'এক চীন নীতি' ও স্পর্শকাতর তাইওয়ান
দক্ষিণপূর্ব চীনের উপকূল থেকে ১০০ মাইল দূরের দ্বীপ তাইওয়ান। ১৭ শতকে কিং রাজবংশের শাসনামলে দ্বীপটি প্রথমবারের মতো চীনের নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। ১৮৯৫ সালে জাপানের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে দ্বীপটি তাদের হাতে তুলে দেয় চীন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আবারো চীনের দখলে আসে তাইওয়ান।
চীনের জন্য তাইওয়ান অত্যন্ত স্পর্শকাতর প্রসঙ্গ। কতটুকু স্পর্শকাতর, তার প্রমাণ পাওয়া যায়, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের একটি ঘটনায়। ঘটনা হলো, এই যে, তাইওয়ানের একজন মন্ত্রীর সাক্ষাৎকার প্রচার করে ভারতীয় একটি চ্যানেল। আর তাতেই ভীষণ ক্ষুব্ধ হয় চীন। স্থানীয় চীনা দূতাবাসের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে সাক্ষাৎকারের বিরোধিতা করা হয় তৎক্ষণাৎ।
ভারতীয় মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার প্রদানকারী মন্ত্রীর নাম জোসেফ উ। তিনি তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর সাক্ষাৎকার প্রকাশের জন্য ভারতীয় চ্যানেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে চীন। দিল্লির চীনা দূতাবাসের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই সাক্ষাৎকারের বিরোধিতা করা হয়। চীনা তরফে এই মর্মে অভিযোগও করা হয় যে, প্রচারিত সাক্ষাৎকার তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করছে এবং ‘ভুল তথ্য’ পরিবেশন করছে। জোসেফ ভারতীয় চ্যানেলটিকে তাইওয়ানের স্বাধীনতার প্রচারক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে বলেও দাবি চীনা দূতাবাসের।
প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই চীনের বিবৃতির জবাব দিয়েছে তাইওয়ান। চীনা বিবৃতির জবাবে রাজধানী তাইপে থেকে জানানো হয়, ভারত এবং তাইওয়ান স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশ। তাই তাদের যে কোনো সাক্ষাৎকার প্রকাশের অধিকার রয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, ভারত ‘এক চীন নীতি’ অনুসরণ করে এবং তাইপেইয়ের সঙ্গে ভারতের কোনো সরকারি কূটনৈতিক বন্ধনও নেই।
ভারতে চীনের দূতাবাস যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘গত ২৯ ফেব্রুয়ারি একটি ভারতীয় টিভি চ্যানেলে তাইওয়ানের মন্ত্রীর সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। এর ফলে তিনি তাইওয়ানের স্বাধীনতা প্রচার করা এবং ভুয় তথ্য দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এটি ‘এক চীন নীতি’কে লঙ্ঘন করে। এটি সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত।’
তাইওয়ানে গত বছর মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিত্ব ন্যান্সি পেলোসির সফরের পরও কঠোর মনোভার প্রকাশ করে চীন। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এমনকী কঠোর শক্তি প্রয়োগের কথাও বলেন। তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও পিছু হটেননি। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাইওয়ান আক্রান্ত হলে পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
এইসব বিতণ্ডার মধ্যে নতুন করে 'এক চীন নীতি' ও স্পর্শকাতর তাইওয়ানের প্রসঙ্গ আবার সামনে চলে এসেছে। চীন অনুসৃত 'এক চীন নীতি’ অনুযায়ী, বিশ্বে একটি মাত্র ‘চীন’ রয়েছে। তাইওয়ান চীনেরই অঙ্গ। ‘পিপ্লস রিপাবলিক অব চীন’ চীনের একমাত্র বৈধ সরকার।
মজার ব্যাপার হলো, ভারত সরকারিভাবে এখনো এই নীতির বিরোধিতা করেনি। তবে তাইওয়ানের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক রয়েছে। আবার, মার্কিন নীতি অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র বেইজিংয়ের এই অবস্থান সমর্থন করে না। প্রকৃতপক্ষে, ওয়াশিংটনও তাইওয়ানের সঙ্গে একটি অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখে। এছাড়া, তাইওয়ান যাতে নিজেদের রক্ষা করতে পারে, সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান দ্বীপে অস্ত্র বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের নিরাপত্তার জন্য নিজেদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রেখেছে। তাইওয়ান ইস্যুতে এজন্য চীনের সঙ্গে মার্কিনিদের টানাপোড়ন রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য হলো, স্বাধীন দেশ হিসেবে তাইওয়ানকে কোনো দেশই স্বীকৃতি দেয়নি। এমনকী জাতিসংঘও নয়। চীন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ায়, ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। চীনের বিরোধিতায় তাইওয়ান জাতিসংঘের সদস্য হতে পারেনি। যদিও ১৯৭১ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে তারাই এগিয়েছিল। বৈশ্বিক করোনা মহামারি মোকাবিলায় সফল হলেও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার 'ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলি'তে পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে পারেনি তাইওয়ান। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কারণে অর্থনৈতিক জোট জি-৭ এ ক্ষেত্রে তাইওয়ানের পক্ষে ছিল।
১৯৭৯ সালে আমেরিকা মাওয়ের উত্তরসূরিদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও কুওমিনতাংয়ের প্রতি সমর্থন তুলে নেয়। আন্তর্জাতিক পরিসরে একা হতে থাকে তাইওয়ান। বর্তমানে ভাটিক্যানসহ মাত্র ১৪ দেশ তাইওয়ানের সার্বভৌম মানে। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৯ থেকে 'এক চীন' নীতি মেনে চললেও, সম্পর্ক এগিয়ে নেয় তাইওয়ানের সঙ্গেও। তাদের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও অস্ত্রের অন্যতম বড় বাজার তাইওয়ান। এটি মোটেও সহজভাবে নেয়নি বেইজিং।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের করা তাইওয়ান অ্যাক্ট অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। একইসঙ্গে অস্ত্র বিক্রি, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক যোগাযোগও রেখে চলছে। তাইওয়ানকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের চলছে 'কৌশলগত দ্বিচারিতা'।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে তাইওয়ানের কাছে ১৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানে মার্কিন দূতাবাসের জন্য খরচ করা হয় ২৫০ মিলিয়ন ডলার। ১৯৭৯ সালের পর তাইওয়ানের এত ঘনিষ্ঠ আর কখনো হয়নি যুক্তরাষ্ট্র। সেই সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করতে আগ্রহী বাইডেন।
অলিম্পিক গেমস এবং ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের মতো ইভেন্ট এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতেও অংশ নেওয়ার জন্য এটি সাধারণ নামকরণের মধ্য দিয়ে যায়। কিন্তু এত প্রতিকূলতার মধ্যেও তাইওয়ান একেবারেই সবকিছু হারিয়ে ফেলেছে, তা কিন্তু নয়। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তার অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক বজায় রাখবে বলে আশা রাখে।
১৯৭৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এক সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয়। এই কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ওপর যৌথ বিবৃতি ছিল এরকম:
'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকারকে চীনের একমাত্র আইনি সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই প্রেক্ষাপটে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ তাইওয়ানের জনগণের সঙ্গে সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখবে।'
'এক চীন নীতি' অনুযায়ী বিশ্বে কেবল একটি চীন আছে। তাইওয়ান চীনের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র আইনি সরকার। এটি চীনের অবস্থানগত কূটনৈতিক স্বীকৃতি, যার ফলে অন্যান্য দেশ এটা মেনে নেবে যে চীনে শুধুমাত্র একটি চীনা সরকার রয়েছে। চীনের জোর দাবি- তাইওয়ান চীনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা একদিন পুনরায় একত্রিত হবে।
এই নীতির পটভূমি সম্পর্কে জানতে ১৯৪৯ সালের চীনের গৃহযুদ্ধের সময়ের ইতিহাসে নজর দেওয়া আবশ্যক। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (People’s Republic of China – PRC) ও জাতীয়তাবাদী দল কুওমিনতাং (Republic of China – ROC)-এর মধ্যে চলা এই গৃহযুদ্ধে কুওমিনতাং পরাজিত হয় এবং তাইওয়ান দ্বীপে পালিয়ে যায়। বিজয়ী কমিউনিস্টরা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী চীন’ হিসেবে চীনের মূল ভূখণ্ড শাসন শুরু করে এবং সেখানে তাদের সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলে। যদিও কুওমিনতাং তাদের নিজেদের ‘গণপ্রজাতন্ত্রী চীন’ হিসেবে দাবি করে। তবে সমস্ত চীনের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে কমিউনিস্টরাই রাজত্ব করছে।
এই নীতি ১৯৭১ সালের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের রেজল্যুশন ২৭৫৮ দিয়ে স্পষ্টভাবে স্বীকৃত হয়েছে। ১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৮১টি দেশ ‘এক চীন নীতি’র ভিত্তিতে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। ‘এক চীন নীতি’ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সর্বজনীন ঐক্যমত এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি মৌলিক আদর্শ হিসেবে কাজ করছে।
শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশই তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কারণ, তারা চীনের কমিউনিস্ট সরকারকে মেনে নিতে পারেনি। কিন্তু ১৯৭০-এর দশক থেকে শুরু করে কূটনৈতিক সম্পর্ক পাল্টে যেতে থাকে, যখন চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। ফলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে আর তাইপেইয়ের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক শিথিল করে। যদিও অনেক দেশই এখনো নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য বা সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাইওয়ানের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
'এক চীন’ নীতি বাস্তবায়ন করতে তাইওয়ানকে যেকোনো মূল্যে আয়ত্তাধীন করতে চায় বেইজিং। এই দ্বন্দ্ব অবশ্য নতুন নয়। চীন মনে করে, তাইওয়ান তাদেরই অংশ। তবে তাইওয়ান বিশ্বাসী নিজেদের স্বাধীনতায়। তাদের নিজস্ব সংবিধান আছে। তারা চীনের অংশ হতে চায় না। রক্ষা করতে চায়, নিজেদের সার্বভৌমত্ব। তাইওয়ানের নাগরিকদের মধ্যে অন্তত ৬১ ভাগই নিজেদেরকে 'তাইওয়ানিজ' পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। নিজেদের 'চীনা' মনে করেন ৩ শতাংশ মানুষ। ১৯৯৪ সালে এই হার ছিল প্রায় ২৬ শতাংশ। এ ছাড়া, সেখানকার ৩৩ শতাংশ বাসিন্দা নিজেদের চীনা ও তাইওয়ানিজ উভয়টিই মনে করেন। তাইওয়ানের স্বায়ত্তশাসন ও প্রাদেশিক সরকারের বিষয়ে চীনের আপত্তি নেই। কিন্তু, কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে চায়।
চাপে রাখার কৌশল হিসেবে গত বছরের আগস্টের পর থেকে তাইওয়ানের উপকূলে বেশ কয়েকবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে চীন। চালিয়েছে সামরিক মহড়াও। মহড়ার সময় তাইওয়ানের চারপাশ দিয়ে উড়েছে ৯১টি সামরিক উড়োজাহাজ।
বর্তমানে চীন সামরিক শক্তিতে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ। সামরিক শক্তিতে চীনের তুলনায় অনেক পিছিয়ে তাইওয়ান। তবে সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে প্রতিরক্ষাখাতে তারা ব্যয় বাড়িয়ে চলেছে। এ খাতে এ বছর রেকর্ড ১৯ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে তাইওয়ান। যদিও চীনের ব্যয় এর ১২ গুণ বেশি।
তাইওয়ানকে চাপে রাখতে আরো অনেক কৌশল নিয়েছে চীন। ২০২০ সালে তাইওয়ানের ১০ সরকারি সংস্থার তথ্য ও ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে অন্তত ৬০০ ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার অভিযোগ আছে চীনের বিরুদ্ধে। এমনকী, তাইওয়ানে পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন। সেখানে পর্যটকের সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। চীনের চাপে তাইওয়ানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তিও করতে পারছে না অনেক দেশ। সিঙ্গাপুর ও নিউজিল্যান্ড ছাড়া খুব বেশি উন্নত দেশের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নেই।
তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের আরেকটি বড় স্বার্থের জায়গা সেমিকন্ডাক্টর বা 'চিপ'। কম্পিউটার, মোবাইল, যানবাহন—কোথায় ব্যবহার হয় না এই চিপ! ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৬০ ভাগ চিপ শুধুমাত্র তাইওয়ানেই তৈরি হয়। তাই চীন একে দখলে রাখতে পারলে এর ব্যবসা একচেটিয়াভাবে নিজেদের দখলে রাখতে পারবে৷
তবে তাইওয়ানেরও আছে নিজস্ব পরিকল্পনা। চীনের পরিচয়ে নয়, বরং সেমিকন্ডাক্টরের ব্যবসায় বিশ্বে নিজ পরিচয়ে পরিচিত হতে চায় তারা। অ্যাপল ও অন্যান্য মার্কিন কোম্পানির প্রধান চিপ সরবরাহকারী তাইওয়ানের পাশে যুক্তরাষ্ট্রের দাঁড়াতে চাওয়ার পেছনে এটিও ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া, তাইওয়ানের সহায়তা নিয়ে নিজেদের দেশেও চিপের বাজার গড়ে তুলতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বস্তুতপক্ষে, তাইওয়ান কেবল চীনের জন্যই স্পর্শকাতর ইস্যু নয়, আঞ্চলিক রাজনীতি ও বৈশ্বিক অর্থনীতির ক্ষেত্রেও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।
ড. মাহফুজ পারভেজ, প্রফেসর, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম; নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ, বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি)।