এক দশকের মধ্যে পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ লেনদেন
গত এক দশকের মধ্যে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। এদিন মোট লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৫৪৬ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার। এর আগে ২০১০ সালের ৭ অক্টোবর সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৮০১ কোটি টাকার শেয়ার।
আজ লেনদেনের শুরুতে ডিএসই’র প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭৫ পয়েন্ট বাড়ে আর বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ১৭৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়। দিন বাড়ার সাথ সাথে সূচক বাড়ার প্রবণতা কমতে থাকে। এক পর্যায়ে সূচক নেতিবাচক হতে থাকে। লেনদেন শেষে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৩ পয়েন্ট। ফলে সূচক অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬০৯ পয়েন্টে।
ডিএসই’র অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বা ডিএসইএস সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। দিন শেষে ডিএসই’র লেনদেনে অংশ নেওয়া ১১৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে, কমেছে ১৯৭টি এবং ৫০টি কোম্পানির শেয়ার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিন সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছ নতুন লেনদেন শুরু হওয়া টেলিকম অপারেটর কোম্পানি রবি’র শেয়ার। কোম্পানিটির ২৫৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার লেনদেন। কোম্পানির ১৬৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়র হাত বদল হয়েছে। এছাড়া ১৩৭ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে বেক্সিমকো লিমিটেড।
এদিন লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- আইএফআইসি ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সিটি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, কেপিসিএল এবং অ্যাকটিভ ফাইন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৩৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৫৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৫টির, কমেছে ১৪৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৪টির কোম্পানির শেয়ার দাম।