‘দেশ যদি ডুবেই যায় তবে কার জন্য পলিটিক্স?’



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি এবং নিটল মোটরসের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেছেন, অর্থনীতি একটি দেশের মূল চালিকাশক্তি, তাই অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হওয়া উচিত। অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকাণ্ডকে রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে অবশ্যই রাখবে হবে।


রাজনীতিবিদদের কাছে প্রশ্ন রেখে এই শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা বলেছেন, দেশ যদি ডুবেই যায় তবে কার জন্য পলিটিক্স?

দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর পড়া নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বুধবার বার্তা২৪.কম-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন আবদুল মাতলুব আহমাদ। কথা বলেছেন পরিকল্পনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম

বার্তা২৪.কম: ৮ বছর পর দেশের আবারও সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু হলো। এক দিন হরতালের পর টানা ৩ দিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিন চলছে আজ। ব্যবসা-বাণিজ্যে কি ধরণের প্রভাব ফেলছে এসব কর্মসূচি

আবুল মাতলুব আহমেদ: আমরা ব্যবসায়ী কমিউনিটি থেকে ইতিমধ্যেই বলা শুরু করেছি, বিগত দিনেও বলেছি আবারও খুব দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি-এই যে হরতাল কিংবা অবরোধ, যা জনগণের মুখের হাসি কেড়ে নেওয়ার কর্মসূচি এগুলো ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক ক্ষতি করে। হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসান হয় এক দিনেই। এটা আমরা গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দিলেও তারা অনেক খুশি হতো। সে জন্য আমরা সব সময়ই প্রত্যাশা করি, রাজনীতি চলবে, সারা বিশ্বেই চলে কিন্তু জনগণের মুখের হাসি হচ্ছে রাজনীতির আলটিমেইট এইম, তাদের হাসিই যদি আপনি নিয়ে যান, তাইলে আপনি কার জন্য আন্দোলন করছেন? এজন্য জাপানের মতো দেশে, ওরা যখন হরতাল করে তখন তারা ওভার প্রোডাকশন করে। কোনো ফ্যাক্টরি থামায় না। সাপ্লাই চেইনকে ডিস্টার্ব করে না। আমাদের এখানে আনফর্চুনেটলি আমরা পাবলিকের জিনিস নষ্ট করে ফেলি। রাষ্ট্রের জিনিস নষ্ট করে ফেলি। এবং আমাদের ইকনমিকে আমরা চলতে দিই না। বাংলাদেশের মতো একটি দেশের ইকনমনি যদি..গ্রোয়িং দেশ যদি ইকনমিক্যাললি থামিয়ে দেন, হাতির মতো… যা উঠতে বসতে টাইম লাগে। অর্থনীতিকে থামিয়ে দিয়ে আবার আগের মতো সচল হতে অনেক সময় লেগে যায়। এই লসটা কোন দিন পূরণ হয় না। এজন্য আমি সব সময় বলি পলিটিক্সে …নিজেদের মধ্যে কর্মসূচি হবে, আলাপ-আলোচনা হবে, ধাক্কাধাক্কি হবে…এগুলো হবে, সারা দুনিয়াতেই হয়। কিন্তু ইকনমিকে ডেস্ট্রয় করে এখনকার দুনিয়াতে আর করে না। বাংলাদেশেও এটা হওয়া উচিত না।

বার্তা২৪.কম: আমাদের রাজনীতিবিদরা কি সময়ে এই চাওয়া বা জনআকাঙ্খার সঙ্গে নিজেদের খাপ-খাওয়াতে পারছেন না? আপনার কি মনে হয়

আবুল মাতলুব আহমেদ: আমরা তো খুব খুশি ছিলাম, আন্দোলন হচ্ছে কিন্তু কোন ভাঙ্গাভাঙ্গি নাই, হরতাল নাই, বেশ কয়েকটা মাস দেখলাম। শঙ্কা ছিল যে এ ধারাটি হয়তো অব্যাহত রাখতে পারবে না। দুঃখজনকভাবে তাই ঘটলো। আমি খুব খুশি হতাম যদি ধরে রাখতে পারতো। এবং তারা তাদের যে ডিমান্ডস নিয়ে কথা বলছিলেন…সেগুলো আলাপ আলোচনার মাধ্যমে হোক, কিংবা থার্ড পার্টি ডিসকাশনের মাধ্যমে হোক, সেটা করা উচিত ছিল। কিন্তু ইকনমিকে জিম্মি করে বিশেষ করে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাসের যুদ্ধ; এই দুনিয়াতে যে সমস্যা, এর মধ্যে আমাদের দেশটা, আমরার কোন মতে বেঁচে ছিলাম, ইকনমিটা কোন রকমে বেঁচে ছিল। রিজার্ভ ক্রাইসিস, ডলার ক্রাইসিস…এর মধ্যে আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ নেবার মতো ক্ষমতা বাংলাদেশের ইকনমিতে এখন নেই। আমরা যারা ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প করি , আমরা বেশ আতঙ্কিত।

বার্তা২৪.কম: আপনি কি মনে করেন এটি রাজনীতিবিদদের দায়িত্বহীন আচরণ?

আবুল মাতলুব আহমেদ: আমি বলব যে, আন্দোলনের বাইরে ওনাদের সমাধান খোঁজা উচিত ছিল। যাঁরা দায়িত্বশীল, তাদের সমাধান আনা উচিত ছিল, আমাদের প্রত্যাশা ছিল, অন্ততঃ এই বারে এরকম সহিংস আন্দোলন ছাড়াই তারা একটি সমাধানে আসবেন। আমি এখনো আশা করি, এটি আর বিস্তৃত না হয়ে রাজনীতিবিদরা একটি বোঝাপড়ায় পৌছাবেন। তারা চিন্তা করবেন যে আমরা দেশকে বাঁচাব। দেশকে এগিয়ে নেব এবং দেশের জনগণের যে গ্রোথ ছিল, যে হাসি ছিল, সেটা ফেরত নিয়ে আসব। 

বার্তা২৪.কম: চলমান এই অবরোধ বা সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে কি ধরণের প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন?

আবুল মাতলুব আহমেদ: আমদানিতে আমাদের ডলার ক্রাইসিস চলছে দেড় থেকে পৌনে দু’বছর। ক্রাইসিস অলরেডি আমাদের আছে। এখন আমরা কিছু ইনভেস্টমেন্ট বিদেশ থেকে পাচ্ছিলাম। এই পরিস্থিতিতে ওরা (বিনিয়োগকারীরা) একটু ঘাবড়ে যেতে পারে, অর্থছাড় বিলম্ব করে দিতে পারে। আমাদের ডলার ইনফ্লোটা ডিলে করলেও আমাদের জন্য ক্ষতি। এই জন্য আমি মনে করি যে, ইনভেস্টমেন্ট স্লো ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা যারা শিল্প করি, তাদের আমদানি পণ্য আসতে পারবে না। কাঁচামাল আসতে পারবে না। উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। জনগণের জন্য আমরা যে মালামাল বানাচ্ছিলাম এমন চলতে থাকলে তো আমরা তা তৈরি করতে পারব না। তখন জিনিসের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। বটম লাইন এটাই হচ্ছে যে, এমপ্লয়মেন্ট ইফেক্ট করবে এবং জনগণের যে পণ্য চাহিদা আমরা তা আনতে পারব না, দেশেও উৎপাদন করতে পারব না। জনগণের যে প্রত্যাশা রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের প্রতি এটি আমরা কেউই পূরণ করতে পারব না। আমরা তো দাঁড়িয়ে আছে ফুলফিল করার জন্য। কিন্তু রাজনীতিবিদদের অবশ্যই এক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে।

বার্তা২৪.কম:  আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখেছি, ব্যবসায়ী নেতারা রাজনীতিকে ডমিনেট করেন, এবারের এই সংকটে কি আপনারা রাজনীতিবিদদের সহিংস কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার জন্য কোন ভূমিকা নিতে পারেন?

 আবুল মাতলুব আহমেদ: মনে রাখতে হবে যে  পলিটিক্সের আগে হচ্ছে দেশ। এবং আমি যেটি মনে করি, পলিটিশিয়ান, বিজনেস পিপল-যারাই আছেন তাদের এখন দেশের জন্য সেক্রিফাইসের সময় এসেছে। জিনিস ক্রাইসিস আছে, ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াবেন না। চেষ্টা করতে হবে আগের দামেই দেওয়ার জন্য। দাম কিছুতেই বাড়ানো যাবে না। সরকারের উচিত হবে, যেমন কোভিডের সময় ট্রাক চালু রেখেছিলেন, সব পার্টি মিলে অন্ততঃ ইকনমিক লাইফ লাইন যেমন ট্রাকসহ পণ্য পরিবহণের যানসমূহ, এগুলোকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির বাইরে রাখতে হবে। যেমন আমদানি পণ্য আনতে হবে। রপ্তানি পণ্য পাঠাতে হবে। এগুলো পলিটিক্যাল ইভেন্টস এর বাইরে রাখতে হবে। দেশের জন্য সর্বাগ্রে চিন্তা করতে হবে। দেশ যদি ডুবেই যায় তবে কার জন্য পলিটিক্স?

বার্তা২৪.কম:  আপনারা কি রাজনীতিবিদদের এটি বোঝাবার জন্য কোন দায়িত্ব নেবেন, যাতে তারা সহিংস কর্মসূচি থেকে বিরত হয়?

আবুল মাতলুব আহমেদ: বিগত দিনে আমরা এ রকম প্রচেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ইফেক্টিভনেস আমরা পাইনি। সেজন্য আমরা চাই যে, পলিটিশিয়ানরা আমাদের বলুক, দ্য উইল ওয়ান্ট থার্ড পার্টি টু মেডিয়েট। ওনারা যদি মেডিয়েশন না চান তাহলে কিন্তু মেডিয়েটররা কোন রুল পান না। যখন দু’পক্ষই বলবে আমরা একটি থার্ড পার্টি রুল চাই, যারা আমাদের মধ্যে একটি সমাধান আনবে। এটি দেশে-বিদেশে মিলেও হতে পারে বা শুধুমাত্র দেশেও হতে পারে, ব্যবসায়ী কমিউনিটি থেকেও হতে পারে। এটা নির্ভর করবে রাজনীতিবিদদের ওপর। তারা যতোক্ষণ পর্যন্ত সমমনা হচ্ছেন না, বলছেন না যে আমরা সমাধান চাই-ততোক্ষণ পর্যন্ত যে যতো কথাই বলেন না কেন , দু’জনের যে কোন একজন যদি বেঁকে বসেন তাহলে কিন্তু আর মেডিয়েশন হয় না। আমি প্রত্যাশা করব, অচিরেই আমরা হয়তো আলোচনার ইঙ্গিত দেখতে পাব। ৪ তারিখে যেমন ইলেকশন কমিশন সব পার্টিকে ডেকেছেন। হয়তো এমনও হতে পারে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হয়তো সবাইকে ডাকবেন ইনক্লুডিং বিএনপি। এটা উনার ওপর নির্ভরশীল অনেক বেশি। আর আমরা যারা আছি, আমরা যখন দেখব যে মেডিয়েশন করলে আমাদের কথা তারা কানে দেবেন, ব্লাইন্ড থাকবেন না, শোনার জন্য বা বলার জন্য রেডি থাকেবেন তখন আমরা চেষ্টা করতে পারি নয়তো কি করে এগুবো। এজন্য পলিটিশিয়ানদের জানান দিতে হবে, ‘উই আর রেডি ফর অ্যা মেডিয়েশন ফর দিজ টেল মিট’…টেল মিট মেডিয়েশন করতেই হবে।

বার্তা২৪.কম:  আপনি যে ইতিবাচকভাবে বললেন তা যদি হতো তবে তো ভালোই হতো রাজনীতির জন্য

আবুল মাতলুব আহমেদ: অবশ্যই হবে..ডোন্ট বি ডিজহার্টেনড..সবই হবে। পলিটিক্স তো, একটু প্রেশারে খেলা হয়। এখন কার প্রেশার কতোটুকু যাবে….কার প্রেশারে কতটুকু গিয়ে কোথায় আউট ব্রাশ্ড হয়ে একটি সল্যুশনে আসবে …বিগত দিনে আমরা বহু দেখেছি ৫০ বছরে। আলটিমেটলি একটি সল্যুশনে আসবে আর যদি সল্যুশনে না আসে তবে দেশের ক্ষতি হবে, জনগণের ক্ষতি হবে। এবং যার জন্য পলিটিক্স সেই টার্গেট থেকে আমরা ছিটকে পড়ে যাব।

বার্তা২৪.কম: এবারের নির্বাচনকে ঘিরে পশ্চিমা দেশগুলোর একটি প্রেশার রয়েছে। রাজনীতিবিদদের একটি চাপের মধ্যে রাখতে চেষ্টা করছে তারা। দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থার সমাধান যদি না হয় তাহলে পশ্চিমানির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যের যে খাতগুলো রয়েছে, সেগুলো কি ধরণের সংকটের মধ্যে পড়তে পারে বলে আপনার মনে হয়?

আবুল মাতলুব আহমেদ: সব দেশের সঙ্গেই আমোদের যে সম্পর্ক, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতি, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এটা কিন্তু আমাদের পলিসির মধ্যে আছে। পলিটিশিয়ানরাও সেটা জানেন। আজকে আমাদের এখানে ডেভেলপমেন্টটা হচ্ছে ‘বিকজ অব আওয়ার রিলেশনশিপ উইথ দ্য ফরেন ন্যাশনস্’। আমাদের কিন্তু প্রাকটিক্যালি কোন সমস্যা নাই। এখন যদি আমরা জোর করে শত্রু বানাই তাইলে নিশ্চিতভাবেই যারা শত্রু বানাবে তারা দেশের জন্য কাজ করছেন না। দেশের খারাপের জন্যই তারা কাজ করছেন..। আমি এটা বলব, এখনও আমাদের এক্সপোর্ট যেসব দেশের ওপর নির্ভরশীল সেসব দেশকে কিন্তু আমরা সার্ভিস দিচ্ছি। আমরা কিন্তু কম দামে জিনিস দিচ্ছি। তারাও উপকৃত হচ্ছে, শুধু আমরাই উপকৃত হচ্ছি তা নয়। তারাও যদি বলেন, না আমরা কম দামে কিনব না, ডাবল দামে কিনব অন্য জায়গা থেকে নেব, সেটাও তাদের জন্য ডিফিকাল্ট। তাদের যারা জনগণ আছেন তারাও কিন্তু কম পয়সায় ভালো জিনিস চায়। দ্যট ক্যান বি ডেলিভার্ড অনলি ফর বাংলাদেশ। ওইদিকে আমাদের একটা বড় এডভান্টেজ আছে। যে তারা যদি বিগ কার্টেল না করে, যদি বলে বাংলাদেশ থেকে আমদানি বন্ধ..আজই আফ্রিকার ৪টি দেশের সঙ্গে ব্যবসাই বন্ধ করে দিয়েছে…নো বিজনেস। ওরকম যদি বাংলাদেশের সঙ্গে করে তবে নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের ক্ষতি হবে। কিন্তু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেছেন যে, ‘লুক ফর নিউ মার্কেট অ্যান্ড নিউ প্রোডাক্টস’। তবে এটি এক কথায় বলা যাবে, অবশ্যই প্রভাব পড়বে। সেজন্য আমাদের উচিত, সবার সঙ্গে মিলমিশ করে একটি সিদ্ধান্তে পৌছানো। মনে রাখতে হবে, আমি আর আপনি যদি না মিলি তবে বিদেশিরা হাজার চেষ্টা করলেও মিলবে না। তখন ভিন্ন এঙ্গেলে যাবে, দেশটা ভোগান্তিতে পড়বে।

আরও পড়ুন: ‘দেশ যদি ডুবেই যায় তবে কার জন্য পলিটিক্স?’

   

অর্থনীতিকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে যা চান ব্যবসায়ীরা, জানালেন আমিন হেলালী



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে, ২০২৪) পৌনে ৩ ঘণ্টার বৈঠক করেছেন ১৫ সদস্যের ব্যবসায়ী নেতারা। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে অর্থনীতির অস্থিরতা-সহ নানা প্রসঙ্গে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের কথা জানিয়েছেন। ব্যবসায়ী নেতারা বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতির অস্থিরতা কাটিয়ে একে ভারসাম্যপূর্ণ করতে তাদের পর্যবেক্ষণ ও দাবি তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে। দীর্ঘ সময় ধরে ডেপুটি গভর্নর ও নির্বাহী পরিচালকদের নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ব্যবসায়ী নেতাদের কথা শুনেছেন এবং সেইসব বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেছেন।

বৈঠকের সামগ্রিক বিষয়াবলী নিয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে বিস্তৃত আলাপচারিতায় এফবিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দশদিশা গ্রুপের চেয়ারম্যান আমিন হেলালী জানিয়েছেন, চলমান অস্থিরতায় অর্থনীতিকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তুলে ধরা প্রত্যাশার কথা। কথা বলেছেন পরিকল্পনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।

আমিন হেলালী: দেশের ব্যবসায়ীদের প্রত্যেকটা সেক্টরের এসোসিয়েশন লিডারদের নিয়ে ১৫ সদস্যের টিম গত ১৬ মে (২০২৪) বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের সঙ্গে আমরা এফবিসিসিআই এর পক্ষ থেকে দেখা করেছি। সেখানে আলোচনায় যে বিষয়গুলো ছিল..সবচাইতে বড় কথা হল, তিনি সকল ডেপুটি গভর্নর ও নির্বাহী পরিচালকদের নিয়ে আমাদের সঙ্গে বসেছেন। সেখানে তিনি আমাদের পৌনে ৩ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। আমাদের প্রত্যেকটি কথা তিনি শুনেছেন। প্রথমতঃ, এটি হচ্ছে একটি ইতিবাচক দিক। প্রতিটি সমস্যাই তিনি এড্রেস করেছেন। সমস্যাগুলো নিয়ে তিনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন, নেবেন-বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

বার্তা২৪.কম: আলোচনায় কোন বিষয়গুলো প্রধান্য পেয়েছিল...

আমিন হেলালী: যেমন ধরুন-সুদের হার নিয়ে আমরা উনাকে বলেছি, অর্থনৈতিক এই অবস্থার মধ্যে যে আপনারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) স্মার্ট ফর্মুলা বাতিল করে সুদের হারকে বাজারভিত্তিক করে দিলেন, এখন কি অবস্থা হবে? আমরা তো ব্যবসায়িক প্ল্যান করতে পারব না। লাগামহীন হয়ে যাবে। গভর্নর বললেন যে, ‘না, তা হবে না। আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা বাবদ ৭-৯ পার্সেন্ট খরচ আছে।’

গভর্নর ধারণা করছেন সুদের এই কম্পিটিশনের মাধ্যমে ১২ পার্সেন্ট এর বেশি বাড়বে না। যদিও বাড়ে বা কেউ যদি বাড়াতে চায় মার্কেটে তাহলেও ১৪ পার্সেন্টের বেশি কেউ বাড়াতে পারবে না। এটা উনি আশ^াস দিয়েছেন। কিন্তু কেউ এটাকে ১২ পার্সেন্টও করতে পারবে, ৯ পার্সেন্টও করতে পারবে-যার যার কস্টিং অনুসারে তারা সুদ হার নির্ধারণ করতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক এখানে আশ^স্ত করেছে এটাই যে, যতই বাড়–ক ১৪ এর উপরে যাবে না। অন্যদিকে ডলার রেট ১১৭ টাকা নিয়ে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, ইফ দেয়ার ইজ এনি আন্ডারহ্যান্ড ডিলিংস...সঙ্গে সঙ্গে উনাকে (গভর্নর) কমপ্লেইন করতে বলেছেন, তিনি সরাসরি অ্যাকশনে যাবেন।

বার্তা২৪.কম: এসএমই’র ১% সার্ভিস চার্জ রহিতকরণ ও একক গ্রাহক ঋণসীমা নিয়ে কি আলোচনা হয়েছে...

আমিন হেলালী: এসএমই’র ক্ষেত্রে সব ব্যাংকগুলো ১% সার্ভিস চার্জ কেটে নিয়ে যাচ্ছিল প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে-এনিয়ে অনেক ধরে আমরাও কথা বলে আসছিলাম, অস্পষ্টতা কাটছিল না। তবে এই মিটিংয়ে তিনি আমাদের স্পষ্ট করলেন, এমএমই’তে ১ পার্সেন্ট যে সার্ভিস চার্জ কেটে নেয় এখন থেকে আর কাটতে পারবে না। এটা অলরেডি রহিত করেছে। একক গ্রাহক ঋণসীমা যেটি ১৫% ছিল, আমাদের দাবি ছিল ৩০% করে দেওয়ার জন্য। সেই জায়গায় তিনি বলেছেন, ‘৩০ পার্সেন্ট না, ২৫ পার্সেন্ট করতে পারব। এর বেশি করা যাবে না, কারণ তাহলে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হয়ে যাবে।’ কমপ্লায়েন্সে থাকতে হলে ২৫% ম্যাক্সিমাম, সেটা তিনি শিগগিরই প্রজ্ঞাপন দিয়ে দেবেন।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে ডলার ডিভ্যেলুর কারণে যেসব বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে, সেখানে রেগুলেশনের মাধ্যমে যার যত ক্ষতি হয়েছে-কারও হয়ত ১০ কোটি টাকা হল, কারও ৫ লাখ টাকা বা কারও ৫০০ কোটি টাকা হল..ডলার যখন ৮৫ টাকা ছিল সেটা ১১০ টাকা করার পরও যখন লস হওয়া শুরু হল, তখন পেমেন্ট দিতে হয়েছে বেশি-ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে যা লস হয়েছে তা আলাদা ভাবে দীর্ঘমেয়াদী পেমেন্টের ব্যবস্থা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে গভর্নর আশ^স্ত করেছেন। কিস্তির ক্ষেত্রে ৬ মাসের যে বিষয়টি ছিল তা ৩ মাস করেছে, আমরা সেটিকে আবারও ৬ মাস মেয়াদী করতে বলেছি। গভর্নর বলেছেন, আন্তর্জাতিক যে কমপ্লায়েন্স আছে তাতে স্ট্যান্ডার্ড ৩ মাসের বেশি করা যায় না। আমরা জানিয়েছি, এতে আমাদের সমস্যা হয়ে যাবে, ঋণখেলাপি বেড়ে যাবে। তিনি এ বিষয়ে বলেছে, নতুন কি কৌশল করে এই অসুবিধা নিরসন করা যায় তা তিনি দেখবেন।

বার্তা২৪.কম: এসএমই’তে কমপ্লায়েন্স সুবিধা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কি বলছে?

আমিন হেলালী: বর্তমানে সবার জন্য ব্যাংকিং যে পলিসি এসএমই’র জন্যও তাই। কিন্তু এসএমই’র স্টেকহোল্ডার যাঁরা তারা তো কর্পোরেটদের মত কমপ্লায়েন্স এর সুবিধা নিতে পারছে না। তাদের দিকে কেউ তাকাচ্ছে না। বিষয়টিও তিনি (গভর্নর) সিরায়াসলি দেখবেন বলেছেন, কিভাবে এসএমই-দের জন্য আলাদা ব্যাংকিং সুবিধা বা কমপ্লায়েন্সের টার্মসঅ্যান্ডকন্ডিশন তৈরি করা যায়। তিনি জানালেন, এসএমই’র জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ২৫ হাজার কোটি টাকা আছে। কিন্তু আমরা বলেছি, এই ২৫ হাজার কোটি টাকা থাকলে কি হবে-২৫ টাকাও তো এসএমই ভোগ করতে পারবে না-যে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন আছে তার কারণে প্রকৃত স্টেকহোল্ডারা তা পারবে না। বড়রাই এসএমই সেজে একাই এগুলো ভোগ করে ফেলবে। গভর্নর আমাদের কথা বিবেচনায় নিয়েছেন এবং বলেছেন, উনি বিষয়টি দেখবেন, কি কৌশল নিয়ে এসএমই-কে বিকশিত করা যায় স্মল এবং স্টার্টআপ-দেরকে নিয়ে।

বার্তা২৪.কম: গভর্নর ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই দীর্ঘ আলোচনায় আপনারা কতটা আশ^স্ত হতে পেরেছেন?

আমিন হেলালী: প্রতিটি বিষয়ে তিনি (গভর্নর) আমাদের কথা শুনেছেন এবং কথা বলেছেন, আমি মনে করি এটি পজেটিভ দিক। উনি আরও একটি কথা মেনশন করেছেন, ‘দেখুন, বেসরকারি খাত যদি না টিকে থাকে, তাহলে আমাদের কাজটা কি? আপনাদের যদি সঠিক গ্রোথ হয়-তাহলে সরকারের ট্যাক্স বাড়বে। ট্যাক্স বাড়লে উন্নয়ন বাড়বে, আমরা যারা চাকুরি করি আমাদের বেতন বাড়বে। এগুলো মাথায় রেখেই আমরা চেষ্টা করছি’-এগুলো বলেছেন।

আমরা মনেকরি, সরকারি লোক যারা আছেন তারাই কিন্তু পলিসি ড্রাফট করেন। বেসরকারি খাতের সঙ্গে কথা বলে যদি পলিসি হয়; তাহলে তা ওয়ার্কেবল হয়। আমি মনে করি এগুলো পজেটিভ দিক। আমরা আমাদের সমস্যা নিয়ে বার বারই মিটিং করতে পারব। সমাধান উভয় পক্ষ মিলে কিভাবে করা যায় সেই রাস্তাও বের করা যাবে।

বার্তা২৪.কম: আইএমএফ এর পরামর্শেই বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের মূল্য একলাফে ৭টাকা বাড়াতে বাধ্য হয়েছে শেষ মুহূর্তে এসে, এই দাবি করছেন অর্থনীতিবিদরা। প্রশ্ন হচ্ছে, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির ফলে আমদানি-রফতানিতে প্রভাব কতখানি পড়ছে?

আমিন হেলালী: কথাটা ফেলে দেওয়ার মত নয়। আমরা যেহেতু নি¤œ আয় থেকে উত্তীর্ণ হয়ে এখন মধ্যমআয়ে গ্রেজুয়েশন নেব; একারণে আমাদের ওপর অনেক কমপ্লায়েন্স ভর করছে। এটা ভয় পেলে হবে না। নিয়মের মধ্যে চললে কিন্তু সব সময় লাভবান হওয়া যায়। যদি নিয়মকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হয়। বাংলাদেশের প্রধান সম্পদই হচ্ছে মানবসম্পদ। আমরা নিয়ম যদি পালন করতে পারি, আমাদেরকে কেউ পিছে ফেলতে পারবে না। আমাদের কাছে আসতেই হবে। পৃথিবীর সর্বত্রই মানবসম্পদের সংকট, তাদের কাজের লোক নেই। আমাদের কাজের লোক আছে। নিয়ম আমাদের পালন করতেই হবে, আমি নিজেও তা এডমিট করি।

বার্তা২৪.কম: অর্থনীতিকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে বড় সংকটটি কোন জায়গাতে বলে মনে করেন?

আমিন হেলালী: আমরা এফবিসিসিআই এর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি, আমাদের এসোসিয়েশন-চেম্বারকে কমপ্লায়েন্স করতে। হ-য-ব-র-ল ভাবে অর্থনীতি এই জায়গায় আসছে। অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে। আমাদের যে রেভিনিউ, এনবিআর এর যে রেভিনিউ কালেকশন-তাদের টার্গেটই ৭ %। বাস্তবায়ন কতটুকু হবে কে জানে? আমরা এতবড় একটা অর্থনীতির দেশ। স্ট্যান্ডার্ড হল মিনিমাম ২২-২৩%। নেপালের মত দেশে ১৪-১৫%। এটা কার ব্যর্থতা? আমি মনে করি সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা, এনবিআর এর ব্যর্থতা এটা। ২০০৯ সালে ৯০ বিলিয়নের অর্থনীতি ছিল, তখন তাদের যে পরিকল্পনা ছিল, তারা (এনবিআর) এখনও সেখানেই আছে। বর্তমানে অর্থনীতির আকার হয়েছে ৪৭০ বিলিয়ন। এনবিআর সেই জায়গায় তাদের জাল বিস্তার করতে পারেনি। সেই জায়গাগুলো আয়ত্বে আনতে পারেনি কারণ হয়ত তারা রেভিনিউ কালেকশনের চাপে থাকে। যারা রেভিনিউ দেয় তারা খোঁজে খোঁজে তাদের কাছেই যায়। বর্তমানে আয়কর সাবমিট করেছে মাত্র ৩৭ লাখ। এর মধ্যে ২১ লক্ষ সরকারকে কর দিয়েছে।

বার্তা২৪.কম: এনবিআর এর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের হয়রানির অভিযোগ আবারও প্রকাশ্যে এল। সম্প্রতি বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ব্যবসায়ী নেতারা এর প্রতিকারও দাবি করেছেন। গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি এসেছে কি?

আমিন হেলালী: গভর্নর এবিষয়ে বলেছেন, আপনারা যারা কাঁচামাল আমদানিকারকদের জন্য ডলারের কোন কমতি পড়বে না। আমরা গভর্নরকে সুনির্দিষ্টভাবে বলেছি, যারা প্রতারণা করে টাকা নিয়ে গেছেন ব্যাংক থেকে এবং বিদেশে টাকা পাচার করেছেন, আপনি তাদের চিহ্নিত করুন। আমরা আপনাকে সহযোগিতা করব। আপনার কোন অসুবিধা হবে না। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।

তিনি বলেছেন, ‘আমার কাছে স্পষ্ট নির্দেশনা আছে সরকার প্রধানের। আমি কারও চোখ রাঙানি দেখতে পারব না। কারোর যদি এ সংক্রান্ত কিছু ধরা পড়ে, ছাড় দিব না। তিনি বলেছেন, টুকটাক এদিক-সেদিক হবেই, মেজর যে ঘাপলা ছিল তা পুরোপুরি স্টপ আছে। মানি লন্ডারিংয়ের যে কয়েকটি ঘটনা, ওভার ইনভেস্টমেন্ট...যে জিনিসের দাম ১০০ ডলার, তার অনুকূলে ৩০০ ডলার এলসি করে; ২০০ ডলার পাচার ঘটনাও অনেক হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের চিহ্নিত করেছে বলে জানানো হয়েছে। ওই জায়গাগুলো যেন আর ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি না হয়, অতীতে যা হয়েছে তা আছে নথিভূক্ত কিন্তু ভবিষ্যতে আর হবে না, একথা বলেছেন গভর্নর।। আমাকে উনাকে বলেছি, এগুলো লিস্ট করেন এবং আমাদেরকেও দেন। আমি রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন স্তরেও এসব কথাগুলি বলি, কারণ আমাদের অধিকার আছে, কেননা আমরা সঠিকভাবে ব্যবসা করতে চাই। দোষ নিতে চাই না।

বার্তা২৪.কম: এনবিআর এর হয়রানিতে রফতানিখাত বাধাগ্রস্ত হয় এই অভিযোগ রয়েছে...

আমিন হেলালী: পূর্বেও উল্লেখ করেছি, ৯০ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতির যে কাঠামামো ছিল, যে প্ল্যান ছিল- তা দিয়ে ৪৭০ বিলিয়নের অর্থনীতিকে কন্ট্রোল করতে চাইলে হবে? আপনার সক্ষমতা আছে ১০০ টাকা ডিল করার, কিন্তু যদি আপনার হাতে হাজার টাকা আসে তা কিভাবে আপনি ডিল করবেন? সেটা ব্যবস্থাপনা করতে আপনাকে নিশ্চয়ই সিস্টেম করতে হবে। আমি মনে করি বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৪৭০ বিলিয়ন ডলার নয়; যেহেতু আমি ফেডারেশনে সব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওঠাবসা করি তারই প্রেক্ষিতে বলছি, আমাদের ইনফর্মাল যে অর্থনীতি যা রাষ্ট্রীয় হিসাব নিকাশের মধ্যে আসছে না। ঘুষ-দুর্নীতি বা অন্যান্য ইস্যু, রোজার সময় আমরা যে জাকাত দিই-এসব কোন রাষ্ট্রীয় হিসাবে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে না। আমি মনেকরি, আমাদের অর্থনীতির যে বহুবিধ মাত্রা আছে, অর্থনীতিবিদদের থিওরি সেখানে কাজে লাগছে না। তারা এসব বিষয় বিবেচনায় আনছেন না। এগুলোকে যদি মেইনস্ট্রিম করতে পারি, তাহলে আমাদের বাজেট আট লক্ষ কোটি কেন হবে; আমি মনে করি ১৬ লক্ষ কোটি হবে। রেভিনিউ ইনকাম যদি ৩ লক্ষ কোটি থেকে বাড়িয়ে আট লক্ষ কোটি হয়-তাহলে অনায়াসেই ১৫ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট করতেই পারি। এনবিআর কঠোর হচ্ছে শুধু যারা দৃশ্যমান ব্যবসার মধ্যে আছে তাদেরকে প্রতি। নতুন যারা আসছে তারা আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। কেউ নতুন একটা ব্যবসা খুলবে, নতুন কোন স্টার্টআপ আসবে-তখন তারা (এনবিআর) যেসব নিয়ম-কানুনের ফর্দ লাগিয়ে দিচ্ছেন-সেই ভয়ে এখন আর কেউ বিনিয়োগে যাচ্ছে না। এনবিআর’কে সৃজনশীল চিন্তাভাবনায় আসতে হবে। যেটা হয়ে গেছে তাকে কিভাবে সারফেইসে আনবে সেটা চেষ্টা করুক, ডিস্টার্ব না করুক। সবাই ইনকাম ট্যাক্সটা দিতে চায়। কেউ হয়ত ৭ বছর ধরে কাজ করে, সেও চাইবে ট্যাক্স দিয়ে স্বচ্ছ হয়ে যেতে। কিন্তু যখনই কেউ দিতে যাবে, তখন হয়ত সংশ্লিষ্ট কেউ বলবে-‘আপনার বিগত দিনের সবকিছু অডিট হবে। সব ফেরত দিতে হবে। তারচেয়ে আসেন দেওয়ার দরকার নেই। একলা একলা ডিল করে ফেলি।’-আপনি যা ইনকাম করে খরচ করে ফেলেছেন তার ওপর যদি করারোপ করে তাহলে কেউ কর দিতে আসবে না। তাই এনবিআরকে করদাতাবান্ধব হতেই হবে।

;

লাইসেন্সবিহীন ও অনিরাপদ সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধে আহ্বান বিএসএর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লাইসেন্সবিহীন ও অনিরাপদ সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধে আহ্বান বিএসএর

লাইসেন্সবিহীন ও অনিরাপদ সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধে আহ্বান বিএসএর

  • Font increase
  • Font Decrease

সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে লাইসেন্সকৃত সফটওয়্যারের ব্যবহার বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সফটওয়্যার বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা দ্য সফটওয়্যার এলায়েন্স বা বিএসএ।

দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের বিস্তৃতি সত্বেও লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। সাইবার ঝুঁকি এড়াতে লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে এখন জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বিএসএ-এর সিনিয়র ডিরেক্টর তরুণ সাওনি বলেন, লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যবহার তথ্য নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। যার ফলে সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণ, তথ্য চুরি ও ম্যালওয়্যার আক্রমণের শঙ্কা বেড়ে যায়। এসব ঘটনা গ্রাহক, অংশীদার ও সহযোগীদের বিশ্বাস ও আস্থা নষ্ট করতে পারে। এছাড়া এটি যে কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য আইনী ঝুঁকি তৈরির পাশাপাশি ‍সুনাম ক্ষুণ্নের কারণও হতে পারে। আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যবহার কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন, যার ফলে যে কোন সংস্থা বা সংগঠন মামলা, জরিমানা অথবা আইনি জরিমানার সম্মুখীন হতে পারে।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে তাদের কোম্পানিগুলোয় সফটওয়্যার সক্রিয়ভাবে পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছে। অনেক কোম্পানিই তাদের ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনায় লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন, বিশেষ করে নির্মাণ এবং অবকাঠামোর উন্নয়নের সাথে যুক্ত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশের সিইওদের দায়িত্ব হল তাদের কোম্পানিগুলো নিরাপদ, সুরক্ষিত সফটওয়্যার ব্যবহার করে আইন মেনে চলছে কি না তা নিশ্চিত করা।”

বিএসএ-এর তথ্যে উঠে এসেছে যে বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতের অনেক কোম্পানিই লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে, যার মধ্যে আছে উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, খুচরা ও বড় ব্যবসা, নির্মাণ ও রিয়েল এস্টেট, ভোগ্যপণ্য, ব্যাংকিং, আর্থিক পরিষেবা এবং স্থাপত্য ও প্রকৌশলসহ অন্যান্য ক্ষেত্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহার করার ক্ষতিকর প্রভাবগুলো সামনে উঠে আসে যখন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জাতীয় ডেটা সেন্টার স্টোরেজ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, ফায়ারওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং আপডেট ইনস্টল করতে না পারার মতো একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। এই সমস্যাগুলো তৈরি হওয়ার জন্য বাইরের বিভিন্ন উৎস থেকে সরবরাহকৃত লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যারের ব্যবহারকে দায়ী করা হয়েছিল যা মূলত আইন মেনে না চলার পরিনতিকেই নির্দেশ করে।

বিএসএ-এর সিনিয়র ডিরেক্টর বলেন, “লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহারের ক্ষতি শুধু আর্থিক ক্ষতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর কারণে মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয় এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনও বাধাগ্রস্ত হয়। ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সফটওয়্যার সংক্রান্ত সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের ব্যবসা মালিক, শেয়ারহোল্ডার এবং সি-স্যুট এক্সিকিউটিভদের জন্য এটা নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে যে তাদের কর্মীরা লাইসেন্সকৃত সফটওয়্যারে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন কিনা এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছেন কিনা সে বিষয়ে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”

বিএসএ বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ে ব্যবহৃত বৃহৎ ভলিউমের সফটওয়্যারগুলো যাতে বৈধভাবে ব্যবহার করা হয় তার জন্য বাংলাদেশের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন জাতীয় সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির মতো সরকারি সংস্থার সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

তরুণ সাওনি বলেন, "সাইবার আক্রমণ থেকে সমগ্র বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখার জন্য ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ লাইসেন্সকৃত সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন কি না তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সরকার মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।”

বাংলাদেশের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, এনডিসি, লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার সংক্রান্ত ঝুঁকিগুলো তুলে ধরে বলেন, “লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার সাইবার হুমকির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। শুধুমাত্র ঝুঁকি কমানোর জন্য নয় বরং একটি নিরাপদ ও বিপদমুক্ত সাইবার পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর/সংস্থাগুলোর উচিত বৈধ সফটওয়্যার ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেয়া।”

তিনি আরও বলেন, “সরকার এই সমস্যা সমাধানে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা নিয়মিতই ব্যবসায়িক সংস্থাগুলোকে বৈধ সফটওয়্যার ব্যবহার ও নিয়মিত লাইসেন্স নবায়ন করার পরামর্শ দিই৷ বিএসএ-এর মতো সংস্থাগুলোর সহযোগিতা এই বিষয়ক সচেতনতা এবং বাস্তবায়নের প্রচেষ্টাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। এসব উদ্যোগ কার্যকরভাবে সাইবার নিরাপত্তার হুমকি কমাতে ভূমিকা রাখবে।”

বিএসএ তার সফটওয়্যার কমপ্লায়েন্স বাড়ানোর অঙ্গীকারে অবিচল। ২০১৯ সাল থেকে, সংস্থাটি প্রায় ১ মিলিয়ন পিসিতে বৈধ ও নিরাপদ সফটওয়্যার ইনস্টল করার লক্ষ্য নিয়ে ব্যবসায়ীদেরকে সহায়তার উদ্দেশ্যে ‘লিগ্যালাইজ অ্যান্ড প্রোটেক্ট’ নামের আঞ্চলিক প্রচারভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। অবৈধ সফটওয়্যারের ব্যবহার এখনও চালু থাকায় ব্যবসায়িক সংস্থাগুলিকে এ বিষয়ে সচেতন করতে এবং সফটওয়্যার কমপ্লায়েন্সের প্রচারে আঞ্চলিকভাবে এবং বিশ্বব্যাপী বিএসএ তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

বিএসএ বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে ও আন্তর্জাতিক বাজারে সফটওয়্যার খাতকে তুলে ধরতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা হিসেবে পরিচিত দ্য সফটওয়্যার এলায়েন্স বা বিএসএ (www.bsa.org)। এর সদস্যদের মধ্যে আছে বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানগুলো, যারা যে কোন ধরণের ছোট-বড় ব্যবসার আধুনিকায়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষে সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধান তৈরি করে।

সংস্থাটির সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে। ৩০টিরও বেশি দেশে বিএসএ’র কার্যক্রম চালু রয়েছে। বিএসএ বৈধ সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রচার এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও ডিজিটাল অর্থনীতির সমৃদ্ধির লক্ষে গৃহীত সরকারী নীতিমালা বাস্তবায়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে।

;

ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়

ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) আয়োজনে চলছে ‘ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল-২০২৪।’

শনিবার (১৮ মে) সকালে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ উডেন ফ্লোরে টেবিল টেনিস ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এই ইভেন্টের এককে অষ্টমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠের রুমেল খান। রানার্স-আপ হয়েছেন সংবাদ সংযোগের মো. শামীম হাসান এবং তৃতীয় হয়েছেন দৈনিক খবরের কাগজের মাহমুদুন্নবী চঞ্চল।

একই ইভেন্টে দ্বৈতে নবমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রুমেল খান ও মাহমুদুন্নবী চঞ্চল জুটি। এর মধ্য দিয়ে দ্বিমুকুট জয় করেন রুমেল খান। দ্বৈতে রানার্স-আপ হয় মজিবুর রহমান ও মোরসালিন আহমেদ জুটি এবং তৃতীয় হয়েছে মো. শামীম হাসান ও সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জুটি।

এবার ৭টি ডিসিপ্লিনে মোট ১০টি ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন বিএসপিএ’র শতাধিক সদস্য।

ইভেন্টগুলো হলো- ক্যারম একক ও দ্বৈত, টেবিল টেনিস একক ও দ্বৈত, দাবা, শুটিং, আরচারি, সাঁতার, কল ব্রিজ ও টোয়েন্টি নাইন। সবক’টি খেলাই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর সংলগ্ন বিভিন্ন ভেন্যুতে।

প্রতিবারের মতো এবারও স্পোর্টস কার্নিভালের সেরা ক্রীড়াবিদের হাতে তুলে দেয়া হবে আব্দুল মান্নান লাডু ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার। ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার থাকছে সেরা দুই রানার্সআপের জন্যও।

এছাড়াও প্রতিটি ইভেন্টের সেরাদের জন্য থাকছে ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার।

;

ফের বাড়ল সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। এ দফায় ভরিতে ১ হাজার ১৭৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। 

আগামীকাল রোববার (১৯ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ১৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত শনিবার (১১ মে) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২৩ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১২ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১১ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার। 

;