বাজার দর: দাম কমেছে পেঁয়াজ ও মুরগির

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাজার দর: পেঁয়াজ ও মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ১৫ টাকা

বাজার দর: পেঁয়াজ ও মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ১৫ টাকা

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি, কাঁচা বাজার, মাছ, মাংস, তেল, ডালসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। গত ১-২ দিনে বাজার ভেদে মাছ, সবজি, গরুর মাংস, ডিম, তেল ও চিনির দাম স্থিতিশীল থাকলেও মুরগি ও পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে কমেছে ১৫ টাকা।

শুক্রবার (৪ জুন) সরেজমিনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদ বাগ এলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস ৫৮০- ৫৯০ টাকা কেজি, ডিম প্রতি হালি ৩০-৩২ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা কেজি, লাল‌ শাক ১০ টাকা আটি, আলু ২০ টাকা কেজি, বরবটি ৪০ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া ২০-২৫ টাকা কেজি, পটল ৪০ টাকা কেজি, মুসুর ডাল প্রকার ভেদে ১৭৫ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি, শসা ৫০ টাকা, চিনি ৬৫-৭০, সয়াবিন তেল ১৪৫-১৫০টাকা কেজি। যা গত কয়েক দিন ধরে একই দামে বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগি গত দুই দিন আগে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। পাকিস্তানি মুরগি ২৪৫- ২৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ২২৫-২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ১৫- ২০ টাকা।

বিজ্ঞাপন
কাঁচা বাজার বা সবজির দাম বাড়েনি

পেঁয়াজ গতকাল বাজারে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি‌ ৬০ টাকা, কিন্তু আজ শুক্রবার (৪ জুন) বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ১৫ টাকা।

বাজার করতে আসা রায়ের বাগ এলাকার গৌতম কুমার বলেন,‌ এই কয়দিনে কাঁচা বাজার বা সবজির দাম তেমনটা বাড়েনি। তেলের দামটা কয়েকদিন ধরেই বেশি তবে হঠাৎ করে দেখলাম পেঁয়াজের দাম কমেছে।

ক্রেতা রহমত আলী বলেন, মুরগি কিনতে এসেছি, গত দিনের চেয়ে আজকে দাম একটু কম। আগের দিন কিনেছিলাম ব্রয়লার ১৪৫ টাকা কেজি, আজকে ১৩০ টাকা দিয়ে কিনলাম। আর পাকিস্তানি মুরগির দাম নিচ্ছে ২২০ টাকা যা গত তিন দিন আগে ছিলো ২৪৫-২৫০ টাকা। মুরগির দাম একটু কমেছে।

মোহাম্মদ বাগের সবজি দোকানদার কামাল বলেন, আজকে পেঁয়াজের দাম কমেছে। গতকালকেই দাম ছিল ৬০ টাকা কেজি, আজকে বিক্রি করছি ৪৫ টাকায়।

দাম কমার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আসছিল না, তাই দাম বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু আজকে থেকে দাম কমে গেছে। আমরা যেমন দামে কিনি সেভাবেই বিক্রি করি।

মুরগির মাংস ব্যাবসায়ী আনিছুর বলেন, বাজারে দামের কোনো ঠিক নাই। হঠাৎ করে বেড়ে যায় আবার হঠাৎ করেই কমে যায়। মালের সাপ্লাই বেশি থাকলে দাম কমে আর মালের সাপ্লাই কমে গেলে দাম একটু বেড়ে যায়। এখন দাম একটু কমে গেছে। কয়দিন আগে তো ৩০০ টাকা কেজি দরে মুরগি বিক্রি করেছি।

যাত্রাবাড়ী কাঁচা বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সদস্য জাহাঙ্গীর বলেন, কাঁচা বাজারের দাম ঠিক আছে, কিন্তু কিছু কিছু জিনিসের দাম বাড়ছে, আবার কমছেও। মাল যদি আড়তে ঠিক ভাবে আসে তাহলে দাম ঠিক থাকে। কয়েকদিন ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আসছিল না তাই দাম বেড়ে গিয়েছিলো তবে এখন মাল আছে তাই দামও একটু কম।