বাজার ভরা শীতের সবজি, কমেনি দাম

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

শীতকালীন সবজি চলে আসলেও রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে কমেনি দাম। কয়েক মাস ধরে যে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছিল সবজি সে দাম এখনো বিদ্যমান। এরই মধ্যে বাজারগুলোতে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। তবে দামের লাগাম এখনো উপরে।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায় কিছু কিছু সবজির দাম কমলেও অধিকাংশ সবজির দাম এখনো ঊর্ধ্বগতি।

বিজ্ঞাপন

সরকারের বেঁধে দেয়া আলুর দাম লক্ষ্য করা যায়নি খুচরা বাজারে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। যদিও সরকারের নির্ধারিত দর ৩৫ টাকা। এ দামে কোথাও আলু বিক্রি করতে দেখা যায়নি। শীতের শুরুতে নতুন আলু চলে এসেছে বাজারে। প্রতি কেজি নতুন আলুর দাম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি ও বাঁধাকপির আকার ভেদে দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে। প্রতি পিস লাউয়ের দাম ৭০-৮০ টাকা। শিম জাত ভেদে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ৭০- ৮০ টাকা, মুলা ও বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁকরোলের কেজি ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা, শসা, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স ও পটোলের কেজি ৭০ থেকে ৯০ টাকা। কাঁচা মরিচ ১৪০- ১৬০ টাকা কেজি। গাজর ৮০-১০০ টাকা কেজি, কাঁচা কলার হালি ৪০-৫০ টাকা, লেবুর হালি ৩০-৪০ টাকা।

বিজ্ঞাপন

এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টি ও বর্ষার কারণে কয়েকমাস আগে থেকে সবজির দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে। সাধারণ ক্রেতা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা ধারণা করেছেন শীতের শুরুতে সবজির উৎপাদন ও যোগাযোগ বেশি থাকবে। তখন সবজির দাম কমে আসবে।

এদিকে খুচরা সবজি বিক্রেতারা বলছে, দাম কমা বা বেশির সাথে আমাদের হাত নেই। আমরা যে দামে ক্রয় করি তার থেকে কিছু বেশি দামে বিক্রি করে। কিছু লাভ না করলে আমরা চলবো কিভাবে। তবে বাজারে যোগান কম থাকায় দাম বেশি বলে জানান তারা।

বাজারে মোট চার ধরনের পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। চীনা ও তুরস্কের পেঁয়াজের দাম মান ভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৫৫-৬৫ টাকা, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মান ভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চীনা রসুন কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও দেশি রসুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করেন বিক্রেতারা। আদার দাম মান ভেদে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বয়লার মুরগি ১৩০-১৩০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি মুরগি ২৩০-২৪০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি ৪০০- ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৫৭০-৫৮০ টাকা প্রতি কেজি, খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংস বিক্রেতার জানান, বাজারে সবজিসহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেও মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। মুরগীর দাম কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা কম-বেশি হয়।