মেগা প্রকল্পে নিজস্ব সম্পদ ও জনবলের ব্যবহার জরুরি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেগা প্রকল্পে নিজস্ব সম্পদ ও জনবলের ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে অপরেশন ও রক্ষণাবেক্ষণে দক্ষ লোকের ঘাটতি থেকেই যাবে। লোকাল এজেন্ট না হয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর মতো স্থানীয় ঠিকাদারদের পার্টনার হিসেবে অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করা জরুরি।

পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল টেন্ডারে বিদেশিদের ডিউটি ফ্রি দেওয়ার মতো দেশীয় ঠিকাদারদের সুরক্ষা দিতে হবে। না হলে তারা ৩৫ শতাংশ ডিউটি দিয়ে প্রতিযোগিতায় ঠিকতে পারবে না। প্রয়োজনে ইন্টারন্যাশনাল টেন্ডারে তাদের ‍ডিউটি ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

শনিবার ( ১৪ নভেম্বর) বিকেলে এনার্জি এন্ড পাওয়ার আযোজিত “অবকাঠামো উন্নয়নে নিজস্ব সম্পদের ব্যবহারের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা” শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তারা এমন অভিমত দিয়েছেন।

সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, দেশীয় উদ্যোক্তাদের বিকাশে পলিসি একটি বড় বাঁধা হয়ে আছে। দেশীয় স্বার্থকে প্রটেক্ট করতে পারে এমন পলিসি করতে হবে। বিদেশি ঠিকাদারদের জন্য কিছু শর্ত দেওয়া হয় আর্টিমেটলি এগুলো কোনা কাজ হয় না, বাস্তবায়নকারি সংস্থাও খুব একটা গুরুত্ব দেন না। বিদেশি ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে জেভি করতে পারলে স্কিল ম্যানপাওয়ার বাড়বে।

বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শেখ ফায়েজুল আমীন বলেন, রামপাল প্রকল্পে ভারতীয় একটি ব্যাংক ফাইন্যান্স করছে। তাদের অর্থায়নের শর্ত দিয়েছে পঁচাত্তর শতাংশ ভারত থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে ২৫ শতাংশ যন্ত্রপাতি নিতে পারবে। এসব শর্ত যদি আমরা না মানি তাহলে বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন জটিল হতো। ভবিষ্যতে নেগোসিয়েশন স্কিল বাড়িয়ে আমরা কিভাবে বেশি সুবিধা আদায় করতে পারি সেদিকে নজর দিতে হবে।

ম্যাক্স গ্রপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ইন্টারন্যাশনাল টেন্ডারে আমাদেক বলা হচ্ছে ১৫ শতাংশ বেনিফিট দিচ্ছে। ৬০ শতাংশ মালামাল আমদানিতে ৩৫ শতাংশ ডিউটি দিচ্ছি সেটি বিবেচনায় আনা হয় না। আর বিদেশি ঠিকাদার হলে তারা ডিউটি ফ্রি সুবিধা পাচ্ছে। সরকার এখানে বঞ্চিত হলো, এখানেইতো আমরা পিছিয়ে গেলাম। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য ডিউটি নিলেও ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। জিওবি ফান্ডের প্রকল্প পুরোপুরি দেশীয় কোম্পানির জন্য নিশ্চিত করা জরুরি। অবশ্যই দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে সুরক্ষা দিতে হবে। সরকার গ্রিন এনার্জির মতো দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার জন্য বিশেষ ফান্ড গঠন করতে পারে। যেখান থেকে বেসরকারি কোম্পানিরা সহজে ঋণ নিতে পারেন।

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রবিউল আলম, প্রতিবেশি রাষ্ট্রের পলিসির সঙ্গে আমাদের কোনো সামঞ্জস্য নেই। একেক প্রতিষ্ঠান একেক ফরমুলা ফলো করে। পিডিবির টেন্ডারিং সিস্টেম রয়েছে আন্তর্জাতিক সিঙ্গেল খাম হলে প্রাইস কোর্ড করবেন। ডিউটি পেইড কোর্ড করি। আমদানির ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ ডিউটি দিয়ে আসতে হবে। ডাবল খামে আরেক নিয়ম। বাংলাদেশ আমাদের পরবাসী করে রেখেছে। ইউনিফর্ম নীতিমালা জরুরি। আবার দেশীয় ঠিকাদার কাজ নিয়ে মালামাল আমদানি করলে জিরো ডিউটি। আর দেশিয় পণ্য নিলে ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। কিভাবে দেশীয় উদ্যোক্তা উঠে আসবে। লোকাল ফান্ডে ছোটো টেন্ডারও ইন্টারন্যাশনাল করে পিডিবি। বিশ্বের কোথাও নেই। পদ্মা সেতুসহ বিদেশি ঠিকাদারদের কাজ বিলম্ব হলে ব্যয় বাড়ে। আমাদের শাস্তি হয়।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দীপন গ্রুপের পরিচালক (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) জিএসএম শামসুজ্জোহা নাসিম বলেন, স্থানীয় সম্পদের ব্যবহার যতো বাড়াতে পারি উন্নয়ন ততটা স্থায়ী হয়। আমদানিতব্য সম্পদের প্রতিস্থাপন করে, ফরেন কারেন্সি সাশ্রয় হয় এতে ভবিষ্যতে আরও নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়, দেশজ জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।

আমাদের সিমেন্ট আছে, অদক্ষ এবং আধাদক্ষ লেবার আছে। ৪ হাজারের মতো নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের ১০০টি বিদেশে কাজ করতেও সক্ষম। রামপাল এবং পায়রাতে দেখছি বিদেশি সাবঠিকাদার নেওয়া হচ্ছে। ইপিসি ঠিকাদার কেনো নেওয়া হচ্ছে। যে অংশগুলো না হলেই নয়, অথবা ব্যালান্স করার জন্য উপ-ঠিকাদার গ্রহণ করেছে। স্বচ্ছ বিডিং হয় নি।

রামপালে ইপিসি ঠিকাদার ভারত হেভি ইলেট্রি্ক্যাল কলকাতায় টেন্ডার করে। সেখানে বাংলাদেশিদের জন্য হাস্যকর শর্ত দেওয়া হয়। ই টেন্ডার অংশ নিতে হলে স্বাক্ষর কিনতে হয, এর জন্য ৩ মাস প্রয়োজন, বাংলাদেশের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঠিকাদারকে কলকাতায় জমা দিতে হচ্ছে। জমা দিতে গেলে দেখা গেছে পিছিয়ে গেছে। ওদের দরপত্রে অদ্ভুত সব শর্তযুক্ত থাকে যাতে বাংলাদেশিরা অংশ নিতে না পারে। টেন্ডার সিকিউরিটি ২০ লাখ টাকা পে-অর্ডার করতে হবে। এই টাকা কিভাবে নেবেন আপনি। এ-৩ ভিসায় অদক্ষ লোক আনা হয়।

এনার্জি এন্ড পাওয়ারের কনসালটেন্ট এডিটর প্রকৌশলী খন্দকার সালেক সূফী বলেন, সমঝোতা স্টেজে দেশের উদ্যোক্তাদের স্বার্থ চুড়ান্ত করা যেতো। বিশেষ করে অদক্ষ শ্রমিকের ক্ষেত্রে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে নিতে হলে। পলিসি অমান্য করা প্রবনতা রয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে যেসব প্রকল্প হয়, এগুলো শতভাগ দেশীয় কোম্পানির জন্য নিশ্চিত করা উচিত। দেশীয় কোম্পানিকে সুযোগ দেওয়া না হলে অপরেশন সঠিকভাবে সম্ভব না।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এনার্জি এন্ড পাওয়ারের এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, সন্দেহ নেই সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অনেক সক্ষমতা অর্জণ করেছে। লোকাল এজেন্টের কারণে লোকাল পার্টনার বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পার্টনারশীপ আইন প্রয়োজন, এটি করতেই হবে। এ-৩ ভিসায় অদক্ষ শ্রমিক আসে, আগামী দিনে নিজস্ব পণ্য ও শ্রমের বিষয়ে বেঁধে দেওয়া জরুরি।

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;