সরকারি কেনাকাটায় দেশীয় প্রযুক্তি পণ্যকে অগ্রাধিকার দেয়ার দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘সরকারি কেনাকাটায় দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্যকে অগ্রাধিকার দেয়া জরুরি’

‘সরকারি কেনাকাটায় দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্যকে অগ্রাধিকার দেয়া জরুরি’

  • Font increase
  • Font Decrease

ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। অথচ সরকারি কেনাকাটায় উপেক্ষিত থাকছে দেশে তৈরি এসব পণ্য। এজন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) সংশোধন জরুরি। সরকারি কেনাকাটায় দেশীয় শিল্পখাতকে অগ্রাধিকার দেয়া এখন সময়ের দাবি। দেশীয় শিল্প সহায়ক নীতিমালা প্রণীত হলেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ণ ত্বরান্বিত হবে। লাভবান হবে দেশ ও দেশের মানুষ।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ‘শিল্পায়নে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।

বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড হোম অ্যাপ্লায়েন্স ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিইইএমইএ) জুম অ্যাপে ওই ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিপিটিইউ’র মহাপরিচালক ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সোহেলার রহমান চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিইইএমইএ’র মহাসচিব মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।

ওয়েবিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিজ ওনার’স অ্যাসোশিয়েশন-এর সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, মিনিস্টার হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ টিভি ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের সহ- সভাপতি এম এ রাজ্জাক খান এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিক মৃদুল ইসলাম।

মূল প্রবন্ধে মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম উল্লেখ করেন, দেশীয় শিল্পোউদ্যেক্তারা গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় আবহাওয়া ও বৈদ্যুতিক অবকাঠামো অনুযায়ী পণ্য তৈরি করেন। দেশীয় উৎপাদকদের জন্য ওই পণ্যের বিএসটিইআইয়ের মান সনদ বাধ্যতামূলক। কিন্তু একই ধরনের বিদেশি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিএসটিআই সনদ বাধ্যতামূলক নয়। ফলে নিম্নমানের বিদেশি পণ্য আমদানি হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারি ক্রয়ে দেশীয় পণ্য উপেক্ষিত হচ্ছে। তাই বিদেশি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিএসটিআই সনদ বাধ্যতামূলক করা জরুরি। সেইসঙ্গে সরকারি কেনাকাটায় দেশীয় পণ্যকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।

এর পাশাপাশি সরকারি কেনাকাটা সংক্রান্ত দরপত্রে দেশি-বিদেশি পণ্যে বিভাজন না করে পণ্যের সঠিক মান নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী দরপত্র দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, মানসম্মত দেশীয় শিল্প বা ব্র্যান্ডকে অগ্রাধিকার দিয়ে পিপিআর রুলস-এ সংশোধনী আনলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে ২০২৬ সালের আগেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর সম্ভব হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এটি অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক যে দেশে ইলেকট্রনিক্স খাতে প্রায় ৫ হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান যুক্ত আছে। যেখানে প্রায় ১২ লাখ মানুষ সম্পৃক্ত আছেন। সরকার দেশীয় শিল্প বিকাশে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। আগামি দিনগুলোতেও তাদের সব ধরনের সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।

ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিটি দেশ তার স্থানীয় শিল্পসহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন ও অনুসরণ করে থাকে। এটি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ইলেকট্রনিক্স ও হালকা প্রকৌশল খাতের দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো নিউ ইনোভেটিভ ইকোনমির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।  দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের ভবিষ্যত। এই খাত স্থানীয় বাজারে মূল্য সংযোজন, আমদানি বিকল্প শিল্প এবং রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। তাই শিল্পায়ন ও বাণিজ্য নীতির দিক থেকে এ খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। যেখানে স্থানীয় শিল্পখাতকে সহায়তা দেয়ার কথা, সেখানে যদি তারা বৈষম্যের শিকার হন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ খাততে সহায়তা দিলে ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের যে লক্ষ্য তা অর্জন সহজ হবে।

বুয়েট ভিসি প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সম্পর্কিত দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যগুলোর সব ধরনের নীতিসহায়তা প্রয়োজন বলে মত দেন। এক্ষেত্রে দেশীয় শিল্পের জন্য ট্যাক্স বেনিফিট ও ট্যাক্স হলিডের পাশাপাশি পিপিআর-এ নতুন ধারা সংযোজন দরকার বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, দেশীয় উচ্চ প্রযুক্তির পণ্যের বিকাশের জন্য ইন্ডাস্ট্রি-ইউনিভার্সিটি কোলাবরেশন অপরিহার্য এবং এ খাতে দেশীয় বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করা দরকার। 

সিপিটিইউ’র মহাপরিচালক ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সোহেলার রহমান চৌধুরী বলেন, পিপিআর বিধিমালার উদ্দেশ্য দেশি-বিদেশি সব প্রতিষ্ঠানের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা। যাতে তারা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে। কিন্তু অনেক দরদাতাই পিপিআর আইন ভঙ্গ করেন। সেক্ষেত্রে এ নীতিমালার যাতে ব্যত্যয় না হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারির পরিকল্পনা করছি। তিনি দেশীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে পিপিআর নীতিমালা সংশোধনের মাধ্যমে অগ্রাধিকার দেয়ার আশ্বাস দেন।

   

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

  • Font increase
  • Font Decrease

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সম্মানিত ট্রেড পার্টনারদের সৌজন্যে ০২ মে বৃহস্পতিবার, সিলেট এর রোজ ভিউ হোটেল এক মতবিনিময় সভা’র আয়োজন করা হয়।

‘এয়ার এ্যাস্ট্রা বিজনেস পার্টনার মিট’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এয়ার এ্যাস্ট্রার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইমরান আসিফ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সোহেল মাজিদসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সিইও ইমরান আসিফ বলেন, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গন্তব্য সিলেট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। বর্তমানে এই রুটে প্রতিদিন দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা, যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধি পেলে খুব শিঘ্রই আরও ফ্লাইট এই রুটে যুক্ত করা হবে।

সিলেটের পাশাপাশি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে চারটি, কক্সবাজার রুটে চারটি ও সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা। এয়ার এ্যাস্ট্রা সম্মানিত যাত্রীদের সুবিধার্থে ইন-ফ্লাইট ম্যাগাজিন ও শিশুদের জন্য ফানবুক প্রদান করে থাকে।

যাত্রীরা ফ্লাইট টিকিট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস, সেলস অফিস, অনলাইন ও অফলাইন্ ট্রাভেল এজেন্সি থেকে ক্রয় করতে পারবেন। এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বহরে বর্তমানে তিনটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ফ্রান্সে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট এবং ৭০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। খুব শিঘ্রই আন্তর্জাতিক রুটেও ডানা মেলবে এয়ার এ্যাস্ট্রা।

;

ভর্তুকি কমাতে বছরে চারবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভর্তুকি কমিয়ে আনতে বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবে সরকার। পর্যায়ক্রমে আগামী তিন বছর এভাবেই বাড়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সচিবালয়ে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ এ কথা জানিয়েছে।

জানা গেছে, চলতি মাসে আবারও বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের মূল্য। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য বাড়াবে। তবে বিশ্ববাজারে কমলে এখানেও কমানো হবে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

সমন্বয়ের নামে মূলত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার খরচ কমিয়েও ভর্তুকি সমন্বয় করতে পারে। অনিয়ম, দুর্নীতি, অপচয় রোধ করে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমানোর দিকে সরকারের মনোযোগ নেই। বরং চাহিদা না থাকলেও দরপত্র ছাড়া একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে এ খাতের খরচ আরও বাড়াচ্ছে।

আইএমএফের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গেও বৈঠক করেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা ও বিপিসি প্রায় একইভাবে আইএমএফকে জানিয়েছে, গ্যাস ও জ্বালানি তেলে নতুন করে ভর্তুকির চাপ নেই। তেলের দাম নিয়ে স্বয়ংক্রিয় যে পদ্ধতি (আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে দেশে বাড়বে, কমলে কমবে) চালু করার কথা আইএমএফ বলেছিল, তা হয়েছে। প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এতে জ্বালানি তেলে আর কখনো ভর্তুকি দিতে হবে না। প্রথম দুই দফায় দাম কিছুটা কমানো হলেও শেষ দফায় দাম বেড়েছে। তিন মাস ধরে এ চর্চা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এ বছর বিদ্যুতের মূল্য আরও কয়েক দফা সমন্বয় করা হবে। এভাবে আগামী তিন বছর চলবে। তবে কোন মাসে সমন্বয় করা হবে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

জ্বালানি তেলের মূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে সমন্বয় করা হবে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে সমন্বয় করা হলেও জ্বালানি তেলের মূল্য খুব বাড়বে না। তবে পরিবর্তন হলে সেটি নির্ভর করবে বৈশ্বিক বাজারের ওপর।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর এ পর্যন্ত বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে ১৩ বার।

;

এপ্রিলে পণ্য রফতানি কমেছে ৪ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশ থেকে গত এপ্রিলে পণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে ৩ হাজার ৯১৬ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ কম।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এপ্রিলে ৪৭১ কোটি ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পণ্য রফতানিতে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, এ সময়ে মোট রফতানির মূল্য ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা, যা ৫ হাজার ৯৭ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম হয়েছিল।

রফতানিমুখী শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ঈদুল ফিতরের সময়ে কারখানাগুলোয় কার্যাদেশ কম এসেছে। দীর্ঘায়িত ছুটির কারণেও রফতানি চালানের সংখ্যা কমে যায়। এ কারণে পণ্যদ্রব্য রফতানি নিম্নমুখী হয়, তবে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে একে স্বাভাবিক ঘটনা বলেই উল্লেখ করেছেন।

এখন পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতাসক্ষম রাখতে সহায়তা করছে। তবে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলে সেই সুবিধা আর থাকবে না। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তিন বছর শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে। এ সুবিধা আমদানি ও রফতানিকারক দেশের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এলডিসি হিসেবে আমরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাই, সেসব ভবিষ্যতে থাকবে না। তখন রফতানি বাড়াতে হলে নতুন কৌশল বা উদ্যোগ লাগবে। রফতানিতে অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়াতে পণ্য ও সেবা বহুমুখীকরণ এবং বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। অন্যদিকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুুক্তি করার জন্য সরকারের রাজনৈতিক সম্মতি লাগবে।

;

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব



নিউজ ডেস্ক
রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

  • Font increase
  • Font Decrease

রিটেইল ব্যাংকিং সেবাকে আরও সহজ করতে বাংলাদেশের দ্রুত প্রসারমান স্ট্যার্টআপ হিসাবীর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

এই অংশীদারিত্বের ফলে হিসাবী দোকান অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন থেকে বাধাহীনভাবে প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এই চুক্তির ফলে রিটেইলারদের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতায় এক দারুণ পরিবর্তন আসবে এবং লেনদেন আরও সহজ হবে।

প্রাইম ব্যাংকের কনজুমার ব্যাংকিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিম এ. চৌধুরী এবং হিসাবী'র পক্ষ থেকে রাকিন মোহাম্মদ সাভি (প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তিতে সই করেন, যা রিটেইলারদের পেশাগত কাজের সাথে সরাসরি ব্যাংকিং সেবা যুক্ত করে তাদের ক্ষমতায়ন করার প্রতিশ্রুতি। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকরণের লক্ষ্য অর্জন এবং হাসাবী'র রিটেইল নেটওয়ার্ককে আরও দক্ষ করে তুলতে এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গ্রহক সেবা বাড়াতে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

;