রমজানকে সামনে রেখে বাজার চড়া

  • আরমান আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। করোনার এমন পরিস্থিতির মধ্যে তেমন কাউকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি রাজধানীর কাওরান বাজারে।

শুক্রবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর কাওরান বাজারে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, রমজানকে সামনে রেখে একধরনের অতি মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা কিছু কিছু সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যার প্রভাব পরছে খুচরা ক্রেতাদের ওপর।

বিজ্ঞাপন

কাওরান বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, মুরগি ও ডিমের দাম কিছুটা বাড়তি আগের মতোই। তবে আগের থেকে সবজির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে অনেক সবজি পাওয়া গেলেও এখন তা ৪০-৫০ টাকা। তেল, মুরগি, পেঁয়াজসহ প্রায় ধরনের ফলের দামও বেড়েছে। বাজারে একজন খুচরা বিক্রেতা বার্তা২৪.কমকে রফিক বলেন, শীতের সিজন শেষ তাই সবজির দাম একটু বাড়বেই। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সবজির দাম বেশ কমছিল। সামনে রমজান আসছে এখন কিছুটা দাম বেড়েছে। তবে এখন বাজারে কোনো সবজির অভাব নেই। আড়তে গেলেই পছন্দমত সবজি পাওয়া যাচ্ছে। তাই আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

রাজধানীর বাজারে দেখা যায়, কাঁচা কলা হালি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। প্রতি কাঁচা কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মটরশুঁটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হালি লেবু ৩০ থেকে ৪০ টাকায় যেমন বিক্রি হচ্ছে তেমন মান ভেদে ১২০ টাকা হালিতেও বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকা।

বিজ্ঞাপন

প্রতিকেজি শিম ৩০ থেকে ৪৫ টাকা, গাজর ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা একজন ঠিকাদার বার্তা২৪.কমকে জানান, করোনা পরিস্থিতির পর থেকেই আয় কমে গেছে। এ অবস্থায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যেরও দাম বেড়েছে, অনেকক্ষেত্রে তা নাগালের বাইরে। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম খাবারে জীবন ধারণ করতে হচ্ছে তাদের।

প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। কেজিতে ৩০ টাকা দাম কমে প্রতিকেজি কক মুরগি ৩০০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। আর লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে প্রতিকেজি খাসি ও গরুর মাংস।  ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা পাওয়া যাচ্ছে খাসি, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা।

এছাড়া রুই বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় কাতল ৩৫০-৪০০ টাকা, চিংড়ি বড় ১০০০ টাকা, মাঝারি ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ১৩-১৪- টাকা, বাতাসি মাছ প্রতি কেজি ৩০০ টাকা।

বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, স্বর্ণা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ও পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। খোলা ভোজ্যতেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা।