এলপি গ্যাসের বাজার দরে হযবরল অবস্থা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিইআরসির নির্ধারিত এলপি গ্যাসের দর অনেক ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না। কিছু জায়গায় কম দামে বিক্রি হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চমূল্যে বিক্রি করার খবর পাওয়া গেছে।

বিইআরসি আদেশ দিয়ে নিবর, যে কারণে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা দাম আদায় করছেন নিজের খেয়াল-খুশি মতো।

ঝালকাঠি শহরে কারেন্ট ট্রেডার্সের মালিক শংকর বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগের মাসের তুলনায় চলতি মাসে অনেক কোম্পানি কিছুটা করে দর কমিয়েছে। তবে বেক্সিমকো তাদের গ্যাসের দাম কমায় নি। বেক্সিমকোর ১২ কেজি সিলিন্ডার ঈদের তিন দিন আগেও ৯৬০ টাকা দরে কিনে এনেছি। আমরা বিক্রি করছি ৯৮০ থেকে ৯৯০ টাকায়। অন্যান্য সকল কোম্পানি ৯০০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে। ওমেরা কিনেছি ৮৯০ টাকা, বিক্রি করছি ৯২০ থেকে ৯৩০ টাকা, বসুন্ধরা ৮৯০ কিনে বিক্রি করছি ৯৩০ টাকা, বিএম ৮৮০ টাকা কিনে বিক্রি করছি ৯১০ টাকা।

বেক্সিমকো এলপি গ্যাসের মূল্য বেশি হওয়ার কারণ কি। এমন প্রশ্নে শংকর বলেন, আমিও ডিলার রব ট্রেডার্সকে প্রশ্ন করেছিলাম। তারা বলেছে লাভ হয় না, কোম্পানি দাম কমায় নি আমরা দেবো কোথা থেকে। অনেক চেষ্টা করেও রব ট্রের্ডাসের মালিক রহিম চেয়ারম্যানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।

অথচ উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর সঙ্গে নৌ যোগাযোগ খুবই উন্নত। গলাচিপা নদীর তীরে অবস্থিত শহরটিতে স্বল্প খরচে সিলিন্ডার আনা নেওয়া করা সম্ভব। রয়েছে মোংলার সঙ্গে উন্নত সড়ক যোগাযোগ। যেখানে অবস্থিত বেশিরভাগ কোম্পানির বোটলিং প্লান্ট। চট্টগ্রাম ও খুলনার পর বরিশাল অঞ্চলে এলপিজির সরবরাহ খরচ তুলনামূলক কম। তাই এসব অঞ্চলে দামও কম হওয়ার কথা কিন্তু চিত্র পুরাই বিপরীত। এখানে সিন্ডিকেট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে রংপুর অঞ্চলে কোথাও কোথাও সরকার নির্ধারিত দরের চেয়েও কম দামে এলপি গ্যাস কেনা-বেচার খবর মিলেছে। রংপুরের খালাশপীর বন্দরের খুচরা বিক্রেতা আব্দুল কাফী মন্ডল বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, তারা কোম্পানি ভেদে সিলিন্ডার প্রতি ৮৯০ থেকে ৯২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। ডিলাররা তাদের নিজেদের গাড়িতে করে সিলিন্ডার দোকানে পৌঁছে দিয়ে যান। বসুন্ধরা এলপিজি ৮৮০, ফ্রেস ৮৭০ এবং নাভানা ৮৭০ টাকা।

রাজশাহীতে এলপি গ্যাস ৯২০ থেকে ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখানেই সরকারের প্রভাবশালী উপদেষ্টার কোম্পানির বেক্সিমকোর দাম সবার চেয়ে বেশি। খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কোম্পানিটির ডিলার ৮৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। পরিবহন খরচসহ দোকানে আসছে ৯১০ টাকায়। যে কারণে ৯৫০ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। যমুনা, বিএম ও টোটাল গ্যাস ৯২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বরিশালের উজিরপুরে অবস্থিত মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজের মালিক জাহিদুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমার টিকে গ্রুপের ডেল্টা গ্যাস এবং এনার্জিপ্যাকের জি-গ্যাসে ডিলারশীপ রয়েছে। আমরা নিজেদের গাড়িতে করে খুচরা বিক্রেতার দোকানে পৌঁছে দিচ্ছি ৮৪০ টাকায়। আর খুচরা বিক্রি করছি ৯০০ টাকায়।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গত ২৮ এপ্রিল এলপি গ্যাসের দর ঘোষণা করে। বেসরকারি এলপিজির সিলিন্ডারের (১২ কেজি) দর ৯৭৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৯০৬ পুনঃনির্ধারণ করে। অটোগ্যাস লিটার প্রতি ৪৪.৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে পরবর্তী মাসের দর জানাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বিইআরসি। কমিশন, কোম্পানির প্রফিট, পরিবহন খরচ অন্যান্য খরচ অপরিবর্তিত থাকবে। শুধু সৌদি আরামকোর নির্ধারিত এলপিজির আমদানি মূল্য সমন্বয় করা হবে এতে।

প্রথম এপ্রিল মাসের জন্য দর ঘোষণা করা হয়। এরপর গ্যাসের দাম কমে গেলে মে মাসে দাম কমিয়ে দেয় বিইআরসি। চলতি মাসে আরও দাম কমে গেছে। যে কারণে আসছে জুন মাসে আরও দাম কমে যাবে বলে বিইআরসি সূত্র জানিয়েছে।

মার্চে সৌদি সিপি(সৌদী আরামকো কন্ট্রাক্ট প্রাইস)ছিল যথাক্রমে প্রতি টন প্রোপেন বিউটেন ৬২৫ ও ৫৯৫ ডলার। সেই দর এপ্রিল হয় যথাক্রমে ৫৬০ ও ৫৩০ ইউএস ডলার। মে মাসে যথাক্রমে ৪৯৫ ও ৪৭৫ ডলারে নেমে এসেছে।

বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল মে মাসের দর ঘোষণা অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বিগত মাসের ঘোষিত দর বাস্তবায়ন হয়নি এ কথায় বলা যাবে না। সম্পুর্ণ বাস্তবায়ন হয়েছে এ কথায় বলা যাবে না। তবে হ্যাঁ কোনো কিছু বাস্তবায়ন করতে একটু সময় লাগে। কমিশন একক প্রতিষ্ঠান নয়, এরসঙ্গে অনেক দপ্তর অধিপ্তর রয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। প্রশাসনিক বিভাগ এবং আমরা আমাদের আইনি ক্ষমতা প্রয়োগ করবো। সুনির্দিষ্টভাবে লিখিত অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা আমাদেরকে সময় দেন অবশ্যই বাজার স্বাভাবিক করা হবে।

বিইআরসির সদস্য (গ্যাস) মকবুল ই এলাহী চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমার প্রথম অনুরোধ থাকবে গ্রাহকদের প্রতি, তারা যেনো দোকানে গিয়ে প্রথমে সরকারি দরটা জানতে চান। বেশি দর হলে সুনির্দিষ্ট করে আমাদেরকে লিখে জানালে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি জনগণকে সচেতন করতে মিডিয়াকে আরও ভূমিকা রাখার অনুরোধ করবো। তারা যেনো আরও বেশি বেশি প্রচার করেন। 

   

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;

শসা চাষিদের পাশে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসা চাষিরা শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে এমন দুঃসময়ে শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এমন সময় সেই শসা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেন ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ।

এরইমধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাঁদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে । মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল। আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানীর ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ।

;

বিকাশ অ্যাপে ‘সেন্ড মানি’ এখন আরও সুরক্ষিত, নির্ভুল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকের লেনদেন আরও নির্ভুল ও সুরক্ষিত করতে বিকাশ অ্যাপের ‘সেন্ড মানি’ সেবায় যুক্ত হলো আরও একটি সতর্কীকরণ ধাপ বা ‘ডিসক্লেইমার’। সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বারে তাড়াহুড়ো করে সেন্ড মানি করার সময় ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর বিড়ম্বনা এড়াতেই বিকাশ অ্যাপে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।

এখন থেকে বিকাশ অ্যাপে সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে ‘সেন্ড মানি’ করার সময় একটি ‘ডিসক্লেইমার প্রম্পট’ বা সতর্কীকরণ বার্তা দেখা যাবে, যেখানে বলা আছে “নাম্বারটি সঠিক কি না তা অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন”। সে অনুযায়ী নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ধাপে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সেন্ড মানি করলেই ভুল নাম্বারে টাকা পাঠনোর কোনো বিড়ম্বনা থাকেনা। ‘সেন্ড মানি অটো পে’ সেট করার সময় এবং ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ -তে সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বার যোগ করার সময়েও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে নজর রাখলে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর কোনো বিড়ম্বনাই থাকেনা –

• নতুন কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার আগে প্রাপকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত করে নেয়া যেতে পারে
• সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার সময় নাম্বারটি কয়েকবার মিলিয়ে নেয়া ভালো
• টাকার পরিমাণ প্রবেশ করার পর টাকার অংক ঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়া দরকার
• ভুল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেললে দ্রুত বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট/লাইভ চ্যাট অথবা ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে

সুরক্ষিত এই সেন্ড মানি সেবার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। এভাবেই নতুন নতুন উদ্ভাবনী সেবা আনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হয়ে বিকাশ, গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

;

নারীর অধিকার আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা মোহর সঞ্চয়ী হিসাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহর ইসলামে নারীর প্রতি সম্মান আর অধিকার প্রদর্শনের একটি নিদর্শন। বিবাহের সময় কনের দাবিকৃত অর্থ মোহর, আর বরের পক্ষ থেকে কনেকে এই মোহর আদায় করা অত্যবশকীয় কর্তব্য।

পবিত্র কোরানের সুরা নিসায় আল্লাহ বলেন “আর তোমরা আনন্দের সাথে স্ত্রীদের মোহর আদায় করে দাও। তবে যদি তারা স্বেচ্ছায় মাফ করে দেয়, তাহলে তা সানন্দে ভোগ করতে পার”।

মোহর যে স্ত্রীর অপরিহার্য অধিকার এবং স্বামীকে যে অবশ্যই পালন করতে হবে এমন চিন্তা বেশিরভাগ মানুষের থাকে না। ফলে সমাজে মোহর আদায়ের সংস্কৃতি কিছুটা কম। বিয়েতে মোটা অংকের মোহর নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে এই মোহর আদায় কারো কারো পক্ষে কঠিন হয়ে উঠে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু রাখতে ও আরো সহজ করতে মুদারাবা মোহর সেভিংস একাউন্ট চালু করেছে।

সমাজের সর্বস্তরের মুসলিম জনসাধারণ বিশেষত পেশাজীবী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী তাদের সামর্থ অনুযায়ী মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা দিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় একাউন্ট খুলতে পারবেন। মাসিক কিস্তি ৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার কিস্তিতে ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদী এ হিসাব পরিচালনাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করবে স্বামী বা বিবাহেচ্ছুক পুরুষ। কাবিননামায় উল্লেখিত মোট টাকার পরিমাণ, আদায়কৃত টাকা এবং আদায়যোগ্য টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে আদায়যোগ্য টাকার উপর মাসিক হার নির্ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রায় ৩৩ হাজার গ্রাহক ইসলামী ব্যাংকে মোহর একাউন্ট খুলেছেন।

বাংলাদেশের যে কোন বৈধ নাগরিক তার জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, নিজের ২ কপি ছবি, স্ত্রীর ২ কপি ছবি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও নমিনির এক কপি ছবি নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের যে কোন শাখা, উপশাখা কিংবা এজেন্টে মোহর একাউন্ট খুলতে পারবে, এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল অ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমেও এই একাউন্ট খোলা যায়। অন্য শাখা, উপ-শাখা কিংবা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কিস্তির টাকা জমা দেওয়া যায়। মোবাইল ভিক্তিক ব্যাংকিং আ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমে মাসের যে কোন দিন যে কোন স্থান থেকে খুব সহজে মাসিক কিস্তি দেওয়া যায় অথবা শাখায় স্পেশাল ইনস্ট্রাকশন দিয়ে রাখলে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অটোমেটিক সংশ্লিষ্ট সেভিংস হিসাব থেকে মোহর একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এমক্যাশের মাধ্যমেও মাসিক কিস্তি পরিশোধ করা যায়। গ্রাহক চাইলে কিস্তির টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে পারেন। উক্ত একাউন্টের মূল টাকা ও প্রদত্ত মুনাফা সবই স্ত্রীর প্রাপ্য। হিসাব খোলার সময় কিস্তির হার ও মেয়াদ নির্ধারণ করতে হবে। পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করা যাবে না।

মুদারাবা মোহর হিসাবে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একজন স্বামী তার স্ত্রীর মোহরের ঋণ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন। মোহর পরিশোধের মাধ্যমে নারীর জীবনে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। এবং সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বোপরি সমাজে নারীর অধিকার আদায়ের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন হয়। মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু করতে ইসলামী ব্যাংকের এ উদ্যোগ কৃতিত্বের দাবিদার।

;