৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট যা থাকছে



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ইতিহাসের ৫০তম বাজেট এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম বাজেট উত্থাপন হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) ৩ বিকেল ৩ টায়। বর্তমান সরকারের তৃতীয় বাজেট অধিবেশন হবে এটি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালেরও তৃতীয় বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেটের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’।

বাজেট অধিবেশনকে ঘিরে সংসদ সচিবালয়ের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন  হয়েছে। করোনা প্রকোপের কারণে এবারও স্বল্প সময়ে বড় আকারের বাজেট পাস হতে পারে। এবার বাজেটের আকার ৬ লাখ ২ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এটি চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৬৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বেশি। এবার বাজেটের রাজস্ব আহরণের বড় অংশ বৈদেশিক অনুদান নির্ভর। এবার সর্বোচ্চ ৯০ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান থেকে সংস্থান করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

চলতি ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেট ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার। আর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট অর্থাৎ ১৯৭২-৭৩ সালে বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা। দেশের প্রথম বাজেট উত্থাপন করেন তাজউদ্দীন আহমেদ।

করোনা অতিমারির মধ্যে এবারও কঠোর বিধিবিধান মেনে চলবে বাজেট অধিবেশন। সংক্ষিপ্ত সময়ে শেষ হবে বাজেট অধিবেশন। আগামী ২ জুন শুরু হয়ে ৩ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হতে পারে বাজেট অধিবেশন। তবে সবকিছু নির্ভর করছে কার্যউপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর।

নতুন (২০২১-২০২২) অর্থবছরের বাজেট কেমন হবে কোন খাত থেকে রাজস্ব আসবে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

কেমন হবে ২০২১-২০২১ অর্থবছরের বাজেট:

করোনাকালে ব্যবসা-বান্ধব বাজেট দিতে যাচ্ছে সরকার। মহামারী করোনা যে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তা কাটিয়ে উঠতে কর এবং ভ্যাট ছাড়ের বিশাল বাজেট আসছে। বাজেটে কর এর বোঁঝা না বাড়ায় স্বস্তি পাবেন ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ। তাছাড়া কর দিতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা যে সমস্যায় পড়েন সেগুলো সমাধানে আসছে একগুচ্ছ পরিকল্পনা। ব্যবসায়ীরা পুরোপুরি হয়রানিমুক্তভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে যে ব্যক্তির যত বেশি সম্পদ তাকে তত বেশি কর দিতে হবে। তাই আসন্ন বাজেটে সম্পদশালীদের সার্চ চার্জ অর্থাৎ সম্পদের কর পুনঃনির্ধারণ করা হবে। দাম বাড়বে বিলাসী পণ্যের দাম কমবে ভোগ্যপণ্য পণ্যের।

বাজেটের অর্থসংস্থান:

বাজেটে অর্থসংস্থানের জোর দেয়া হচ্ছে রাজস্ব আহরণ, বৈদেশিক ঋণ এবং অনুদান। এবারের সর্বোচ্চ ৯০ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান থেকে বাজেটে অর্থসংস্থানের করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া কর আদায়ে সক্ষম ব্যক্তিদের কর নেট এর আওতায় নিয়ে আসা হবে। অর্থনীতি সচল রাখতে এবারও ‘কর’ ছাড় দিয়ে ব্যবসা বান্ধব বাজেট দিতে যাচ্ছে সরকার।

শিল্প প্রতিষ্ঠান সচল রেখে উৎপাদন এবং রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বিনিয়োগ কারীদের নীতিগত সহায়তা প্রদান করা হবে। নতুন করে কোন খাতে ভ্যাট বা করারোপ করা হচ্ছে না। করোনার কারণে সারা বিশ্বের অর্থনীতি যেখানে চাপের মুখে রয়েছে বিভিন্ন প্যাকেজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় চাপ যাই আসুক না কেন সেটি মোকাবিলা করার জন্যই এই বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। মহামারী করোনার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে এটাই আমাদের বিশ্বাস বলেন এম সাদরুল আহমেদ খান।

ঘাটতি বাজেট

আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ব্যবধান বেড়ে যাওয়ায় আগামী বাজেটে ঘাটতির পরিমাণও অনেক বেড়েছে। আগামী বছর অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ ৬ দশমিক ১ শতাংশ চূড়ান্ত করা হয়েছে। টাকার অংকে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ হচ্ছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। যেখানে চলতি অর্থবছরে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৫.৯ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছরে অনুদান ব্যতীত সামগ্রিক ঘাটতি ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ শতাংশ।

দাম বাড়বে কমবে যেসব পণ্যের:

ব্যবসা-বাণিজ্যকে চাঙ্গা করতে একগুচ্ছ সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে নতুন বাজেট। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং ওষুধের কাঁচামালে শুল্ক কমবে। বাড়বে গাড়ির মতো বিলাসী পণ্যের দাম। স্বাস্থ্য সুরক্ষার সকল পণ্যের দাম কমবে, তবে বাড়বে সিগারেট, বিড়ি, জর্দাসহ সকল তামাকপণ্যের দাম। তাছাড়া  দামি কসমেটিকস পণ্যের আমদানিতে শুল্ক বাড়লেও কমবে নিত্যপণ্যে আমাদানি শুল্ক যেমন চাল, ডাল, পিঁয়াজ ইত্যাদি আমদানিতে শুল্ক কমবে। এছাড়া ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান ভূমিকা রাখতে পারলে তারাও কর এবং ভ্যাট মুক্তির সুবিধা পাবেন।

আমদানি পর্যায়ে অ্যাডভান্স ট্যাক্স অর্থাৎ এটি কমানোর চিন্তা করছে সরকার। বর্তমানে কাঁচামাল আমদানিতে ৪ শতাংশ এটি দিতে হয় অর্থাৎ অ্যাডভান্স ট্যাক্স দিতে হয়। এটি ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার চিন্তা করা হচ্ছে, যার ফলে ব্যবসায়ীদের হাতে নগদ অর্থ ও ক্যাশ ফ্লো দুটোই বাড়বে।

বাজেটে আরও যা থাকছে:

আভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও কর্মসংস্থান দুটোই বাড়াতে কর্পোরেট টেক্স ২ দশমিক ৫  শতাংশ কমাতে চায় সরকার। এই সুবিধা পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত এবং তালিকাভুক্তবিহীন উভয় কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে ব্যাংক-বীমা নন ব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউট, টেলিফোন কোম্পানি এবং তামাকজাত কোম্পানির ক্ষেত্রে কর্পোরেট ট্যাক্সের হার অপরিবর্তিত থাকবে। ব্যক্তি ক্ষেত্রে করনেটের  আয়সীমা অপরিবর্তিত থাকবে। বর্তমানে কর বিহীন আয়সীমা ৩ লক্ষ টাকা। তবে আয়কর দাখিল রিটার্ন বাড়ানোর ক্ষেত্র অব্যাহত থাকবে। সকল টিআইএনধারীদের আয়কর রিটার্ন এর আওতায় আনতে চায় সরকার।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ:

এবারও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হতে পারে। শেয়ারবাজার চাঙ্গা করার জন্য রয়েছে একগুচ্ছ পরিকল্পনা। হয়তো কাল টাকা সাদা করার সুযোগ থাকতে পারে শেয়ার মার্কেটে। ব্যবসায়ীদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল অর্থাৎ চলতি পুঁজি বাড়ানোর জন্য উৎসে কর কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ভ্যাটমুক্ত সীমা ৫০ লক্ষ টাকা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে কর সংগ্রহ ও বাড়ানোর জন্য স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার ওপর জোর দেবে সরকার। আগামী অর্থবছর থেকে অনলাইনে ভ্যাট প্রদান করা বাধ্যতামূলক করা হবে। ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হবে। ভ্যাট এর আওতা বাড়াতে ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইস এর আওতা আরো বাড়ানো হবে।

সার্চচার্জে নতুন পরিকল্পনা:

সম্পদশালীদের সারচার্জ অর্থাৎ সম্পদের ট্যাক্স ন্যূনতম সার্চচার্জ বাতিল করে নতুন স্লাব গঠন করা হবে। ক্ষুদ্র মাঝারি ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বার্ষিক লেনদেনে থাকছে বিশেষ ছাড়। ব্যক্তি পর্যায়ে কর সীমায় বর্তমানে নিজ সম্পদের পরিমান তিন কোটি টাকা হলে সার্চ চার্জ  দিতে হয় না। তবে ৩-৫  কোটি টাকা  পর্যন্ত হলে ১০ শতাংশ বা নূন্যতম ৩ হাজার ট্যাক্স দিতে হয়। এছাড়া রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে কঠোরতা আসছে। বছরে ১০০ কোটি টাকা  লেনদেন হয় এমন প্রতিষ্ঠান জন্য ব্যাংকিং ডাটা এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট,ভ্যাট রিটার্ন ডাটা এনালাইসিস করার জন্য  করার জন্য বিজনেস  ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যার প্রচলন করা হচ্ছে। যেটা পরবর্তীতে অডিটের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;