আলু এখনও বাড়তি দামে!
সরকার আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫ টাকা পুননির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে বাজারে এই দামের তোয়াক্কা না করে বাড়তি দামেই বিক্রি করা হচ্ছে আলু। ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া আলু ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) ছুটির দিনে রাজধানীর বাজার ঘুরে এমনটি দেখা যায়।
বাড়তি দামের তালিকায় রয়েছে কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ । বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকায় এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি টমেটো ১১০-১৩০ টাকা, গাজর ৮০-৯০ টাকা, শশা ৬০-৭০ টাকা, বেগুল ৮০ -১০০ টাকা, কাকরোল ৬০-৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, করলা ৭০-৮০টাকা ,পটল ৬৫-৮৫ টাকা, ঢ্যাঁরস ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতি পিচ লাও ৬০ থেকে ৮০ টাকা,ছোট সাইজের ফুলকপি ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে দাম বাড়ার তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে সয়াবিন তেল। দাম বেড়ে প্রতিকেজি খোলা পাম তেল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা লিটার।
তেলের দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ায়। দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে এবং দাম কিছুটা বেড়েছে।
বাজার করতে আসা ক্রেতা হুমায়ূন আহমেদ বার্তা২৪.বলেন, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে কোন পণ্য বাজারে নেই। প্রতিনিয়ত হু হু করে বাড়ছে সকল কিছুর দাম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপ সবচেয়ে বেশি ভোগ করছি আমরা যারা মধ্যবিত্তরা আছি তারা।
এদিক, মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায় বয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৩০-১৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২০০-২২০ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০- ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫৭০-৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে
বাজার পরিস্থিতির বিষয়ে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) এর সভাপতি গোলাম রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম এত বাড়তি। এর জন্য সরকার বাজার কড়া নজরদারি করলে। ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়ানোর এই সুযোগটা নিতে পারবে না। জনসাধারণ ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে পারবে এবং বাজারে স্বাভাবিক হবে'।