করোনায় ক্রেতা কমলেও দাম কমেনি নিত্যপণ্যের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

করোনায় ক্রেতা কমলেও দাম কমেনি নিত্যপণ্যের

করোনায় ক্রেতা কমলেও দাম কমেনি নিত্যপণ্যের

দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর ‘লকডাউন’ চলছে। লকডাউনের বিধিনিষেধের কারণে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন ক্রেতার ভিড় বেশ কম। ক্রেতা কম থাকলেও পণ্যের দামে এর প্রভাব পড়েনি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য।

শুক্রবার (৯ জুলাই) রাজধানীর রায়েরবাজর ঘুরে দেখা যায় সবজির দাম নতুন করে বাড়েনি। লকডাউন শুরুর আগে যে দামে সবজির বিক্রি হয়েছে বর্তমানেও তা অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সবজির দাম

টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়সের কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, কচুরমুখি ৫০ টাকা, প্রতিটি লাউয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা, জালি-কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচ কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বরবটির কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। তবে এই দামের চেয়ে পাড়া মহল্লায় ও রাস্তার পাশে ছোট সবজির দোকানগুলোতে দাম কিছুটা বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

বিজ্ঞাপন

গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে আদার দাম। ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে চিনা আদা। গত সপ্তাহে যেখানে চিনা আদা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। দেশি আদার দাম ২০ টাকা কমে হয়েছে ১৩০ টাকা কেজি। এছাড়া আলুর কেজি ২৫ টাকা, পেঁয়াজের কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, রসুনের কেজি ১৪০ টাকা।

চালের দাম

বাজারে চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজর ঘুরে দেখা যায় ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মোটা পাইজাম চাল, আটাশ চালের কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়, মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা এবং নাজিরশাইল চাল ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বড় বাজারগুলোতে চালের দাম বৃদ্ধি না পেলেও পাড়া–মহল্লার দোকানে প্রায় সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মহল্লার দোকানে চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছে, ‘লকডাউনের’ কারণে পণ্য আনা–নেওয়ার খরচ বেড়েছে। ফলে দাম বাড়াতে তারা বাধ্য হয়েছে।

বাজারে মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে

মাছের দাম

মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বড় আকারের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি, ছোট আকারের ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিংড়িও বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি। বড় আকারের রুই ও কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০, মাঝারি আকারের ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, ছোট আকারের ১৫০ থেকে ২২০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ টাকা কেজি, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি, পাঙাশ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

লাল লেয়ার মুরগির দাম আগের মতো আছে

মাংসের দাম

বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি, লাল লেয়ার মুরগি আগের মতো কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা থেকে ৫৮০ টাকা কেজি, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা কেজি, বকরির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি।