একজন নতুন উদ্যোক্তার কী কী প্রয়োজন?



সোহেলী জান্নাত,পিএইচডি গবেষক, ইউজিসি
একজন নতুন উদ্যোক্তার কী কী প্রয়োজন?

একজন নতুন উদ্যোক্তার কী কী প্রয়োজন?

  • Font increase
  • Font Decrease

আপনি যদি নতুন করে ব্যবসায় নামতে চান, কিংবা ঢিমেতালে চলতে থাকা পুরাতন ব্যবসাকে নতুন করে ঝালিয়ে নিতে চান তবে কতিপয় দিকে আপনাকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

সঠিক মাত্রার আত্মবিশ্বাস
আত্মবিশ্বাসী মানুষ সফল হয়, এ কথা আমরা সবাই জানি, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস মানুষকে বিভ্রান্ত করে ফেলে, আত্মবিশ্বাস তখন অহংকারের পর্য়ায়ে চলে যায়। আবার দুর্বল আত্মবিশ্বাসী মানুষকে কেউ পছন্দ করে না, ভরসা করে না। বাস্তবতার অভিজ্ঞতায় দেখবেন সংসারে বাবা বা বড় ভাই শ্রেণির মানুষের কথা অনেকসময় ভুল হলেও আমরা হাসিমুখে মেনে নেই! বিপদে আপদে তাদেরই ভরসা করি। কারণ তারা ভুল কথাটাও আত্মবিশ্বাস থেকে বলেন। অনেক পরিবারে মায়েরাও আত্মবিশ্বাসী হয়ে পরিবার মেইনটেইন করেন। ব্যবসা যেহেতু অনেকটা নির্ভর করে পারসোনাল ব্রান্ডিং এর উপর, আপনাকে ভরসা করলে আপনার পন্যও কিনতে পারবে ক্রেতা নির্ভাবনায়। আত্মবিশ্বাসই প্রথম ধাপ যেটা আপনাকে ব্যবসার ক্ষেত্রে পজেটিভ ভাইভ দিবে। একটা গল্প বলি।

আমার এক ছাত্র গেছে করপোরেট অফিসে ভাইভা দিতে। তো, প্রয়োজনীয় একাডেমিক বিষয় জিজ্ঞাসা করার পর একজন নিয়োগকর্তা হুট করেই জিজ্ঞাসা করে বসলেনঃ
আচ্ছা বলেন তো, এই জগৎটা কার বশ?
ছাত্রটি প্রথমে মনে মনে বিভ্রান্ত হল, ভাবলো কার কথা বলি... কার কথা বলি... মহা মুশকিল তো! পরে উত্তর খুঁজে না পেয়ে সময়ক্ষেপণের জন্য যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রশ্নকারীর প্রশ্নটাই রিপিট করলোঃ
জগৎ টা কার বশ!

সঙ্গে সঙ্গে তুমুল হাততালি সবার! পারফেক্ট বলেছেন। আপনাকেই আমাদের করপোরেট অফিসে চাই! আসলেই এ পৃথিবীটা টাকার কাছে বশ! ছাত্র এবার মেলালো...
ও তাইতো! প্রশ্নটাই উত্তর!
জগৎ টা কার বশ?
জগৎ টাকার বশ!

নেতিবাচকতাকে ইতিবাচকতায় পরিণত করা
চলার পথে এমন হরহামেশাই ঘটে, যে আমরা না চাইতেও ভুল করে ফেলি! ভুল মানুষকে বিশ্বাস করি, ভুল জিনিস নির্বাচন করে ফেলি। এরপরে আবার নিজেরাই হতাশায় ভুগে সেই সামান্য করে ফেলা ভুলটুকুকে বাড়িয়ে দীর্ঘ করে ফেলি। থামুন! আপনি মানুষ, যন্ত্র নয়! আপনার আবেগ আছে, মন আছে! ভুল করেছেন বলেই আপনি মানুষ! ভুল করেছেন ভাল কথা। এবার সেই ভুলটাকে কীভাবে সঠিক করা যায় সেটি নিয়ে আপনাকে মাথা খাটাতে হবে, এবং দ্রুত সেই ভুলকে কর্ম দিয়ে বুদ্ধি দিয়ে সাফল্যে পরিবর্তন করতে হবে। এক্ষেত্রেও একটি উদাহরণ দেই। এক সাংবাদিক গেছে গ্রামের এক স্কুলে জেএসসিতে এ প্লাস পাওয়া ছাত্ররা আসলেই মেধাবী কি না, সেটি যাচাই করতে। তার আসল উদ্দেশ্য ছিল এ প্লাস পাওয়া ছাত্রদের হেও করা, ছোট করা। সে কারণে সে ইচ্ছে করেই এমন প্রশ্ন করছে যেন ছাত্ররা ভুল উত্তর করে এবং সে এটা মজা করে তা প্রচার করতে পারে। এরকম করে করে এক ছাত্রকে সে প্রশ্ন করল আচ্ছা বলতো দেশের বর্তমান জনসংখ্যা কত? ছেলেটি জানতো উত্তর ১৬ কোটি। কিন্তু মুখ ফস্কে বেড়িয়ে গেলো.. ৩২ কোটি!
সাংবাদিকতো হেসেই খুন! সে যা চাচ্ছিল তাই হয়েছে। ছাত্রটি ভুল করেছে!

ছাত্রটি বুঝল টিভিতে লাইভ সম্প্রচারে এমন ভুল সত্যি তার স্কুলকে বিপদে ফেলতে পারে! যেটা স্কুলের জন্য, তার নিজের জন্য ভয়ানক নেতিবাচক প্রভাব এনে দেবে! তখন সে দ্রুত বুদ্ধি করে ডেকে বললোঃ

ভাই! দাঁড়ান! আগে শুনবেন না ৩২ কোটি কেন বললাম?
: তুমি জান না তাই বলেছো! সোজা হিসেব!
: হা হা! আসলে ভাই আপনিই সমকালীন তথ্য রাখেন না! আগে হয়তো ছিল ১৬ কোটি। কিন্তু এ বছর থেকে দেখেন সরকার দলীয় নেতারা বলে যাচ্ছেন, "আমাদের সাথে দেশের ১৬ কোটি জনগণ আছে!" আবার বিরোধী দলও বলে যাচ্ছে "আমাদের সাথে দেশের ১৬ কোটি জনগণ আছে!" এখন এই খ্যাতিমানরা নিশ্চয়ই মিথ্যুক নন! এরাই দেশবরেণ্য নেতা, এরাই মন্ত্রী! এদের উভয়ের কথা সত্যি হলে দেশের জনগণ অবশ্যই ৩২ কোটি!

সাংবাদিকের তো আক্কেলগুড়ুম! বাপরে কত মেধাবী এই স্কুলের বাচ্চারা! সহজেই নেতিবাচকতা বদলে ইতিবাচকতায় পরিনত হলো!

সঠিক পণ্য নির্বাচন, সঠিক ইনভেস্টমেন্ট
আপনি একটি ব্যবসায় নামার আগে আপনাকে প্রথম যে দুটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে, সেটি হল আপনার পণ্যের উৎস সহজ এবং আপনার হাতের কাছে এভেইলেবেল কি না সেটা দেখা, এবং সে পন্যের বাজারে চাহিদা কেমন। সহজ কথায় বললে বাজার রেকি করা। পন্যের উৎসের ক্ষেত্রে যদি আপনি অরিজিনাল উৎস থেকে সরাসরি ক্রয় করতে পারেন তবে কম মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন। আপনার কষ্টও কম হবে এক্ষেত্রে। যেমন বাগেরহাটের কথাই বলি। বাগেরহাটের ইউনিক জিনিস, পান সুপরি, চিংড়ি, নারকেল তেল। এবার উদ্যোক্তা যদি এ এলাকার হয় তবে তার উচিৎ হবে পন্য নির্বাচনে এগুলোকে বেশি প্রায়োরিটি দেয়া। এখানে সে সহজেই অরিজিনাল উৎস থেকে কমে জিনিশ কিনে বাজারে কমে দিতে পারবে। যেটা ঢাকা বা অন্যজেলার একজন উদ্যোক্তা পারবে না। কেননা চিংডি বা তেল কিনতে তাকে বাগেরহাটে নিজে আসতে হবে যেটাতে পরিশ্রম অধিক হবে, আর ব্রোকার বা মধ্যস্বত্তভোগীর মাধ্যমে কিনলে দাম বেশি পরবে, ফলে তুলনামূলক কমে বাজারে ছাড়তে পারবে না!। তার ব্যবসায় প্রসার ঘটানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে।

তাই পণ্য চুজের ব্যাপারে এদিকে প্রথম নজর দিতে হবে।

এবার যে পণ্য আপনি কিনবেন বা উৎপাদন করবেন, সেটার মারকেট ভ্যালু আছে কি না যাচাই করা। একটা সত্য ঘটনার উদাহরণ দেব এক্ষেত্রঃ

কিশোরগঞ্জের এক প্রান্তিক চাষী একবার ধান বাদ দিয়ে পাট উৎপাদন করেছিল প্রচুর! সে অনুমান করেছিল বাজারে যেহেতু পাটের খুব চাহিদা, আদমজী জুটমিলের লোক এসে সহজেই তার পাট উচ্চমূল্যে কিনে নেবে। সে স্বপ্ন দেখতে লাগলো পাট বিক্রি করে লাখপতি হবার। অত:পর কঠোর পরিশ্রমে পাট চাষ করে পুরো প্রক্রিয়া শেষে সে যখন বাজারে পাট তুলল, কেউ তার পাট কিনতে এল না! পর পর সাতদিন বাজারে তোলার পরও যখন তার পাট বিক্রি হলো না, তখন সে ভাবলো ঘটনা কী! মিলের লোক কেন আসে না!

এবার সে মিলের অবস্থা যাচাই করতে দু টাকা দিয়ে ট্রেনের টিকেট কেটে নারায়ণগঞ্জ এলো আদমজী জুটমিলে। এসে দেখলো জুট মিল সে বছরের শুরুতেই বন্ধ হয়ে গেছে! পাট কেনাতো দূরের কথা এখানকার শ্রমিকরা হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে দেদারছে নেশাগ্রস্ত হয়ে পরছে!

লোকটি এবার তুমল লসে পরে আর দেনার কথা ভেবে উৎপাদিত পাটে আগুন দিয়ে নিজেই তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ল! সে সময়ের বড় বড় পত্রিকায় সে নিউজ ছাপা হয়েছিলো।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি অধ্যাপক মীজান স্যার এক পলিসি মেকিং সংক্রান্ত সভায় এই ঘটনা তুলে ধরে প্রশ্ন তুলেছিলেন এই চাষীর মৃত্যুর জন্য আসলে কে দায়ী ?

দায়ী মূলত চাষী নিজে! কেননা সে পাট চাষের সিদ্ধান্ত নেবার আগে আদমজী জুট মিলে খোঁজ নেয় নি, পাট বিক্রি হবে কি না! তার দু হাজার টাকা পাটে ইনভেস্ট করার আগে দু টাকা দিয়ে রেলে চেপে নারায়ণগঞ্জ আসা উচিৎ ছিল, পাট চলবে কি না যাচাই করার জন্য! সে যদি আগে এখানে আসতো তবে নিশ্চিতভাবে বুঝে যেত এখানে এখন পাটের প্রয়োজন নেই! হতাশায় ভোগা শ্রমিকদের প্রয়োজন সস্তা নেশাদ্রব্য! ফলে সে ফিরে গিয়ে বরং তামাক বা গাজা পাতা চাষে ইনভেস্ট করতো! এবং সেটি বিক্রয় করে অধিক মুনাফা পেতে পারতো।

আর ইনভেস্টমেন্টের সঠিক পরিমাণ কী হওয়া উচিৎ এ সংক্রান্ত একটি মজার গল্প বলে লেখা শেষ করবো। শিক্ষক ক্লাসে বিটলুকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ

বিটলু বলতো আমাদের দেশের সরকার মেয়েদের শিক্ষায় বেশি ইনভেস্ট করে ছেলেদের জন্য করে না কেন?

বিটলুর বিটকেলে উত্তরঃ স্যার সরকার ভাল করেই জানে, মেয়েরা স্কুলে আসলে ছেলেগুলি এমনিতেই আসবে! অযথা পয়সা খরচ করে লাভ কী!

শিক্ষকঃ তবেরে! ছেচড়া বাদর ছেলে!

হা হা। আপনিই ভাল বুঝবেন আপনি কত টাকা কোন খাতে মার্কেটে ঢাললে সঠিক সময়ে জাল ফেলে তুলে নিতে পারবেন! বিচক্ষণতা এক্ষেত্রে বেশি প্রয়োজন।

পরিশেষে, স্বপ্ন দেখুন। সঠিক পদক্ষেপে সে স্বপ্নের বীজকে ফুলে ফলে সুশোভিত বৃক্ষে পরিণত করুন।
শুভকামনা সবার জন্য।

 লেখক: সোহেলী জান্নাত

 পিএইচডি গবেষক, ইউজিসি ও
 সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ,   জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

চাকরির ক্ষেত্রে সফট স্কিলস



এটিএম মোসলেহ উদ্দিন জাবেদ
চাকরির ক্ষেত্রে সফট স্কিলস

চাকরির ক্ষেত্রে সফট স্কিলস

  • Font increase
  • Font Decrease

চাকরি বা কর্মক্ষেত্রে সকলেই সফল হতে চায়। সফল হতে চায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দূর্লভ। সফলতার পিছনে দুটি বিষয় কাজ করে তা হলো হার্ড স্কিলস ও সফট স্কিলস। প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে হার্ড স্কিল ও সফট স্কিলস কি? আপনি কোথাও চাকরি খুঁজছেন বা ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন বা কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন তখন দুধরনের দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো হচ্ছে হার্ড স্কিলস ও সফট স্কিলস। হার্ড স্কিলস হল আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, কম্পিউটার পরিচালন জ্ঞান, কারিগরী জ্ঞান, পেশাগত দক্ষতা অভিজ্ঞতা ইত্যাদি। যেমন- আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন, তাহলে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডিজাইন করাটা আপনার হার্ড স্কিল। আর সফট স্কিল হলো আপনি কাজটা করতে গিয়ে কতটা সৃজনশীলতার সাথে করতে পেরেছেন, একটি দলে থেকে কিভাবে দলবদ্ধ ভাবে কাজটি করেছেন বা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, আপনার কাজ সম্পর্কে আপনার ক্লাইন্ট বা বসকে কতটুকু সাবলীল ভাবে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন, ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে অনেক প্রতিষ্ঠানই হার্ড স্কিলের চেয়ে সফট স্কিলকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এখন আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সফট স্কিলস সম্পর্কে জানবো।

১. কমিউনিকেশন স্কিল: কমিউনিকেশন স্কিল বা যোগাযোগ দক্ষতার মানে এই নয় যে, জোরালো বক্তব্য দিতে পারতে হবে। কমিউনিকেশন স্কিল বলতে যার সাথে কথা বলা হচ্ছে তার কথা বলার ভঙ্গিমা বা ধরনের সাথে মিলিয়ে নিয়ে কোন কিছু বোঝাতে পারার সক্ষমতাকে বোঝায়। অর্থাৎ যে কোন বিষয় যে কোন ব্যক্তির নিকট সহজে বোঝাতে পারা। এছাড়া নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রেও এই গুনটির প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ইমেইল কমিউনিকেশন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কতটা সুন্দর, সাবলীল ও সহজবোধ্য ভাবে আপনি আপনার ম্যাসেজ ইমেইলের মাধ্যমে সেন্ডারের নিকট পাঠাতে পারবেন তা আপনার দক্ষতার প্রকাশ।

২. লিডারশীপ বা নেতৃত্ব: নেতা এমন ব্যক্তি যিনি কাজ শুরু করেন এবং অধীনস্থদের জন্য নীতি এবং পরিকল্পনা তৈরি করেন এবং তাদেরকে নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা স¦াভাবিক ভাবেই প্রতিষ্ঠানের নতুন লক্ষ্য বা পরিকল্পনা সম্পর্কে জানে না আর এইসব জানানোর কাজটি করেন নেতা। একজন নেতা তার সঠিক নেতৃত্ব গুনাবলী এবং দিক নির্দেশনার মাধ্যমে কর্মীদের লক্ষ্য সম্পর্কে অবগত করবে এবং কাজ শুরু করবে। কর্মীদের উৎসাহ এবং প্রেরণা প্রদান করার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে কাজ আদায় করার দায়িত্বটি কিন্তু একজন সঠিক নেতাই নেন। তিনি নেতৃত্বকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করে কর্মীদের অর্থনৈতিক এবং উৎসাহমূলক পুরষ্কার দিয়ে অনুপ্রাণিত করেন যাতে কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের প্রতি দয়িত্বশীল থাকে।

৩. নেটওয়ার্কিং: বিভিন্ন রকম মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়তে আমাদের যে দক্ষতাটির প্রয়োজন হয় সেটি হলো নেটওয়ার্কিং। নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে যোগ্য, দক্ষ ও সফল মানুষদের সাথে যুক্ত থাকতে পারার সুফল অনেক। চাকরি পাওয়া, পদোন্নতি কিংবা কোন দরকারের সময় সাহায্য পাওয়া নেটওয়ার্কিং সবকিছুকে করে দেয় খুব সহজ।

৪. ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি: যে কোন মানুষের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি একটি বিশেষ গুন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। যা তাকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিতে পারে। জীবনে চলার পথে প্রতিদিনই আমাদেরকে বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মূখীন হতে হয়। কঠিন সময়ে আমাদেরকে সাহস না হারিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়ার ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। প্রথমে আমাদেরকে ঠিক করতে হবে আমরা আসলে কি চাই, কোন পথে আগালে আমরা সফলতা পাবো এবং সে পথ যত কঠিন হোক না কেন ”আমাদেরকে সেটা পারতে হবে” এই মনোভাব তৈরি করা। 

৫. প্রফেশনালিজম: কর্মক্ষেত্রে যে বিষয়টি নিজের গুরুত্ব অনেক বাড়িয়ে দেয় তা হচ্ছে প্রফেশনালিজম বা পেশাদারিত্ব। কারণ, যে কোন দায়িত্ব দিয়ে নির্ভর করা যায় ঐ কর্মীর উপর যার পেশাদারিত্ব রয়েছে। এই নির্ভরতা ঐ ব্যক্তির ক্যারিয়ারে সফলতা নিশ্চিত করে। সময়মত অফিসে উপস্থিত থাকা, যেকোন কাজ সময়মতো করে দেয়া কিংবা সঠিক জায়গায় সঠিক পোষাক পরা, নিজের কোন কাজের ব্যর্থতা থেকে নিজে শিখা অন্যকে দোষারোপ না করা, এই সবই পেশাদারিত্ব বা প্রফেশনালিজমের অন্তর্গত।

৬. টিমওয়ার্ক: দলগত থাকার মানসিকতা বা দলের সবার সাথে মিশে কাজ করার মানসিকতা থাকা বা দক্ষতা থাকা উভয়ই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সবার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, নিজের মতামত ঠিকভাবে দিতে পারা এবং দলনেতার নির্দেশনা অনুসারে কাজ করা, এসবকিছুই কর্মজীবনে সফলতা অর্জনে সাহায্য করে।

৭. এডাপ্টিবিলিটি: যেকোন পরিবেশ পরিস্থিতে নিজেকে মানিয়ে নেয়াই হচ্ছে এডাপ্টিবিলিটি বা অভিযোজন। অনেক ক্ষেত্রে বয়সসীমা পার হয়ে যাওয়ার চাপ কিংবা নানাবিধ প্রতিকূল অবস্থায় কাজ করে যেতে হয় এরকম পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে কাজ করে যাওয়ার সক্ষমতা আপনাকে ব্যতিক্রমী ও যোগ্য করে তুলবে।

৮. সৃজনশীলতা ও চিন্তন দক্ষতা: কঠিন সময়ে যিনি চিন্তা করে সহজ সামাধান বের করতে পারে দিন শেষে তিনিই সফলতা অর্জন করেন। সবসময় অন্যের কথা অনুসরণ না করে নিজেকে চিন্তভাবনা করা উচিত। প্রতিযোগীতাপূর্ণ চাকরির বাজারে যে নিজেকে যতটা বেশি সৃষ্টিশীল হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে কর্মক্ষেত্রে তার সফলতার পরিমাণ তত বৃদ্ধি পাবে অর্থাৎ আপনাকে হতে হবে ক্রিয়েটিভ।

৯. কুইক লারনার বা দ্রুত শিখতে পারার সক্ষমতা: কর্মক্ষেত্র বিস্তৃতির সাথে সাথে কাজের ধরণও পরিবর্তিত হচ্ছে। দ্রুত পরিবর্তনশীল এই কাজগুলো সহজে আয়ত্বে আনতে না পারলে ক্যারিয়ারে সফল হওয়া কোন ভাবেই সম্ভব না। তাই প্রয়োজন দ্রুত শিখে নেয়ার ক্ষমতা। কর্মক্ষেত্রে যত দ্রুত কোন প্রয়োজনীয় বিষয় আয়ত্বে এনে তা প্রয়োগ করা সম্ভব হয় সফলতা তত দ্রুতই হাতে ধরা দেয়।

১০. কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট: কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট বা দ্বন্দ ব্যবস্থাপনা যাই বলি না কেন এটি একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক সময় অফিসিয়াল মিটিংএ দেখা যায় একটি বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে একেকজন একেক রকম মতামত দিচ্ছে। কেননা সব মানুষের চিন্তা, রুচি, দৃষ্টিভঙ্গি একরকম হয় না। তাই সবার যোগ্যতাকে একসাথে ব্যবহার করতেই এই কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি এসেছে। এক্ষেত্রে সকলে মিলে সেক্রিফাইস মূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একটি কমন ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় যেটা প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলজনক। সবার মধ্যে উইন উইন সিচুয়েশন তৈরি করতে হয়।

এটিএম মোসলেহ উদ্দিন জাবেদ, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ ও প্রশাসন), ক্রাউন সিমেন্ট গ্রুপ।

;

ইন্টারভিউ টিপস



এটিএম মোসলেহ উদ্দিন জাবেদ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যে কোন চাকরির ইন্টারভিউ বা সাক্ষাৎকারের সময় চাকরি প্রার্থীদের নিম্নোক্ত আটটি কমন বা সাধারণ প্রশ্নের সম্মূখীন হতে হয়। এই আটটি প্রশ্নের উত্তর যথাযথ বুদ্ধিমত্তার সাথে দিতে পারলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়। এখন দেখি প্রশ্নগুলো কি কি?

১.আপনার নিজের সম্পর্কে বলুন (Tell me/us about yourself)

উত্তর: এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি প্রথমে আপনার নাম, ঠিকানা ও খুব সংক্ষেপে শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে বলবেন। যদি আপনার অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে সেটা বলবেন (যেমন- কোথায় চাকরি করেন, কোন পজিশন বা পোস্টে কাজ করেন, কি কি কাজ করেন অর্থাৎ জব রেসপন্সিবিলিটি)। সর্বশেষ পারিবারিক অবস্থা সম্পর্কে বলবেন খুব সংক্ষেপে (যেমন- বাবা মা ভাই বোন এবং তারা কি করেন)।

২. আপনি কেন আমাদের কোম্পানীতে চাকরি করতে চান? (Why do you want to work in our company)

উত্তর: এই প্রশ্নের উত্তর আপনাকে খুব ইতিবাচক ভাবে দিতে হবে এবং সে প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করতে হবে। আমরা এভাবে বলতে পারি, এটা যে কোন চাকরি প্রার্থীর জন্য গর্বের বিষয় যে আপনার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পাওয়া এবং আমার মনে হয় আমার যোগ্যতা ও দক্ষতা এই চাকরির সঙ্গে ম্যাচ করে। আর আমি যদি আপনার প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পাই তাহলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে আমার সর্বোচ্চ মেধা ও শ্রম দিয়ে কাজ করবো।

৩. আপনার দক্ষতাগুলো কি কি? (What are your skills/strengths)

উত্তর: এই প্রশ্নের উত্তরে আপনার নিজের যে গুণাবলী আছে তা সুন্দর ও ইতিবাচক ভাবে উপস্থাপন করবেন। আপনি এভাবে বলতে পারেন যে, আমার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে আমি যে কোন পরিবেশে নিজেকে খুব দ্রুত ও সহজে মানিয়ে নিতে পারি। আমি সততার সাথে সবসময় কাজকর্ম করি এবং সব কাজে ইতিবাচক থাকি।

৪. আপনার দূর্বলতা গুলো কি কি? (What is your weakness)

উত্তর: এই প্রশ্নের উত্তর আপনাকে কিছুটা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দিতে হবে। এখানে আপনাকে নিজের দূর্বলতা গুলোকে এমন ভাবে উপস্থাপন করতে হবে যেন সেটা আপনার জন্য ইতিবাচক হয়। এখানে আপনি বলতে পারেন যে, আমি সবসময় নিখুত ভাবে কাজ করতে চাই তাই একটু খুতখুতে স্বভাবের এবং আমি সোজসাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করি তাই অনেকে অপছন্দ করে।

৫. আপনাকে কেন আমরা নিয়োগ দিবো? (Why should I/we hire you)

উত্তর: এই প্রশ্নের উত্তরে আপনাকে আপনার গুণাবলী, মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা যা যা রয়েছে তা খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বলতে হবে। পূর্বে যদি আপনার কাজের কোন অভিজ্ঞতা থাকে সেটা বিস্তারিত ভবে উপস্থাপন করবেন।

৬. আমাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপনি কি কি জানেন? (What information you have about our organization)

উত্তর: এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, কেননা আপনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চাচ্ছেন অবশ্যই আগে থেকে সে প্রতিষ্ঠানের প্রোফাইল জেনে যেতে হবে। এতে করে আপনি ইন্টারভিউ বোর্ডকে বোঝাতে সক্ষম হবেন যে আপনি কতটা ইচ্ছুক তাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য। সে প্রতিষ্ঠানের কাজের পরিবেশ, কর্মীগণ, প্রধান কার্যালয়, প্রতিষ্ঠানে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, অর্জন ও অন্যান্য তথ্যাবলী ইন্টারনেট থেকে বা সে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে সহজে পেয়ে যাবেন।

৭. আপনি কেন চাকরি পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন? (Why you looking for a job change)

উত্তর: এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি যে প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কাজ করছেন কখনোই তার বদনাম করবেন না। এখানে আপনি বলতে পারেন আপনি নতুন কোন ভালো সুযোগ খুঁজছেন, নতুন কোন চ্যালেঞ্জ নিতে আগ্রহী, এই প্রতিষ্ঠানকে ভালো কিছু দেয়ার জন্য বা এই প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো কিছু করার লক্ষ্যে এবং এই প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো কিছু শিখার জন্য। নতুন পরিবেশ, নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন কর্মোদ্দম।

৮. আপনি কেমন বেতন আশা করেন? (What is your salary expectation)

উত্তর: এই প্রশ্নের সবচেয়ে ভালো উত্তর হচ্ছে, যদি আপনি ফ্রেশার হন তাহলে কোন বেতন না বলা। আপনি এটা বলতে পারেন যে, প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী যেটা আমার প্রাপ্য তাতেই আমি খুশি। আর যদি আপনি বর্তমানে কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত থাকেন তাহলে বর্তমান চাকরির বেতন ও সুযোগ সুবিধা গুলো বলতে পারেন নতুবা সরাসরি আপনার প্রত্যাশার কথা বলতে পারেন, এক্ষেত্রে ইন্টারভিউ বোর্ডের পরিবেশ ও অবস্থা বুঝে উত্তর দিবেন।

লেখক: এটিএম মোসলেহ উদ্দিন জাবেদ, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ ও প্রশাসন), ক্রাউন সিমেন্ট গ্রুপ

;

৩৮৪ জন অডিটর নিয়োগ, যোগদানে লাগবে ডোপ টেস্ট সনদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
৩৮৪ জন অডিটর নিয়োগ, যোগদানে লাগবে ডোপ টেস্ট সনদ

৩৮৪ জন অডিটর নিয়োগ, যোগদানে লাগবে ডোপ টেস্ট সনদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের (ডিএফডি) অডিটর পদে ৩৮৪ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। যোগদান করতে লাগবে প্রার্থী মাদকাসক্ত কিনা তা পরীক্ষা সংক্রান্ত (ডোপ টেস্ট) সনদ। রবিবার (৩ এপ্রিল) কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স (সিজিডিএফ) কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

জয়েন্ট কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স (জেসিজিডিএফ) ও বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ খাদেমুল বাশার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চূড়ান্ত নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীগণকে আগামী ১৯ এপ্রিল পূর্বাহ্নে পদস্থাপিত কার্যালয়ে যোগদান করতে হবে। নিয়োগপত্র এবং পদস্থাপিত সংক্রান্ত আদেশ শিগগিরই সিজিডিএফ কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে (http://www.cgdf.gov.bd/) প্রকাশ করা হবে।

এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক গঠিত মেডিকেল বোর্ড অথবা ক্ষেত্র বিশেষ তৎকর্তৃক মনোনীত কোনো মেডিকেল অফিসার কর্তৃক প্রার্থী মাদকাসক্ত কিনা তা পরীক্ষা সংক্রান্ত (ডোপ টেস্ট) সনদসহ যোগদান করতে হবে।

এতে আরো বলা হয়, নিয়োগপত্রের সঙ্গে ৯ম গ্রেড বা তদুর্ধ্ব পর্যায়ের গেজেটেড কর্মকর্তার নিকট হতে চারিত্রিক সনদপত্র, সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃক শারীরিক যোগ্যতা সম্পর্কে মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সংশ্লিষ্ট শর্ত অনুযায়ী নাগরিকত্ব, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কোটা সংক্রান্ত (যদি থাকে) সনদপত্রের মূল কপি ও সম্প্রতি তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি প্রদান করতে হবে।

এর আগে ৫ অক্টোবর ২০২১ প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব খাতভুক্ত অডিটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। অনলাইনে আবেদন শুরু হয় ১০ অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০টায় এবং শেষ হয় ৩১ অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫টায়।

এর পর ২১ জানুয়ারি ২০২২ অডিটর পদের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন বেলা তিনটা থেকে বিকেল চারটা ১৫ মিনিট পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২৩ জানুয়ারি এমসিকিউ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।

নিয়োগ পরীক্ষায় অডিটর পদের জন্য প্রায় তিন লাখ প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। এদের মধ্য থেকে এক হাজার ২০৭ জন এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এর পর ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়।

রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচার ১ম ১২ তলা সরকারি অফিস ভবনের চতুর্থ তলায় সিজিডিএফ কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিন সকাল ১০টা ও দুপুর ২টায় রোল নম্বর অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষা চলে ৩০ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত।

অডিটর পদে চূড়ান্ত ফলাফল দেখতে ক্লিক করুন এখানে

;

সমবায় অধিদপ্তরে চাকরির সুযোগ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সমবায় অধিদপ্তরে চাকরির সুযোগ

সমবায় অধিদপ্তরে চাকরির সুযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

সমবায় অধিদপ্তরের আওতাধীন পরিচালন (রাজস্ব) বাজেটভুক্ত শূন্য পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে ৫১১ পদে লোকবল নিয়োগ করা হবে। খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। আগামী ২০ মার্চ ২০২২ থেকে ২১ এপ্রিল ২০২২, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

পদের নাম: পরিদর্শক
পদসংখ্যা: ৩৪
যোগ্যতা: দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)

পদের নাম: মহিলা পরিদর্শক
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)

পদের নাম: প্রশিক্ষক
পদসংখ্যা: ১৬
যোগ্যতা: দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)

পদের নাম: ফিল্ড ইনভেস্টিগেটর
পদসংখ্যা: ১৯
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বা অর্থনীতি বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)

পদের নাম: কম্পিউটর
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বা পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

পদের নাম: সহকারী পরিদর্শক
পদসংখ্যা: ১০৫
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

পদের নাম: মহিলা সহকারী পরিদর্শক
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

পদের নাম: সহকারী প্রশিক্ষক
পদসংখ্যা: ১১
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

পদের নাম: সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ৪৫ ও ইংরেজিতে ৭০ শব্দ হতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

পদের নাম: ড্রাইভার বা ফিল্ম ভ্যান ড্রাইভার
পদসংখ্যা: ৬
যোগ্যতা: অস্টম শ্রেণি পাসসহ হালকা বা ভারী যান চালানোর বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

পদের নাম: তাঁত সুপারভাইজার
পদসংখ্যা: ৫
যোগ্যতা: সরকারি বয়ন স্কুল বা স্বীকৃত টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট থেকে কারিগরি কোর্স পরীক্ষায় পাস হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

পদের নাম: ক্যাশিয়ার
পদসংখ্যা: ৪
যোগ্যতা: স্বীকৃত বোর্ড থেকে বাণিজ্যে এইচএসসি বা সমমান পাস। সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ১০৮
যোগ্যতা: স্বীকৃত বোর্ড থেকে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

পদের নাম: ডেটা এন্ট্রি অপারেটর
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: স্বীকৃত বোর্ড থেকে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দ থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিটিউড টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

পদের নাম: সহকারী ফিল্ম অপারেটর
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: স্বীকৃত বোর্ড থেকে এসএসসি বা সমমান পাস। প্রজেক্টর বা জেনারেটর চালানোর কাজে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বেতন স্কেল: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা (গ্রেড-১৮)

পদের নাম: নৈশপ্রহরী
পদসংখ্যা: ৪
যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস। তবে শারীরিক যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

পদের নাম: অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা: ১৮৯
যোগ্যতা: স্বীকৃত বোর্ড থেকে এসএসসি বা সমমান পাস।
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

আগ্রহী প্রার্থীদের টেলিটকের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন পদ্ধতি, ফি জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ও নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সমবায় অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।

পরীক্ষার ফি বাবদ ১-১৪ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা এবং ১৫-১৭ নম্বর পদের জন্য ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মুঠোফোন নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ফি পরিশোধ করতে হবে।

;