অধিক হবে, আর ব্রোকার বা মধ্যস্বত্তভোগীর মাধ্যমে কিনলে দাম বেশি পরবে, ফলে তুলনামূলক কমে বাজারে ছাড়তে পারবে না!। তার ব্যবসায় প্রসার ঘটানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে।

তাই পণ্য চুজের ব্যাপারে এদিকে প্রথম নজর দিতে হবে।

এবার যে পণ্য আপনি কিনবেন বা উৎপাদন করবেন, সেটার মারকেট ভ্যালু আছে কি না যাচাই করা। একটা সত্য ঘটনার উদাহরণ দেব এক্ষেত্রঃ

কিশোরগঞ্জের এক প্রান্তিক চাষী একবার ধান বাদ দিয়ে পাট উৎপাদন করেছিল প্রচুর! সে অনুমান করেছিল বাজারে যেহেতু পাটের খুব চাহিদা, আদমজী জুটমিলের লোক এসে সহজেই তার পাট উচ্চমূল্যে কিনে নেবে। সে স্বপ্ন দেখতে লাগলো পাট বিক্রি করে লাখপতি হবার। অত:পর কঠোর পরিশ্রমে পাট চাষ করে পুরো প্রক্রিয়া শেষে সে যখন বাজারে পাট তুলল, কেউ তার পাট কিনতে এল না! পর পর সাতদিন বাজারে তোলার পরও যখন তার পাট বিক্রি হলো না, তখন সে ভাবলো ঘটনা কী! মিলের লোক কেন আসে না!

এবার সে মিলের অবস্থা যাচাই করতে দু টাকা দিয়ে ট্রেনের টিকেট কেটে নারায়ণগঞ্জ এলো আদমজী জুটমিলে। এসে দেখলো জুট মিল সে বছরের শুরুতেই বন্ধ হয়ে গেছে! পাট কেনাতো দূরের কথা এখানকার শ্রমিকরা হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে দেদারছে নেশাগ্রস্ত হয়ে পরছে!

লোকটি এবার তুমল লসে পরে আর দেনার কথা ভেবে উৎপাদিত পাটে আগুন দিয়ে নিজেই তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ল! সে সময়ের বড় বড় পত্রিকায় সে নিউজ ছাপা হয়েছিলো।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি অধ্যাপক মীজান স্যার এক পলিসি মেকিং সংক্রান্ত সভায় এই ঘটনা তুলে ধরে প্রশ্ন তুলেছিলেন এই চাষীর মৃত্যুর জন্য আসলে কে দায়ী ?

দায়ী মূলত চাষী নিজে! কেননা সে পাট চাষের সিদ্ধান্ত নেবার আগে আদমজী জুট মিলে খোঁজ নেয় নি, পাট বিক্রি হবে কি না! তার দু হাজার টাকা পাটে ইনভেস্ট করার আগে দু টাকা দিয়ে রেলে চেপে নারায়ণগঞ্জ আসা উচিৎ ছিল, পাট চলবে কি না যাচাই করার জন্য! সে যদি আগে এখানে আসতো তবে নিশ্চিতভাবে বুঝে যেত এখানে এখন পাটের প্রয়োজন নেই! হতাশায় ভোগা শ্রমিকদের প্রয়োজন সস্তা নেশাদ্রব্য! ফলে সে ফিরে গিয়ে বরং তামাক বা গাজা পাতা চাষে ইনভেস্ট করতো! এবং সেটি বিক্রয় করে অধিক মুনাফা পেতে পারতো।

আর ইনভেস্টমেন্টের সঠিক পরিমাণ কী হওয়া উচিৎ এ সংক্রান্ত একটি মজার গল্প বলে লেখা শেষ করবো। শিক্ষক ক্লাসে বিটলুকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ

বিটলু বলতো আমাদের দেশের সরকার মেয়েদের শিক্ষায় বেশি ইনভেস্ট করে ছেলেদের জন্য করে না কেন?

বিটলুর বিটকেলে উত্তরঃ স্যার সরকার ভাল করেই জানে, মেয়েরা স্কুলে আসলে ছেলেগুলি এমনিতেই আসবে! অযথা পয়সা খরচ করে লাভ কী!

শিক্ষকঃ তবেরে! ছেচড়া বাদর ছেলে!

হা হা। আপনিই ভাল বুঝবেন আপনি কত টাকা কোন খাতে মার্কেটে ঢাললে সঠিক সময়ে জাল ফেলে তুলে নিতে পারবেন! বিচক্ষণতা এক্ষেত্রে বেশি প্রয়োজন।

পরিশেষে, স্বপ্ন দেখুন। সঠিক পদক্ষেপে সে স্বপ্নের বীজকে ফুলে ফলে সুশোভিত বৃক্ষে পরিণত করুন।
শুভকামনা সবার জন্য।

 লেখক: সোহেলী জান্নাত

 পিএইচডি গবেষক, ইউজিসি ও
 সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ,   জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

   

৪১তম বিসিএসের ২৪৫৩ ক্যাডার নিয়োগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৪১তম বিসিএস থেকে ২৪৫৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্ধারিত শর্ত মেনে নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের আগামী ২৮ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা আছেন ৩২১ জন। তাঁরা সহকারী কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন ১০০ জন। বাকিরা অন্যান্য ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন।

এর আগে গত বছরের ৩ আগস্ট এই বিসিএসে ২ হাজার ৫২০ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল পিএসসি।

;

প্রাথমিকে ফের ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রাথমিকে ফের ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ

প্রাথমিকে ফের ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩ হাজার ৭৮১ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

এই নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হলে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১:৩০, অর্থাৎ প্রতি ৩০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক হবে বলেও জানান তিনি।এছাড়া এই কার্যক্রমে এসডিজি অর্জনের পথে অনেক ধাপে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

সচিব জানান, স্বাধীনতা পর একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৩৫৫ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। শিক্ষক নিয়োগের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩০ করার এসডিজির যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তার আগেই আমরা পূরণ করতে পারবো।

তিনি আরও জানান, আগামী ৩ বছরের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর বিদ্যমান ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক অবকাঠামো/পরিবর্তন উন্নয়ন করে দৃষ্টিনন্দন করা হবে। এছাড়া উত্তরাতে ৩টি ও পূর্বাচলে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুনভাবে স্থাপন করা হবে। এরই মধ্যে ১৫৬টি বিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করা হয়েছে, তার মধ্যে ৪৩টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলমান।

এর আগে, ৩ মার্চ জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী জানিয়েছেন, গেল এক যুগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে বেসরকারি ও রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৪ হাজার ৮৭৫ শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করা হয়েছে।

;

১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন: সিলেটে ৩৬ এলাকায় শুক্রবার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা উপলক্ষে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় আগামী শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মিছিল-সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক গণবিজ্ঞপ্তিতে সিলেট মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে জনসমাবেশ, মিছিল, ঢাকঢোল বাজানো, লাউড স্পীকার ব্যবহার, অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, ইট পাথর, ইত্যাদি বহন, ব্যবহারসহ শান্তিশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে এমন যেকোনো কাজ করা নিষিদ্ধ ঘোষণার পাশাপাশি প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রকে পরীক্ষা চলাকালীন অস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, ১. সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা, ২. সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ, ৩. দি এইডেড হাইস্কুল, তাঁতীপাড়া, ৪. রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, দাঁড়িয়াপাড়া, ৫. সরকারী অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, জিন্দাবাজার, ৬. সিলেট সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট (কেন্দ্র-১) ৭. পুলিশ লাইন্স উচ্চ বিদ্যালয়, ৮. বাগবাড়িস্থ মঈন উদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজ, ৯. মিরের ময়দানস্থ ব্লু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, ১০. মদন মোহন কলেজ, ১১. শাহ্জালাল জামেয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, ১২. হযরত শাহজালাল দারুসুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদ্রাসা, ১৩. কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ১৪. সফির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, ১৫. হাজী আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়, ১৬. বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, ১৭. শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা, ১৮. পাঠানটুলা বিলাতিরাল উচ্চ বিদ্যালয়, ১৯. আম্বরখানা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ২০. সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট ২১. সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ২২. দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ, ২৩. সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল রোড, ২৪. ইসরাব আলী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, ২৫. দক্ষিণ সুরমা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, ২৬. সরকারী এমসি কলেজ, ২৭. সিলেট সরকারি কলেজ, ২৮. সৈয়দ হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়, ২৯. জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়, ৩০. হযরত শাহপরাণ (রহ.) উচ্চ বিদ্যালয়, ৩১. শাহ্জালাল উপশহর হাইস্কুল, ৩২. জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, ৩৩. জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজ, ৩৪. স্কলার্সহোম স্কুল এন্ড কলেজ, ৩৫. জহিরিয়া এমইউ হাইস্কুল এন্ড কলেজ, ৩৬. আল আমিন জামেয়া ইসলামিয়া সেকেন্ডারি স্কুল।

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা প্রিলিমিনারি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ।

;

তিন মাসের মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে: প্রতিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
‘তিন মাসের মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে’

‘তিন মাসের মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে’

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, শিক্ষার মান উন্নয়ন, সিলেবাস ও কারিকুলাম নিয়ে আমরা কাজ করছি। আগামী তিন মাসের মধ্যে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। শিক্ষকের যে শূন্যতা রয়েছে তা পূরণ হবে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেলের উদ্যোগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধনের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেন, শিক্ষানীতি নিয়ে আমরা কাজ করছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের স্মার্ট নীতিমালা আনতে হবে। স্মার্ট কারিকুলাম লাগবে, স্মার্ট বাচ্চা তৈরি করতে হবে যারা ভবিষ্যতে নাগরিক হিসেবে তৈরি হবে। আমরা তথ্য প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আমাদের অনেকগুলো পদক্ষেপ নিচ্ছি। ভবিষ্যতে হয়তো আপনারা এগুলোর ফলাফল দেখতে পারবেন।

নতুন শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, নতুন যখন কোনো কিছু আসে, তখন তার পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কিছু আসে এবং কথাবার্তাও বেশি হয়। নতুন কিছুকে আমরা গ্রহণ করতে ভয় পাই। আমরা মনে করি, আমরা যদি জনগণকে বোঝাতে পারি, আপনারা যদি আমাদেরকে সাহায্য করেন, তবে নিশ্চয়ই আমরা পারবো শিক্ষানীতিকে সম্পূর্ণ জায়গায় নিয়ে যেতে। আমি মুখের কথায় বিশ্বাস করি না বেশি। কি করতে পারবো তা আমি কাজ করে দেখাতে চাই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ফরহাদ হোসেন, প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাফিসা আক্তার প্রমুখ।

;